Ajker Patrika

শোডাউন করে ‘ক্ষমতা’ জানান দিলেন নাটোর বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা

নাটোর প্রতিনিধি 
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ১৮
Thumbnail image
সাবেক জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদের করা শোডাউনে হাজারো সমর্থক। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মোটরসাইকেল শোডাউন করার অভিযোগ এনে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাবেক এই নেতা এবার দলের বাইরে থেকেই জানান দিয়েছেন নিজের ক্ষমতা। প্রায় ২০ হাজার দলীয় অনুসারী নিয়ে করেছেন বিশাল কর্মী শোডাউন।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মী শোডাউন থেকে দলীয় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক এই সদস্যসচিব। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

আজ রোববার দুপুরে সিংড়া পৌর শহরে এ কর্মী শোডাউনের নেতৃত্ব দেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ। তবে এ শোডাউনকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক ও পৌর এলাকার কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেল শোডাউন করায় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়ে একই দিনে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এ ঘটনার পর দাউদার মাহমুদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে বহিষ্কারের পরেও দাউদার মাহমুদ নিজ কার্যালয়ে তার অনুসারী বিএনপি কর্মীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচিগুলো পালন করে আসছিলেন। বহিষ্কারের পর আজ প্রথমবারের মতো বিশাল কর্মী শোডাউন করেন দাউদার।

আজ সকাল থেকেই সিংড়া গরুহাটা এলাকায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অনুসারী নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে আসা শুরু করেন। দুপুর ১২টায় কর্মীদের বিশাল মিছিল আত্রাই নদ ও পৌর শহর অতিক্রম করে কোর্ট মাঠে এসে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্যে দাউদার মাহমুদ তাঁর অনুসারী কর্মীদের বিএনপির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন।

দাউদার মাহমুদ অভিযোগ করেন, তাঁর কর্মসূচিতে দলের পদস্থ নেতাদের যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে। কোনো নেতা যোগ দিলে তাঁকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

দাউদার আরও বলেন, ‘আমি ২৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের সময় ১৫ বছরে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন আমি নির্যাতিত কর্মীদের আগলে রেখেছি। হাইকমান্ডকে ভুল বুঝিয়ে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাকে বহিষ্কার করা হলেও দলের সব কর্মী যে আমার সঙ্গে আছেন, তা-ই তাঁরা আজ প্রমাণ করেছেন এই কর্মসূচি থেকে। বাধা না দিলে অর্ধলক্ষাধিক কর্মী সমাগম হতো।’

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আদর্শের যে কেউ বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি পালন করতে পারে। তবে দাউদার মাহমুদ বহিষ্কৃত, যা দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থেই করা হয়েছে। তিনি বিএনপিকে ভালোবেসে এ কর্মসূচি পালন করলে আমাদের বলার কিছু নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত