নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ছিনতাইকারীর হামলায় গুরুতর আহত রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নিশাদ আকরাম (২৪) মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ দিন পর আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ছিনতাইকারীর হামলায় রিকশা থেকে পড়ে নিশাদের মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তিনি অচেতন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।
নিশাদ অকরামের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুরে। তাঁর বাবা একজন কৃষক। তিনি রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভর্তির পর থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা গেছেন।
ঘটনার পরদিন নিশাদের এক বান্ধবী বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ও নিশাদ তাঁর এক অসুস্থ বান্ধবীকে হাসপাতালে রেখে রিকশায় করে আসছিলেন। তাঁরা যখন নগরীর রাজারহাতা এলাকা পার হচ্ছিলেন, তখন ছিনতাইকারীরা এসে নিশাদকে আঘাত করলে তিনি রিকশা থেকে পড়ে যান। রিকশাওয়ালা ভয়ে রিকশা নিয়ে দূরে গিয়ে চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে এসে দেখেন নিশাদ অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর মানি ব্যাগ, মোবাইল ফোন আর হাতঘড়ি নেই। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলার ঘটনায় তাঁর চাচাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ মো. সেলিম (৫০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায়। পরদিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সেলিম এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সেলিমের নামে আগে আরও আটটি মামলা রয়েছে। তিনি পেশাদার ছিনতাইকারী।
আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিশাদের লাশ রামেকের মর্গে নেওয়া হয়। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুল খালেক সেখানেই ছিলেন। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থীর বসবাস। নানা প্রয়োজনে তাঁরা যেকোনো সময় রাস্তায় বের হন। এ সময় প্রায়ই তাঁরা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ইদানীং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। এটি কাম্য নয়। ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে একজন শিক্ষার্থী মারা যাবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। গ্রেপ্তার সেলিম জানিয়েছেন, তাঁরা দুজন মিলে এই হামলা করেছেন। ইতিমধ্যে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সময় নিশাদের সঙ্গে তাঁর যে বান্ধবী ছিলেন, তিনি জেলখানায় গিয়ে আসামিকে শনাক্ত করেছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিশাদের লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
ছিনতাইকারীর হামলায় গুরুতর আহত রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নিশাদ আকরাম (২৪) মারা গেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ দিন পর আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ছিনতাইকারীর হামলায় রিকশা থেকে পড়ে নিশাদের মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তিনি অচেতন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।
নিশাদ অকরামের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুরে। তাঁর বাবা একজন কৃষক। তিনি রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভর্তির পর থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা গেছেন।
ঘটনার পরদিন নিশাদের এক বান্ধবী বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ও নিশাদ তাঁর এক অসুস্থ বান্ধবীকে হাসপাতালে রেখে রিকশায় করে আসছিলেন। তাঁরা যখন নগরীর রাজারহাতা এলাকা পার হচ্ছিলেন, তখন ছিনতাইকারীরা এসে নিশাদকে আঘাত করলে তিনি রিকশা থেকে পড়ে যান। রিকশাওয়ালা ভয়ে রিকশা নিয়ে দূরে গিয়ে চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে এসে দেখেন নিশাদ অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর মানি ব্যাগ, মোবাইল ফোন আর হাতঘড়ি নেই। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলার ঘটনায় তাঁর চাচাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ মো. সেলিম (৫০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায়। পরদিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সেলিম এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সেলিমের নামে আগে আরও আটটি মামলা রয়েছে। তিনি পেশাদার ছিনতাইকারী।
আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নিশাদের লাশ রামেকের মর্গে নেওয়া হয়। রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আব্দুল খালেক সেখানেই ছিলেন। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থীর বসবাস। নানা প্রয়োজনে তাঁরা যেকোনো সময় রাস্তায় বের হন। এ সময় প্রায়ই তাঁরা ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ইদানীং ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। এটি কাম্য নয়। ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে একজন শিক্ষার্থী মারা যাবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। গ্রেপ্তার সেলিম জানিয়েছেন, তাঁরা দুজন মিলে এই হামলা করেছেন। ইতিমধ্যে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সময় নিশাদের সঙ্গে তাঁর যে বান্ধবী ছিলেন, তিনি জেলখানায় গিয়ে আসামিকে শনাক্ত করেছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিশাদের লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে