রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
পোস্টে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি ডিনদের অপসারণ করা হয়নাই। নির্বাচিত বলে পুরো ১.৫ বছর স্টে করাইছে প্রশাসন। গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, শুনেছি এই ডিনদের আবার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।’
আম্মার আরও লেখেন, ‘আমার আল্টিমেটাম আমি ফিলাপ করে তারপর ছাড়ি এটা প্রশাসন ভালোমতন জানেন। আজ সময় দিলাম রিজাইনের জন্য সম্মানের সাথে। আগামীকাল অফিসে দেখলে বাকিটা বুঝিয়ে দেবো। সাথে সাথে রাবিয়ানদের অনুরোধ জানাবো, আগামীকাল সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে চলে আসবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডিন নির্বাচনে ১২টি অনুষদের মধ্যে ছয়টিতে জয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ (হলুদ প্যানেল)। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে আইন, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও ভূবিজ্ঞান অনুষদে ডিন নির্বাচিত হন। নির্বাচিত ডিনদের মধ্যে রয়েছেন আইন অনুষদে আইন বিভাগের আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদে গণিত বিভাগের ড. নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূবিজ্ঞান অনুষদে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা।
মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীপন্থী ডিনদের সময় বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর যদি সত্যিকার অর্থে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা থাকত, তাহলে প্রথম ও জরুরি পদক্ষেপ হওয়া উচিত ছিল আওয়ামীপন্থী ডিনদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। ডিন পদটি শুধু প্রশাসনিক নয়; এটি একদিকে একাডেমিক নীতিনির্ধারণে প্রভাবশালী, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর নৈতিক ও আদর্শিক প্রভাব বিস্তারকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি তো দেওয়া হয়নি, বরং আইনগত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা ছাড়াই সময় বাড়ানো হয়েছে। কোন যুক্তিতে এই মেয়াদ বাড়ানো হলো? জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপক্ষের শক্তিকে কেন বারবার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা হচ্ছে?’
তবে আওয়ামীপন্থী ডিনরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ডিনরা কিংবা উপাচার্য সেই দায়িত্ব পালন করেন। এটা নির্বাচিত পদ। এই পদ থেকে পদত্যাগের সুযোগ তাঁদের নেই। ফলে ইচ্ছা করলেই তাঁরা পদত্যাগ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে উপাচার্যকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে যেহেতু আমাদের মেয়াদ গতকাল শেষ হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে এই পদে থাকার ইচ্ছা নেই।’ হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার পদত্যাগের কোনো অধিকার নেই। উপাচার্য যেহেতু দায়িত্ব দিয়েছেন, উপাচার্যকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি চাইলে আরেকটি চিঠি ইস্যু করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।’
ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কি না—জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘তাঁরা নির্বাচিত ডিন হওয়ায় গত এক বছর ধরে আমরা তাঁদের রেখেছি। ১৭ তারিখ সমাবর্তন ছিল, সামনে ভর্তি পরীক্ষা। এই মুহূর্তে ডিন নির্বাচন দিলে ভর্তি পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ডিনদের সরানোর এখতিয়ার কেবল উপাচার্যের। এর আগে করোনাকালেও ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আরও বলেন, উপাচার্যের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপ না বাড়ানোর জন্য তাঁদের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা সিন্ডিকেট সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
পোস্টে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি ডিনদের অপসারণ করা হয়নাই। নির্বাচিত বলে পুরো ১.৫ বছর স্টে করাইছে প্রশাসন। গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, শুনেছি এই ডিনদের আবার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।’
আম্মার আরও লেখেন, ‘আমার আল্টিমেটাম আমি ফিলাপ করে তারপর ছাড়ি এটা প্রশাসন ভালোমতন জানেন। আজ সময় দিলাম রিজাইনের জন্য সম্মানের সাথে। আগামীকাল অফিসে দেখলে বাকিটা বুঝিয়ে দেবো। সাথে সাথে রাবিয়ানদের অনুরোধ জানাবো, আগামীকাল সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে চলে আসবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডিন নির্বাচনে ১২টি অনুষদের মধ্যে ছয়টিতে জয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ (হলুদ প্যানেল)। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে আইন, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও ভূবিজ্ঞান অনুষদে ডিন নির্বাচিত হন। নির্বাচিত ডিনদের মধ্যে রয়েছেন আইন অনুষদে আইন বিভাগের আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদে গণিত বিভাগের ড. নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূবিজ্ঞান অনুষদে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা।
মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীপন্থী ডিনদের সময় বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর যদি সত্যিকার অর্থে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা থাকত, তাহলে প্রথম ও জরুরি পদক্ষেপ হওয়া উচিত ছিল আওয়ামীপন্থী ডিনদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। ডিন পদটি শুধু প্রশাসনিক নয়; এটি একদিকে একাডেমিক নীতিনির্ধারণে প্রভাবশালী, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর নৈতিক ও আদর্শিক প্রভাব বিস্তারকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি তো দেওয়া হয়নি, বরং আইনগত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা ছাড়াই সময় বাড়ানো হয়েছে। কোন যুক্তিতে এই মেয়াদ বাড়ানো হলো? জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপক্ষের শক্তিকে কেন বারবার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা হচ্ছে?’
তবে আওয়ামীপন্থী ডিনরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ডিনরা কিংবা উপাচার্য সেই দায়িত্ব পালন করেন। এটা নির্বাচিত পদ। এই পদ থেকে পদত্যাগের সুযোগ তাঁদের নেই। ফলে ইচ্ছা করলেই তাঁরা পদত্যাগ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে উপাচার্যকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে যেহেতু আমাদের মেয়াদ গতকাল শেষ হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে এই পদে থাকার ইচ্ছা নেই।’ হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার পদত্যাগের কোনো অধিকার নেই। উপাচার্য যেহেতু দায়িত্ব দিয়েছেন, উপাচার্যকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি চাইলে আরেকটি চিঠি ইস্যু করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।’
ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কি না—জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘তাঁরা নির্বাচিত ডিন হওয়ায় গত এক বছর ধরে আমরা তাঁদের রেখেছি। ১৭ তারিখ সমাবর্তন ছিল, সামনে ভর্তি পরীক্ষা। এই মুহূর্তে ডিন নির্বাচন দিলে ভর্তি পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ডিনদের সরানোর এখতিয়ার কেবল উপাচার্যের। এর আগে করোনাকালেও ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আরও বলেন, উপাচার্যের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপ না বাড়ানোর জন্য তাঁদের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা সিন্ডিকেট সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
পোস্টে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি ডিনদের অপসারণ করা হয়নাই। নির্বাচিত বলে পুরো ১.৫ বছর স্টে করাইছে প্রশাসন। গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, শুনেছি এই ডিনদের আবার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।’
আম্মার আরও লেখেন, ‘আমার আল্টিমেটাম আমি ফিলাপ করে তারপর ছাড়ি এটা প্রশাসন ভালোমতন জানেন। আজ সময় দিলাম রিজাইনের জন্য সম্মানের সাথে। আগামীকাল অফিসে দেখলে বাকিটা বুঝিয়ে দেবো। সাথে সাথে রাবিয়ানদের অনুরোধ জানাবো, আগামীকাল সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে চলে আসবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডিন নির্বাচনে ১২টি অনুষদের মধ্যে ছয়টিতে জয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ (হলুদ প্যানেল)। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে আইন, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও ভূবিজ্ঞান অনুষদে ডিন নির্বাচিত হন। নির্বাচিত ডিনদের মধ্যে রয়েছেন আইন অনুষদে আইন বিভাগের আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদে গণিত বিভাগের ড. নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূবিজ্ঞান অনুষদে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা।
মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীপন্থী ডিনদের সময় বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর যদি সত্যিকার অর্থে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা থাকত, তাহলে প্রথম ও জরুরি পদক্ষেপ হওয়া উচিত ছিল আওয়ামীপন্থী ডিনদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। ডিন পদটি শুধু প্রশাসনিক নয়; এটি একদিকে একাডেমিক নীতিনির্ধারণে প্রভাবশালী, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর নৈতিক ও আদর্শিক প্রভাব বিস্তারকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি তো দেওয়া হয়নি, বরং আইনগত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা ছাড়াই সময় বাড়ানো হয়েছে। কোন যুক্তিতে এই মেয়াদ বাড়ানো হলো? জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপক্ষের শক্তিকে কেন বারবার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা হচ্ছে?’
তবে আওয়ামীপন্থী ডিনরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ডিনরা কিংবা উপাচার্য সেই দায়িত্ব পালন করেন। এটা নির্বাচিত পদ। এই পদ থেকে পদত্যাগের সুযোগ তাঁদের নেই। ফলে ইচ্ছা করলেই তাঁরা পদত্যাগ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে উপাচার্যকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে যেহেতু আমাদের মেয়াদ গতকাল শেষ হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে এই পদে থাকার ইচ্ছা নেই।’ হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার পদত্যাগের কোনো অধিকার নেই। উপাচার্য যেহেতু দায়িত্ব দিয়েছেন, উপাচার্যকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি চাইলে আরেকটি চিঠি ইস্যু করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।’
ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কি না—জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘তাঁরা নির্বাচিত ডিন হওয়ায় গত এক বছর ধরে আমরা তাঁদের রেখেছি। ১৭ তারিখ সমাবর্তন ছিল, সামনে ভর্তি পরীক্ষা। এই মুহূর্তে ডিন নির্বাচন দিলে ভর্তি পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ডিনদের সরানোর এখতিয়ার কেবল উপাচার্যের। এর আগে করোনাকালেও ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আরও বলেন, উপাচার্যের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপ না বাড়ানোর জন্য তাঁদের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা সিন্ডিকেট সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
পোস্টে জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি ডিনদের অপসারণ করা হয়নাই। নির্বাচিত বলে পুরো ১.৫ বছর স্টে করাইছে প্রশাসন। গতকাল ১৭ ডিসেম্বর ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে, শুনেছি এই ডিনদের আবার সময় বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।’
আম্মার আরও লেখেন, ‘আমার আল্টিমেটাম আমি ফিলাপ করে তারপর ছাড়ি এটা প্রশাসন ভালোমতন জানেন। আজ সময় দিলাম রিজাইনের জন্য সম্মানের সাথে। আগামীকাল অফিসে দেখলে বাকিটা বুঝিয়ে দেবো। সাথে সাথে রাবিয়ানদের অনুরোধ জানাবো, আগামীকাল সকাল ১০টায় রাকসু ভবনের সামনে চলে আসবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডিন নির্বাচনে ১২টি অনুষদের মধ্যে ছয়টিতে জয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকসমাজ (হলুদ প্যানেল)। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে আইন, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও ভূবিজ্ঞান অনুষদে ডিন নির্বাচিত হন। নির্বাচিত ডিনদের মধ্যে রয়েছেন আইন অনুষদে আইন বিভাগের আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, বিজ্ঞান অনুষদে গণিত বিভাগের ড. নাসিমা আখতার, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম কামরুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ, প্রকৌশল অনুষদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক বিমল কুমার প্রামাণিক এবং ভূবিজ্ঞান অনুষদে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম সেলিম রেজা।
মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীপন্থী ডিনদের সময় বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর যদি সত্যিকার অর্থে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা থাকত, তাহলে প্রথম ও জরুরি পদক্ষেপ হওয়া উচিত ছিল আওয়ামীপন্থী ডিনদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। ডিন পদটি শুধু প্রশাসনিক নয়; এটি একদিকে একাডেমিক নীতিনির্ধারণে প্রভাবশালী, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর নৈতিক ও আদর্শিক প্রভাব বিস্তারকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি তো দেওয়া হয়নি, বরং আইনগত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা ছাড়াই সময় বাড়ানো হয়েছে। কোন যুক্তিতে এই মেয়াদ বাড়ানো হলো? জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপক্ষের শক্তিকে কেন বারবার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা হচ্ছে?’
তবে আওয়ামীপন্থী ডিনরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ডিনরা কিংবা উপাচার্য সেই দায়িত্ব পালন করেন। এটা নির্বাচিত পদ। এই পদ থেকে পদত্যাগের সুযোগ তাঁদের নেই। ফলে ইচ্ছা করলেই তাঁরা পদত্যাগ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে উপাচার্যকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম একরাম উল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে যেহেতু আমাদের মেয়াদ গতকাল শেষ হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে এই পদে থাকার ইচ্ছা নেই।’ হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার পদত্যাগের কোনো অধিকার নেই। উপাচার্য যেহেতু দায়িত্ব দিয়েছেন, উপাচার্যকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি চাইলে আরেকটি চিঠি ইস্যু করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন।’
ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কি না—জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘তাঁরা নির্বাচিত ডিন হওয়ায় গত এক বছর ধরে আমরা তাঁদের রেখেছি। ১৭ তারিখ সমাবর্তন ছিল, সামনে ভর্তি পরীক্ষা। এই মুহূর্তে ডিন নির্বাচন দিলে ভর্তি পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ডিনদের সরানোর এখতিয়ার কেবল উপাচার্যের। এর আগে করোনাকালেও ডিনদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন আরও বলেন, উপাচার্যের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপ না বাড়ানোর জন্য তাঁদের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা সিন্ডিকেট সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি ও চিরিরবন্দর সংবাদদাতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো। সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াতের মতো কৃষকের ন্যায্যমূল্যও আটকে আছে ইছামতীর তীরে। অন্যদিকে দীর্ঘ পথ ঘুরতে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ।
জানা গেছে, এই সাঁকো দিয়েই উপজেলার সাতনালা ও আলোকডিহি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই তো স্বাধীনতার ৫৫ বছর পেরিয়ে আজও বাঁশের সাঁকোর ভরসায় দুই ইউনিয়নের মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সাঁকো ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, ইছামতী ডিগ্রি কলেজ, ইছামতী ফাজিল মাদ্রাসা, মডেল স্কুল এবং রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারে যাতায়াত করেন। ব্যাংক লেনদেন, শিক্ষা কার্যক্রম, হাটবাজারে যাওয়াসহ প্রায় সব কাজে নদী পার হতে হয় এই সাঁকো দিয়ে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি সবজি উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে যোগাযোগব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে নিতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সাঁকোর ওপর দিয়ে ভ্যান বা অন্য কোনো যান চলাচল সম্ভব নয়। ফলে কৃষিপণ্য বহনের জন্য অনেককে চার-পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা।
জোত সাতনালা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, নদীর ওপারে তাঁর বেশির ভাগ জমি। ধান কেটে সাঁকোর কারণে ভ্যানে করে বাড়ি আনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে দূরের পথ ঘুরে ধান পরিবহন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা এসে বলেন, ভোট দিলে এখানে সেতু হবে। কত নির্বাচন চলে গেল, কিন্তু আজও সেতু হলো না।’
জানতে চাইলে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, সাঁকোটির দুই পাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইছামতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
১০ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেসাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাচারিবাজার ব্রিজ থেকে বড়বাজার মাছমহল ব্রিজ পর্যন্ত দেখা যায়, নদের দুই পাশের বাউন্ডারির চার শতাধিক গ্রিল উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে উদ্যোগ নেওয়া নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১১০ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভা যৌথভাবে কাজটি করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পের টাকা নিয়েও লুটপাটের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে নরসুন্দা নদের পাড়ের ওয়াকওয়েতে অধিকাংশ সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর এখানে দেখা যায় ভুতুড়ে অন্ধকার। আলো না থাকার সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে স্থানটি। সন্ধ্যার পর লোকজন ভয়ে এ ওয়াকওয়ে দিয়ে যাতায়াত করেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পৌরবাসী আজিজুল রিয়াদ ও সাকিবসহ কয়েকজন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও পৌর কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে অবহেলার কারণে সরকারি সম্পদ উধাও হয়ে গেছে।’ তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি না থাকায় একটি সিন্ডিকেট নির্ভয়ে এসব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর এসব গ্রিল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবগত করেনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সচিব সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কোনো কিছু জানি না।’
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পটি এলজিইডি বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবির বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব ছিল বাস্তবায়ন করে দেওয়ার, আমরা তা করেছি। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
১০ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
১০ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
৩ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগে এক কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।
১০ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের তারকশাহার হাট এলাকায় ইছামতী নদীর ওপর একটি সেতুর অভাব দীর্ঘদিনের। নদী পারাপারে ভরসা ২৫০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো।
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের বাউন্ডারিতে থাকা চার শতাধিক রডের গ্রিল উধাও হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এত গ্রিল উধাও হয়ে যাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৩ ঘণ্টা আগে