Ajker Patrika

বাঘায় পশুর জোগান বেশি, ক্রেতা কম

গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, বাঘা (রাজশাহী) 
আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ০৯: ৩৬
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের আতারপাড়া গ্রামের জামাল মোল্লার বাড়িতে বিক্রির জন্য দুটি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের আতারপাড়া গ্রামের জামাল মোল্লার বাড়িতে বিক্রির জন্য দুটি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় চাহিদার তুলনায় কোরবানিযোগ্য পশু বেশি থাকলেও হাটে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। এ উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ২৮ হাজার ৩৮২টি পশুর। অথচ পশু মজুত রয়েছে ৩১ হাজার ৪৬৩টি। উদ্বৃত্ত ৩ হাজার ৮১টি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের মোট পশুর মধ্যে রয়েছে:

গরু: ৩ হাজার ৬৯২টি (ষাঁড় ২ হাজার ৮০৫, বলদ ১৫৩, গাভি/বকনা ৭৩১টি)

মহিষ: ৯৭টি

ছাগল: ২৭ হাজার ২৪৩টি

ভেড়া: ৪৩১টি

গত দুই বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৪ সালে কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ৪ হাজার ৫১২টি, চাহিদা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭১টি, উদ্বৃত্ত ছিল ৫ হাজার ২৫৩টি। ২০২৩ সালে পশু ছিল ৪৪ হাজার ১১১টি, চাহিদা ছিল ৩৯ হাজার ২৫৬টি, উদ্বৃত্ত ছিল ৪ হাজার ৮৫৫টি।

এবার এত পশু থাকলেও হাটে ক্রেতার ভিড় তুলনামূলক কম। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের দাম বেশি। অনেকেই আশা করছেন, শেষ সময়ে দাম কিছুটা কমবে। তবে খামারিরা বলছেন, খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।

দিঘা গ্রামের খামারি মফিদুল ইসলাম বলেন, `প্রতিদিন একটি গরুর পেছনে ৪০০–৫০০ টাকা খরচ হয়। এবার চারটি গরু বিক্রি করেছি, যার মধ্যে একটি ২ লাখ ৯৫ হাজার, আরেকটি ১ লাখ ৫০ হাজার ও বাকি দুটি ১ লাখ টাকা করে। তবে খরচের তুলনায় আশানুরূপ লাভ হয়নি।’

একই গ্রামের গরু ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, `১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় কেনা গরুর দাম হাটে বলা হচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বাজারে জমজমাট কেনাকাটার দৃশ্য এবার অনুপস্থিত।’

দিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাষক আনিছুর রহমান বলেন, `গত বছর ৩৩ কেজি ওজনের একটি খাসি ২৬ হাজার ৫০০ টাকায় কিনেছিলাম। এবার একই ওজনের খাসির দাম চাইছে ৩১ হাজার টাকা।’ তিনি মনে করেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এবারের কোরবানির সংখ্যা কম হতে পারে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় উৎস থেকেই কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে এবং এবারও ছাগলের চাহিদা বেশি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, ঈদ উপলক্ষে জনভোগান্তি রোধে হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। হাটে কোনো রোগাক্রান্ত পশু বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। হাটের বাইরে পশু বিক্রি করলে ‘হাসিল’ আদায় করা যাবে না বলেও তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ নিয়ে যা বললেন নাহিদের সাবেক পিএ আতিক

আরাকান আর্মির হাতে মিয়ানমারের জেনারেল নিহত, চীনা টার্মিনালের কাছে চলছে লড়াই

সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধই সেনাবাহিনীর চেতনার উৎস: সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার

বগুড়ায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ ও আনসার সদস্য কারাগারে

শেরপুরে ৮৫ বস্তা সরকারি চালসহ বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত