প্রতিনিধি, কালাই (জয়পুরহাট)
আঁওড়া থেকে গংগাদাসপুর প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা। প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষে এই পথে চলাচল করেন। কিন্তু রাস্তাটি দেখলে আর চেনার উপায় নেই। বর্ষায় কর্দমাক্ত গভীর খালে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা ব্রিটিশ আমলের। রাস্তাটি জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। বিগত দিনের অন্তত সাত এমপি এই রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে জয়পুরহাট-২ আসনের বিএনপি মনোনীত আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও রাস্তাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আঁওড়া থেকে গংগাদাসপুর যাওয়ার প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তার ধারে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি পোস্ট অফিস এবং একটি বাজার রয়েছে। এছাড়া কালের সাক্ষী নান্দাইল দীঘিও এখানে অবস্থিত। এই রাস্তা দিয়ে উৎরাইল, গোহারা, মোহাইল, জগডুম্বর, তালখুর, মাস্তর, শুঁটকিগাড়ী, গংগাদাসপুরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সম্প্রতি এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। কিন্তু উদ্বোধনের পর প্রায় দুই বছরেও রাস্তার মাটি কাটার কাজ শেষ হয়নি। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলার মোহাইল গ্রামের হাফিজার রহমান বলেন, ‘রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে ধান নষ্ট হয়ে যাওচে, আলু পচে যাওচে। ফসল বেচতে না পারলে সংসার চালামু ক্যামন করে।’
ভ্যানচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাস্তা খারাপ, ভ্যান চালান পারোচি না। আমার পরিবারের ছয় সদস্য। একমাত্র আমার রোজগারে সংসার চলে। ইংক্যা রাস্তার অবস্থা থাকলে, না খায়ে মরা লাগবে।’
কালাই উপজেলা সদরের সঙ্গে রাস্তাটির সংযোগ। এই রাস্তা পাকা না হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এখন তো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে কৃষি পণ্য পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ময়েন উদ্দিন (বাসী) ও মেসার্স মাছুমা বেগম এই রাস্তার পাকাকরণের কাজ পেয়েছে। রাস্তার কাজের উদ্বোধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর কাজ সম্পন্ন করার কথা। অর্থাৎ সে হিসাবে হাতে আছে আর মাত্র দুই মাস। অথচ মাটি কাটার কাজই শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাস্তাটির সংস্কার কাজ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কালাই উপজেলার স্থানীয় সরকারের প্রকৌশলী (এলজিইডি) সিরাজুল ইসলাম।
আঁওড়া থেকে গংগাদাসপুর প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা। প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষে এই পথে চলাচল করেন। কিন্তু রাস্তাটি দেখলে আর চেনার উপায় নেই। বর্ষায় কর্দমাক্ত গভীর খালে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা ব্রিটিশ আমলের। রাস্তাটি জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। বিগত দিনের অন্তত সাত এমপি এই রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে জয়পুরহাট-২ আসনের বিএনপি মনোনীত আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও রাস্তাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আঁওড়া থেকে গংগাদাসপুর যাওয়ার প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তার ধারে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি কলেজ, একটি পোস্ট অফিস এবং একটি বাজার রয়েছে। এছাড়া কালের সাক্ষী নান্দাইল দীঘিও এখানে অবস্থিত। এই রাস্তা দিয়ে উৎরাইল, গোহারা, মোহাইল, জগডুম্বর, তালখুর, মাস্তর, শুঁটকিগাড়ী, গংগাদাসপুরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সম্প্রতি এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। কিন্তু উদ্বোধনের পর প্রায় দুই বছরেও রাস্তার মাটি কাটার কাজ শেষ হয়নি। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলার মোহাইল গ্রামের হাফিজার রহমান বলেন, ‘রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে ধান নষ্ট হয়ে যাওচে, আলু পচে যাওচে। ফসল বেচতে না পারলে সংসার চালামু ক্যামন করে।’
ভ্যানচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাস্তা খারাপ, ভ্যান চালান পারোচি না। আমার পরিবারের ছয় সদস্য। একমাত্র আমার রোজগারে সংসার চলে। ইংক্যা রাস্তার অবস্থা থাকলে, না খায়ে মরা লাগবে।’
কালাই উপজেলা সদরের সঙ্গে রাস্তাটির সংযোগ। এই রাস্তা পাকা না হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এখন তো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে কৃষি পণ্য পরিবহন সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ময়েন উদ্দিন (বাসী) ও মেসার্স মাছুমা বেগম এই রাস্তার পাকাকরণের কাজ পেয়েছে। রাস্তার কাজের উদ্বোধন হয়েছে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর কাজ সম্পন্ন করার কথা। অর্থাৎ সে হিসাবে হাতে আছে আর মাত্র দুই মাস। অথচ মাটি কাটার কাজই শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাস্তাটির সংস্কার কাজ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কালাই উপজেলার স্থানীয় সরকারের প্রকৌশলী (এলজিইডি) সিরাজুল ইসলাম।
গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে মারা যাওয়া ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির (৩২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মৃত বাবলুর মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে জ্যোতির মরদেহ নিয়ে পৌঁছান স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের...
৩১ মিনিট আগেচাঁদাবাজি, দখলদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির বেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে...
৪০ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমীন মাদানীর নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মসজিদের উন্নয়নে দুই অর্থবছরে তিনটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্পের কাজই পূর্ণতা পায়নি। একটির কাজ করাই হয়নি, অন্যটির কাজ আংশিক হয়ে থেমে আছে, আরেকটিতে কেবল নামফলক বসিয়েই..
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সাতটি প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ। যদিও দাপ্তরিক নথিতে সব প্রকল্পই ‘প্রায় সম্পন্ন’ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৩ ঘণ্টা আগে