Ajker Patrika

আসামিদের নিয়ে হাসপাতালে বিচারক, ডোপ টেস্টের নমুনায় প্রস্রাবের বদলে পেলেন পানি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪, ২০: ০৫
আসামিদের নিয়ে হাসপাতালে বিচারক, ডোপ টেস্টের নমুনায় প্রস্রাবের বদলে পেলেন পানি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ মার্চ মাদক মামলায় ১৫ জনের রায় দেওয়ার কথা ছিল। তবে রায় দেওয়ার আগে আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের স্বার্থে ডোপ টেস্টের নির্দেশ দেন। ডোপ টেস্টের সেই রিপোর্ট পর্যালোচনায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে একই দিন আসামিদের নিয়ে ২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ছুটে যান বিচারক। সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর আসামিদের ডোপ টেস্টের জন্য দেওয়া প্রস্রাবের (ইউরিন) বদলে পানি পূর্ণ করে ল্যাবে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে আদালতে ফিরে আসামিদের ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিচারক হুমায়ুন কবীর ঘটনাটি তুলে ধরেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর ন্যায়বিচারের পথে শত বাধার কঠিন বাস্তবতার অবতারণা করেছেন। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিচারক হুমায়ুন কবীর ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘২৫ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫টি মাদক মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলাগুলো ২০১৭-১৮-১৯ সালের। দীর্ঘদিন আসামিরা আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরি করেছেন নিয়মিত হাজিরাও দিয়েছেন। অন্যদিকে মাদকের পরিমাণও বেশি না। সবকিছু বিবেচনা করে মনে করলাম, আসামিদের প্রবেশন দেওয়া যায় কি না। আবার ভাবলাম দেখি আসামিদের ডোপ টেস্টের রেজাল্ট কী আসে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব। এটা বিবেচনা করে ডোপ টেস্টের জন্য ২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠালাম। 

‘আসামিরা ডোপ টেস্টের রেজাল্ট নিয়ে হাজির হলো। দেখলাম মাত্র একজন আসামির রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে, বাকি সবগুলোর নেগেটিভ। চিন্তায় পড়ে গেলাম রেজাল্ট কি ঠিক আসল নাকি সত্যি সত্যিই আসামিরা মাদক ছেড়ে দিয়েছে। আমার জানা মতে, ছয় মাস আগেও যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তবুও ডোপ টেস্টে তাঁর রেজাল্ট পজিটিভ আসবে। এমনিতেও আসামিরা আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন তাঁরা মাদকের সঙ্গে জড়িত না। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। তখন মনে হচ্ছিল, এতগুলো নিরপরাধ মানুষকে কীভাবে ফাঁসানো হলো। আরও অনেক চিন্তা মাথায় ঘুরছিল। এরপর ডোপ টেস্টের সব রিপোর্ট ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখলাম। দেখতে পেলাম সব কয়টা ইউরিন অর্থাৎ প্রস্রাব গ্রহণের মাধ্যমে টেস্ট করা হয়েছে।’ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীরবিচারক আরও লিখেন, ‘আমার কাছে একটু সন্দেহ হলো। আমি বললাম ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে রিপোর্ট নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর একজন আইনজীবী এসে বললেন, ‘‘স্যার প্রত্যেক টেস্টের জন্য ১১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। এরা গরিব মানুষ। এত টাকা কোথায় পাবে।’’ আবার আসামিদের ডাকলাম। আমার ধারণা ছিল সরকারি হাসপাতাল ১০ টাকার টিকিট কেটে টেস্ট করা সম্ভব। আসামিরা পুনরায় এসে একটি ভয়ংকর তথ্য দিলেন। তাঁরা বললেন, স্যার ৯০০ টাকা রিপোর্টের জন্য আরও ২০০ টাকা বকশিশ (ঘুষ) নিয়েছে। এজলাস থেকে নেমে আসামিদের নিয়ে হাসপাতালে গেলাম। জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়ের রুমে গেলাম এবং উনাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। আমার কথা উনি মনোযোগ সহকারে শুনে ডোপ টেস্টের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ডাকলেন।

‘তত্ত্বাবধায়ক মহোদয় আমার অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই সংশ্লিষ্টরা অকপটে স্বীকার করে বলেন, ‘‘স্যার ৯০০ টাকা টেস্টের খরচ। আর ২০০ টাকা আমাদের খুশি হয়ে দিয়েছে। শুনে খুব রাগ হচ্ছিল। এরপরেও রাগ চেপে রেখে মৃদু হেসে নিজেকে সংযত করলাম। পরবর্তী ঘটনা ছিল আরও ভয়ংকর। আমি তত্ত্বাবধায়ক মহোদয়কে বললাম ইউরিন বা প্রস্রাব টেস্টের মাধ্যমে সঠিক ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পাওয়া যায় কি? উনি আমাকে নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন, ‘‘অবশ্যই! ৯৮% সঠিক আসবে।’’ কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কোথায় যেন একটা ঘাপলা আছে। আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। কয়েক ঘণ্টা কেটে গেল। অবশ্য তাতে আমার আপত্তি নেই। সঠিক তথ্য বের করতেই হবে। এবার পেলাম সেই ভয়ংকর তথ্য। ইউরিন বা প্রস্রাব দেওয়ার বিপরীতে আসামিরা বাথরুমে ঢুকে পটে করে পানি নিয়ে ল্যাবে জমা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে রেজাল্ট যা আসার তাই এসেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘বেশ কয়েকজন রোগী আদালত থেকে এসে জরুরি ডোপ টেস্টের জন্য তাড়াহুড়ো করেন। তাঁরা টেকনিশিয়ানদের হাতে কিছু টাকাও দেন। যেন তাঁদের রিপোর্ট জরুরি হয়। এখানে সরকারি ফি ৯০০ টাকা ছাড়াও বকশিশ নেওয়া হয়। যার প্রমাণ মিলেছে। এমন অপরাধের জন্য একজন টেকনিশিয়ানকে শোকজ করা হয়েছে, একজনকে সতর্ক ও অপরজনকে জেলা হাসপাতাল থেকে বদলি করা হবে।’ 

ডা. মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, ‘ডোপ টেস্টে অর্থ আদায়ের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়—সে বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনটি ফেসবুকে তুলে ধরার মাধ্যমে পদে পদে অসংগতি আর আদালতের এজলাসে বসে সঠিক রায় দেওয়া কত কঠিন সেটি বোঝানোর চেষ্টা করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া। ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত এলাকা ও নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় এবং সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর আহমেদ আমিন আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

মহড়ায় অংশ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ফায়ার ফাইটিং ইউনিট, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অগ্নিনির্বাপণকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পোর্ট ইউনিট।

মহড়ার প্রথম পর্যায়ে খোলা আগুন থেকে রাসায়নিকবাহী একটি কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে ফায়ার ইউনিটগুলো দ্রুত পানি ও ফোম প্রয়োগের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জেটিতে অবস্থানরত একটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে মহড়া পরিচালিত হয়।

এতে অংশ নেয় পোর্ট ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিট এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অগ্নিনির্বাপণে সক্ষম টাগবোট। সব ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মহড়ায় অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (নিরাপত্তা-প্রশাসন) ও পিএফএসও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক (নিরাপত্তা-অপারেশন) মেজর আনিস-উজ-জামান, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিমের পক্ষ থেকে লে. ইয়াসমিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোনেম বিল্লাহ এবং পোর্ট ফায়ার শাখার কর্মকর্তা খলিলুর রহমান

মহড়া শেষে কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং বন্দর এলাকায় অগ্নিনিরাপত্তা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংস্কারবিরোধী জোট ভাঙতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংস্কারবিরোধী জোট ভাঙতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট নগরে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক-নির্বাচনী উদ্যোগে আয়োজিত আঞ্চলিক পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশকে মধ্যম আয়ের স্তরে এগিয়ে নিতে হলে সংস্কার অপরিহার্য। সংস্কারবিরোধী যে জোট তৈরি হয়েছিল, সেটি ভাঙতে হলে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে।

দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতিবিদেরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং তাঁদের ইশতেহারে প্রতিফলন ঘটনাবেন। তবে এই সরকার একা সব করতে পারবে না, আগামী দিনের সরকারকেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’

ড. দেবপ্রিয় বলেন, আগামী দিনের ইশতেহারে সেই প্রতিশ্রুতিগুলোকে স্থান দেওয়া প্রয়োজন, যার ধারাবাহিকতা নতুন সরকার রক্ষা করবে।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, কতটুকু সংস্কার তারা করতে পেরেছে; বাকি মেয়াদে কতটা সম্পন্ন করতে পারবে। এর আলোকে অসম্পূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে যাওয়ার বিষয়েও ইশতেহারে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে।

এর আগে মুক্ত আলোচনা পর্বে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজিবির ‘মেঘলা’ ধরে ফেলল ২০ লিটার চোলাই মদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) প্রশিক্ষিত কে-নাইন কুকুর ‘মেঘলা’র সূক্ষ্ম ঘ্রাণশক্তি ও দক্ষতায় আবারও ধরা পড়ল মাদক পাচার চক্র। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় হোয়াইক্যং থেকে টেকনাফগামী একটি ইজিবাইক থেকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার ও দুই পাচারকারীকে আটক করে।

বিজিবি জানায়, তল্লাশির একপর্যায়ে কুকুর মেঘলা ইজিবাইকের যাত্রী ও যানটির নিচের অংশে মাদকের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। এরপর বিজিবি সদস্যরা বাইকের পেছনের সিটের নিচে বিশেষভাবে লুকানো পানির বোতলের ভেতর থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই মদ বহনকারী মো. আবুল হাশেম (৩৬) ও তাঁর সহযোগী ইজিবাইকচালক মো. কালা মিয়াকে (৩২) আটক করা হয়।

আটক দুজনের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায়। জব্দকৃত মদ, ইজিবাইক এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ডগ মেঘলা নিয়মিত অভিযানগুলোতে আমাদের চোখের আড়ালে থাকা মাদক খুঁজে বের করতে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে এই প্রশিক্ষিত কুকুরের ভূমিকা এখন বিজিবির বড় শক্তি।’

দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি মেঘলার মতো কে-নাইন টিমও প্রতিনিয়ত অবদান রাখছে বলে বিজিবি জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‘বিএনপি করি, শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’: সেই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, আরপিও সংশোধন অনুমোদন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত