Ajker Patrika

আত্রাই নদের পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে, পানিবন্দী ৫০০ পরিবার

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
পানিবন্দী ৫০০ পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
পানিবন্দী ৫০০ পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর মান্দায় টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে আত্রাই নদের পানি। আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় নদের জোতবাজার পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। এতে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদের পানি।

এদিকে নদীর তীরবর্তী চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, পারনুরুল্লাবাদ গ্রামে পুরোনো দুটি ভাঙনস্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেতরে নিখিরাপাড়া, বাকশাবাড়ী ও ঠনঠনিয়াপাড়া এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে।

এসব এলাকায় অন্তত ৫০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ধান, পাট, সবজিসহ নানা ধরনের ফসলি জমি। নদে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আত্রাই নদের পানি ১০০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আজ বেলা ৩টায় জোতবাজার পয়েন্টে নদের পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, নদের উভয় তীরের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে দ্বারিয়াপুর ও জোকাহাট এলাকায় বেড়িবাঁধে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় লিকেজ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে এসব পয়েন্ট রক্ষায় বালুর বস্তা ও মাটি ফেলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ, তালপাতিলাসহ অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীরামপুর, আঁয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া, গোয়ালমান্দাসহ আরও অন্তত ২০টি পয়েন্টকে রাখা হয়েছে উচ্চঝুঁকির তালিকায়।

এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘নদের পানি বৃদ্ধির ফলে কয়েকটি বাঁধে লিকেজ দেখা দিয়েছে। আমরা প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত