রিমন রহমান, রাজশাহী
মাদক কারবার করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়ে গেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর একটি পরিবার। এই পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের চারজনই মাদক কারবারে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তাঁদের একজন এখন গোদাগাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর। তিনি আগে মাদক কারবারে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম। মনিরুলসহ চার ভাইয়ের ব্যাপারেই মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য তিন ভাই হলেন আবদুর রহিম টিপু, মেহেদী হাসান ও সোহেল রানা। সবার বিরুদ্ধেই মাদকের মামলা রয়েছে। সবশেষ ৪ কেজি ৩০০ গ্রাম হেরোইন পাচারের অভিযোগে ৭ মে গোদাগাড়ী থানায় টিপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মনিরুল ইসলাম ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল পৌনে ৪ কেজি হেরোইনসহ চারঘাট থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি পুঠিয়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মাদক মামলা হয়। পরে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গোদাগাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন মনিরুল।
পুলিশ জানায়, মনিরুলের ভাই আবদুর রহিম টিপু রাজশাহীর অন্যতম শীর্ষ মাদক কারবারি। ২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহীর শীর্ষ ১৫ মাদক কারবারির নামের তালিকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় নাম ছিল টিপুর। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে তিনটি। এর মধ্যে ২০১০ সালের ২৩ আগস্ট রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া ও ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই পবা থানায় একটি করে মামলা হয়। সবশেষ ৭ মে গোদাগাড়ী থানায় টিপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলার পর টিপু পলাতক রয়েছেন।
মনিরুল ও টিপুর অন্য দুই ভাই সোহেল রানা ও মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধেও গোদাগাড়ী থানায় একটি করে মাদকের মামলা আছে। ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল এ মামলা হয়।
মাদক কারবারে জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে গত শুক্রবার কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেন যে সংসারে অভাবের কারণে তিনি আগে হেরোইন বহনের কাজ করতেন। এ জন্য হেরোইনসহ ধরা পড়েছিলেন।
ভাইদের মামলা প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মনিরুল বলেন, কারও সঙ্গে শত্রুতা থাকলে টাকা দিয়ে তাকে মামলার আসামি করা যায়। গোদাগাড়ীতে এই সিস্টেম আছে।
চার ভাইয়ের সম্পদ
আগে অভাবে থাকলেও গত ১০ বছরে এই চার ভাই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
রাজশাহী নগরীর আলীগঞ্জ নিমতলায় ২৮ কোটি টাকায় জমিসহ চারতলা বাড়ি রয়েছে এই পরিবারের। এই বাড়ির নিচতলায় আছে মার্কেট। রাজশাহী নিউমার্কেটে তমা কালেকশন, তমা ফ্যাশন ও তমা সুজ নামে ৯৬, ৯৭ ও ১০০ নম্বর দোকানগুলোর মালিক টিপু। সাহেববাজারের আরডিএ মার্কেটে রয়েছে একাধিক দোকান। গোদাগাড়ীর হাবাসপুরে আছে খামার।
এ ছাড়া গোদাগাড়ী পৌরসভার মাদারপুর মহল্লায় আছে তিনটি বাড়ি। এর মধ্যে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে বসবাস করে পুরো পরিবার। অন্য দুটি একতলা বাড়ি পড়ে আছে। মহিষালবাড়ী বাজারে আছে চারটি দোকান। এর মধ্যে একটি জুয়েলারি দোকান। তমা ইলেকট্রিক নামের দোকানটিতে বসতেন মনিরুল। মুনিয়া গার্মেন্ট ও আনুশকা গার্মেন্টে বসেন অন্য দুই ভাই।
বরেন্দ্র অঞ্চলে এই পরিবারের ৬৬ বিঘা ধানি জমি রয়েছে। এ ছাড়া নদীর ওপারে চরে আছে আরও ২১ বিঘা জমি।
কাউন্সিলর মনিরুল এখন চড়েন একটি দামি গাড়িতে। গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৩-৩৭৬৩। আরেকটি মাইক্রোবাসে চড়েন টিপু। এই গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ২০-৬১১৩। আরেকটি সাদা মাইক্রোবাস ও মাছ পরিবহনের জন্য একটি ট্রাক আছে তাঁদের।
১০ বছরে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন জানতে চাইলে কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম কৌশলে এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘দুয়েক দিন পর আপনার সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত বলব।’
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, কাউন্সিলর মনিরুলের ভাই টিপুর বিরুদ্ধে সবশেষ ৭ মে র্যাব একটি মামলা করেছে। তারপর থেকে টিপু পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মাদকের ব্যাপারে পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য বাহিনী কাজ করছে। টিপুর অন্য ভাইয়েরা মাদক কারবারে এখনো জড়িত থাকলে আজ হোক, কাল হোক ধরা পড়বে।
মাদক কারবার করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়ে গেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর একটি পরিবার। এই পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের চারজনই মাদক কারবারে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তাঁদের একজন এখন গোদাগাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর। তিনি আগে মাদক কারবারে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম। মনিরুলসহ চার ভাইয়ের ব্যাপারেই মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। অন্য তিন ভাই হলেন আবদুর রহিম টিপু, মেহেদী হাসান ও সোহেল রানা। সবার বিরুদ্ধেই মাদকের মামলা রয়েছে। সবশেষ ৪ কেজি ৩০০ গ্রাম হেরোইন পাচারের অভিযোগে ৭ মে গোদাগাড়ী থানায় টিপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মনিরুল ইসলাম ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল পৌনে ৪ কেজি হেরোইনসহ চারঘাট থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি পুঠিয়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মাদক মামলা হয়। পরে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গোদাগাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন মনিরুল।
পুলিশ জানায়, মনিরুলের ভাই আবদুর রহিম টিপু রাজশাহীর অন্যতম শীর্ষ মাদক কারবারি। ২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহীর শীর্ষ ১৫ মাদক কারবারির নামের তালিকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় নাম ছিল টিপুর। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে তিনটি। এর মধ্যে ২০১০ সালের ২৩ আগস্ট রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া ও ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই পবা থানায় একটি করে মামলা হয়। সবশেষ ৭ মে গোদাগাড়ী থানায় টিপুর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলার পর টিপু পলাতক রয়েছেন।
মনিরুল ও টিপুর অন্য দুই ভাই সোহেল রানা ও মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধেও গোদাগাড়ী থানায় একটি করে মাদকের মামলা আছে। ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল এ মামলা হয়।
মাদক কারবারে জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে গত শুক্রবার কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকার কাছে স্বীকার করেন যে সংসারে অভাবের কারণে তিনি আগে হেরোইন বহনের কাজ করতেন। এ জন্য হেরোইনসহ ধরা পড়েছিলেন।
ভাইদের মামলা প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মনিরুল বলেন, কারও সঙ্গে শত্রুতা থাকলে টাকা দিয়ে তাকে মামলার আসামি করা যায়। গোদাগাড়ীতে এই সিস্টেম আছে।
চার ভাইয়ের সম্পদ
আগে অভাবে থাকলেও গত ১০ বছরে এই চার ভাই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
রাজশাহী নগরীর আলীগঞ্জ নিমতলায় ২৮ কোটি টাকায় জমিসহ চারতলা বাড়ি রয়েছে এই পরিবারের। এই বাড়ির নিচতলায় আছে মার্কেট। রাজশাহী নিউমার্কেটে তমা কালেকশন, তমা ফ্যাশন ও তমা সুজ নামে ৯৬, ৯৭ ও ১০০ নম্বর দোকানগুলোর মালিক টিপু। সাহেববাজারের আরডিএ মার্কেটে রয়েছে একাধিক দোকান। গোদাগাড়ীর হাবাসপুরে আছে খামার।
এ ছাড়া গোদাগাড়ী পৌরসভার মাদারপুর মহল্লায় আছে তিনটি বাড়ি। এর মধ্যে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে বসবাস করে পুরো পরিবার। অন্য দুটি একতলা বাড়ি পড়ে আছে। মহিষালবাড়ী বাজারে আছে চারটি দোকান। এর মধ্যে একটি জুয়েলারি দোকান। তমা ইলেকট্রিক নামের দোকানটিতে বসতেন মনিরুল। মুনিয়া গার্মেন্ট ও আনুশকা গার্মেন্টে বসেন অন্য দুই ভাই।
বরেন্দ্র অঞ্চলে এই পরিবারের ৬৬ বিঘা ধানি জমি রয়েছে। এ ছাড়া নদীর ওপারে চরে আছে আরও ২১ বিঘা জমি।
কাউন্সিলর মনিরুল এখন চড়েন একটি দামি গাড়িতে। গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৩-৩৭৬৩। আরেকটি মাইক্রোবাসে চড়েন টিপু। এই গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ২০-৬১১৩। আরেকটি সাদা মাইক্রোবাস ও মাছ পরিবহনের জন্য একটি ট্রাক আছে তাঁদের।
১০ বছরে কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন জানতে চাইলে কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম কৌশলে এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘দুয়েক দিন পর আপনার সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত বলব।’
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, কাউন্সিলর মনিরুলের ভাই টিপুর বিরুদ্ধে সবশেষ ৭ মে র্যাব একটি মামলা করেছে। তারপর থেকে টিপু পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মাদকের ব্যাপারে পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য বাহিনী কাজ করছে। টিপুর অন্য ভাইয়েরা মাদক কারবারে এখনো জড়িত থাকলে আজ হোক, কাল হোক ধরা পড়বে।
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
২ ঘণ্টা আগে