Ajker Patrika

মিষ্টির পচা শিরা, আটা ও রং মিশিয়ে তৈরি হতো গুড়

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১৭: ০১
মিষ্টির পচা শিরা, আটা ও রং মিশিয়ে তৈরি হতো গুড়

চিনিকলের চিটা গুড়, পচা শিরা, পচা আটা ও রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় গুড়। সেই গুড় দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায় সেই কারখানায়। কারখানা থেকে জব্দ করা হয় তৈরি ৪০ মণ ভেজাল গুড়। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার দিড়িপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক রাজু আহমেদ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারঘাট মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেছেন, পলাতক রাজু বছরখানেক আগে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন ভেজাল গুড়ের কারখানা। চিনিকলের গোখাদ্য চিটা গুড়, পচা শিরা, পচা আটা এবং এগুলোর সঙ্গে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করেন ভেজাল গুড়। তাঁর কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ মণ ভেজাল গুড় তৈরি করা হতো। সেই গুড় রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার হাটবাজারে বিক্রি করা হতো। চারঘাট থানা-পুলিশ সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। তখনো কারখানায় গুড় তৈরির কাজ চলছিল। এ সময় জব্দ করা হয় তৈরি ৪০ মণ ভেজাল গুড় এবং ক্ষতিকর রংসহ গুড় তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। 

এ ঘটনায় চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাঝরাতে ওই গ্রামের সবাই যখন ঘুমে তখন রাজু তাঁর বাড়িতে কারখানায় ভেজাল গুড় তৈরি করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। ৪০ মণ ভেজাল গুড়সহ গুড় তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।’ 

প্রসঙ্গত, এর আগে দৈনিক ‘আজকের পত্রিকা’ চারঘাটের ভেজাল গুড় নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এরপরই ভেজাল গুড়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন ও চারঘাট মডেল থানা-পুলিশ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত