Ajker Patrika

এনসিপির মিছিলে রাজনীতি নিষিদ্ধ রুয়েটের কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
আপডেট : ০৪ মে ২০২৫, ২০: ৩২
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা ভেঙে জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মসূচিতে অংশ নেন রুয়েটের সংস্থাপন ও প্রশাসন শাখার জুনিয়র সেকশন অফিসার আশিক ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা ভেঙে জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মসূচিতে অংশ নেন রুয়েটের সংস্থাপন ও প্রশাসন শাখার জুনিয়র সেকশন অফিসার আশিক ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) রাজনীতি নিষিদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটির কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নির্দেশনা ভেঙে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন আশিক ইকবাল নামের এক কর্মকর্তা। তিনি রুয়েটের সংস্থাপন ও প্রশাসন শাখার জুনিয়র সেকশন অফিসার।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল শনিবার বিকেলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে এনসিপি, রাজশাহী। এ কর্মসূচিতে অংশ নেন রুয়েট কর্মকর্তা আশিক। মিছিল ও সমাবেশের সময় সামনের সারিতে ব্যানার ধরে থাকতে দেখা যায় তাঁকে।

এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা অকপটেই স্বীকার করেছেন রুয়েট কর্মকর্তা আশিক ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আমি এনসিপির মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি কাগজে-কলমে এনসিপির কোথাও নেই। ওই দিকে ছিলাম, একজন ডাকল; তাই মিছিলে অংশ নিই।’

রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা তো আমি দেখিনি। তবে তিনি যদি এটা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অমান্য করেছেন।’ নির্দেশনা অমান্য করায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে জাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আমি তো অফিশিয়ালি জানি না এখনো। আমরা বিষয়টা দেখব।’

প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এতে বলা হয়, রুয়েট আইন, ২০০৩-এর ৪৪(৪) ও ৪৫(৫) ধারা অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। এ ছাড়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন, ছায়া সংগঠন ও এর কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১০৫তম জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই আদেশ জারি করা হয় বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বরও একই ধরনের একটি আদেশ জারি করেছিল রুয়েট প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত