Ajker Patrika

আমগাছের বিষে মরছে রেশমের পোকা, সমস্যায় চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আমগাছের বিষে মরছে রেশমের পোকা, সমস্যায় চাষিরা

আমগাছের পোকা-মাকড় দমনে কীটনাশক স্প্রে করেন চাষিরা। কিন্তু সেই কীটনাশকের প্রভাবে আমবাগানের পাশে থাকা তুঁতগাছের পলু পোকাও মারা যায়। তাতে রেশম সুতা উৎপাদন কমে যায়। বিশেষ করে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে এ সমস্যা বেশি হয়। চাষিদের পক্ষ থেকে এ সমস্যা তুলে ধরে সমাধান চাওয়া হয়েছে।

রেশম শিল্পে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শুদ্ধাচারবিষয়ক এক অংশীজন সভায় এ সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। শুদ্ধাচার কৌশল-কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীতে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডে এ সভার আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। সভায় রেশম চাষিদের পক্ষ থেকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জের ইয়াসিন আলী বক্তব্য দেন।

চাষি ইয়াসিন আলী বলেন, ‘বাঘা রেশম চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। এখনো আমরা কিছু চাষি এ অঞ্চলে রেশম চাষ টিকিয়ে রেখেছি। কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের তুঁতগাছের বাগানগুলো আমবাগানের পাশে। চাষিরা আমগাছের পোকামাকড় দমনে কীটনাশক স্প্রে করেন। এর প্রভাবে তুঁতগাছের পলু পোকাও মরে যায়। তাতে রেশম কাপড়ের জন্য সুতা উৎপাদন অনেক কমে যায়।’

সভায় বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, সাধারণত চারটি মৌসুমে পলু পোকার উৎপাদন হয়। এর মধ্যে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়টিকে জ্যৈষ্ঠাবন মৌসুম ধরা হয়। এই মৌসুমেই আমবাগানের কীটনাশকের কারণে পলু পোকার ক্ষতি হয়। পলু পোকা গাছে থাকে ২০ থেকে ২২ দিন। এ সময় পাশের আমবাগানের মালিককে সতর্কতার সঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করতে বলতে হবে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন রেশম বোর্ডের কর্মকর্তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বস্ত্র) সুব্রত শিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম সচিব (বস্ত্র) এ এম মঈনুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আনওয়ার হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত