Ajker Patrika

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

পাবনা প্রতিনিধি
গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

পাবনার সাঁথিয়ায় আলেয়া খাতুন নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে টুটুল হোসেন (৪০) নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একই মামলায় ভুক্তভোগীকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে ৫ বছর কারাদণ্ড অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মরদেহ গুমের দায়ে দুই বছর অনাদায়ে আরও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টুটুল উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মল্লিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

মৃত আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মল্লিকের স্ত্রী। 

মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর দুপুরে গৃহবধূ আলেয়া খাতুন বাড়ির পাশে লাকড়ি কুড়াতে ও জমি দেখতে যান। এ সময় টুটুল তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু আলেয়া খাতুনের জবরদস্তির কারণে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে শাড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ধানখেতে লুকিয়ে রাখা হয়। একই দিন রাত ৩টার দিকে মরদেহ ধানখেত থেকে নিয়ে গিয়ে আরও দূরে লুকিয়ে রাখেন তিনি। এ ঘটনায় একই বছরের ৬ নভেম্বর সন্দেহজনকভাবে টুটুলকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন টুটুল। এ সময় তাঁর দেওয়া তথ্য মতে লুকিয়ে রাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় মৃত আলেয়া খাতুনের মেয়ে সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় আসামি টুটুলের বিরুদ্ধে একই বছরের ৭ নভেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আজ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী চৌধুরী রাজিয়া সুলতানা টুলটুলি বলেন, ‘আমরা ক্ষুব্ধ। কারণ আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করছি, আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।’ 

তবে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আশা করছি, আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত