নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস ইস্যুতে এবার মাঠে নামল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। প্রথমবারের মতো সমাবেশ করে সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি করেছেন।
আজ সোমবার সকালে নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ পালিত হয়। এতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন। পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এই ঘটনার পর কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই অপেক্ষায় তারা এত দিন বসে ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেখে তাঁরা মাঠে নামলেন।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাবলু সরকারের একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও কলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় তাঁকে। ডাবলু সরকার দাবি করেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির শরীরের ওপরের অংশ তাঁর। তবে নিচের অংশ তাঁর নয়। ভিডিওটি সম্পাদন করা দাবি করে তিনি থানায় মামলা করেন।
এই ভিডিও ইস্যুতে ডাবলুর বহিষ্কার দাবিতে প্রথম মাঠে নামেন কিছু নেতা-কর্মী। দলীয় কোনো পদে না থাকা এসব নেতা-কর্মীরা ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’ ও ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী’ ব্যানারে সোচ্চার হন। তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি জানান। এ ইস্যুতে প্রথম গত ২ মার্চ ‘সচেতন রাজশাহীবাসীর’ ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে ডাবলু সরকারের ভাই শাহনেওয়াজ সরকার সেডু ও জেডু সরকারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারপরও একই দাবিতে কয়েক দিন কর্মসূচি পালিত হয়। তবে এসব কর্মসূচিতে ছিলেন না নগর আওয়ামী লীগের পদে থাকা নেতারা। এই ভিডিও নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছিলেন না, মাঠেও নামছিলেন না। অবশেষে সোমবার তারা প্রথমবারের মতো মাঠে নামলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডিও সামনে আসার পরে তাঁর উচিত ছিল পদ ছেড়ে দিয়ে আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে আসা। তাহলে আমাদের মুখ রক্ষা পেত। এখন লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না।’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সারা দেশের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সংগঠন। কিন্তু এখন এই ভিডিও দেখে মানুষ আমাদের ধিক্কার জানাচ্ছে। ছিঃ ছিঃ করছে। আমরা লজ্জায় রাস্তায় বের হতে পারছি না। এখনো সময় আছে। নেতৃবৃন্দকে বলব, সবাই মিলে দলের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে চলেন। বিষয়টি তাদেরকেই সুরাহা করে দিতে বলেন।’
কর্মসূচিতে অন্য বক্তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কার দাবি করে বলেন, সামনে সিটি নির্বাচন। এরপর জাতীয় নির্বাচন। ডাবলু সরকারের নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তাই ডাবলু সরকারকে এখনই বহিষ্কার করতে হবে। আর ভিডিওর ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষা করুক। পরীক্ষায় যদি আসে যে এই ভিডিও সম্পাদন করা তাহলে ডাবলু সরকার সসম্মানে রাজনীতিতে ফিরে আসুক। আর ভিডিও সত্য হলে তাঁর মতো নেতার দরকার নেই।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন-নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, শাহাদাৎ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, শামিমা ইয়াসমিন শিখা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এফএমএ জাহিদ, প্রচার সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার শরিফ, কবিকুঞ্জের সভাপতি আরিফুল হক কুমার, নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মইনুল ইসলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোহেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মবিন সবুজ, সাবেক সভাপতি নাঈমুল হুদা রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্ত, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ, সাবেক ছাত্রনেতা আবু রায়হান মাসুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:

সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস ইস্যুতে এবার মাঠে নামল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। প্রথমবারের মতো সমাবেশ করে সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি করেছেন।
আজ সোমবার সকালে নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ পালিত হয়। এতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন। পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এই ঘটনার পর কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই অপেক্ষায় তারা এত দিন বসে ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেখে তাঁরা মাঠে নামলেন।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাবলু সরকারের একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও কলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় তাঁকে। ডাবলু সরকার দাবি করেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির শরীরের ওপরের অংশ তাঁর। তবে নিচের অংশ তাঁর নয়। ভিডিওটি সম্পাদন করা দাবি করে তিনি থানায় মামলা করেন।
এই ভিডিও ইস্যুতে ডাবলুর বহিষ্কার দাবিতে প্রথম মাঠে নামেন কিছু নেতা-কর্মী। দলীয় কোনো পদে না থাকা এসব নেতা-কর্মীরা ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’ ও ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী’ ব্যানারে সোচ্চার হন। তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি জানান। এ ইস্যুতে প্রথম গত ২ মার্চ ‘সচেতন রাজশাহীবাসীর’ ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে ডাবলু সরকারের ভাই শাহনেওয়াজ সরকার সেডু ও জেডু সরকারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারপরও একই দাবিতে কয়েক দিন কর্মসূচি পালিত হয়। তবে এসব কর্মসূচিতে ছিলেন না নগর আওয়ামী লীগের পদে থাকা নেতারা। এই ভিডিও নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছিলেন না, মাঠেও নামছিলেন না। অবশেষে সোমবার তারা প্রথমবারের মতো মাঠে নামলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডিও সামনে আসার পরে তাঁর উচিত ছিল পদ ছেড়ে দিয়ে আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে আসা। তাহলে আমাদের মুখ রক্ষা পেত। এখন লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না।’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সারা দেশের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সংগঠন। কিন্তু এখন এই ভিডিও দেখে মানুষ আমাদের ধিক্কার জানাচ্ছে। ছিঃ ছিঃ করছে। আমরা লজ্জায় রাস্তায় বের হতে পারছি না। এখনো সময় আছে। নেতৃবৃন্দকে বলব, সবাই মিলে দলের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে চলেন। বিষয়টি তাদেরকেই সুরাহা করে দিতে বলেন।’
কর্মসূচিতে অন্য বক্তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কার দাবি করে বলেন, সামনে সিটি নির্বাচন। এরপর জাতীয় নির্বাচন। ডাবলু সরকারের নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তাই ডাবলু সরকারকে এখনই বহিষ্কার করতে হবে। আর ভিডিওর ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষা করুক। পরীক্ষায় যদি আসে যে এই ভিডিও সম্পাদন করা তাহলে ডাবলু সরকার সসম্মানে রাজনীতিতে ফিরে আসুক। আর ভিডিও সত্য হলে তাঁর মতো নেতার দরকার নেই।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন-নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, শাহাদাৎ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, শামিমা ইয়াসমিন শিখা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এফএমএ জাহিদ, প্রচার সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার শরিফ, কবিকুঞ্জের সভাপতি আরিফুল হক কুমার, নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মইনুল ইসলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোহেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মবিন সবুজ, সাবেক সভাপতি নাঈমুল হুদা রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্ত, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ, সাবেক ছাত্রনেতা আবু রায়হান মাসুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস ইস্যুতে এবার মাঠে নামল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। প্রথমবারের মতো সমাবেশ করে সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি করেছেন।
আজ সোমবার সকালে নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ পালিত হয়। এতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন। পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এই ঘটনার পর কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই অপেক্ষায় তারা এত দিন বসে ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেখে তাঁরা মাঠে নামলেন।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাবলু সরকারের একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও কলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় তাঁকে। ডাবলু সরকার দাবি করেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির শরীরের ওপরের অংশ তাঁর। তবে নিচের অংশ তাঁর নয়। ভিডিওটি সম্পাদন করা দাবি করে তিনি থানায় মামলা করেন।
এই ভিডিও ইস্যুতে ডাবলুর বহিষ্কার দাবিতে প্রথম মাঠে নামেন কিছু নেতা-কর্মী। দলীয় কোনো পদে না থাকা এসব নেতা-কর্মীরা ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’ ও ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী’ ব্যানারে সোচ্চার হন। তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি জানান। এ ইস্যুতে প্রথম গত ২ মার্চ ‘সচেতন রাজশাহীবাসীর’ ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে ডাবলু সরকারের ভাই শাহনেওয়াজ সরকার সেডু ও জেডু সরকারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারপরও একই দাবিতে কয়েক দিন কর্মসূচি পালিত হয়। তবে এসব কর্মসূচিতে ছিলেন না নগর আওয়ামী লীগের পদে থাকা নেতারা। এই ভিডিও নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছিলেন না, মাঠেও নামছিলেন না। অবশেষে সোমবার তারা প্রথমবারের মতো মাঠে নামলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডিও সামনে আসার পরে তাঁর উচিত ছিল পদ ছেড়ে দিয়ে আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে আসা। তাহলে আমাদের মুখ রক্ষা পেত। এখন লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না।’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সারা দেশের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সংগঠন। কিন্তু এখন এই ভিডিও দেখে মানুষ আমাদের ধিক্কার জানাচ্ছে। ছিঃ ছিঃ করছে। আমরা লজ্জায় রাস্তায় বের হতে পারছি না। এখনো সময় আছে। নেতৃবৃন্দকে বলব, সবাই মিলে দলের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে চলেন। বিষয়টি তাদেরকেই সুরাহা করে দিতে বলেন।’
কর্মসূচিতে অন্য বক্তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কার দাবি করে বলেন, সামনে সিটি নির্বাচন। এরপর জাতীয় নির্বাচন। ডাবলু সরকারের নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তাই ডাবলু সরকারকে এখনই বহিষ্কার করতে হবে। আর ভিডিওর ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষা করুক। পরীক্ষায় যদি আসে যে এই ভিডিও সম্পাদন করা তাহলে ডাবলু সরকার সসম্মানে রাজনীতিতে ফিরে আসুক। আর ভিডিও সত্য হলে তাঁর মতো নেতার দরকার নেই।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন-নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, শাহাদাৎ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, শামিমা ইয়াসমিন শিখা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এফএমএ জাহিদ, প্রচার সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার শরিফ, কবিকুঞ্জের সভাপতি আরিফুল হক কুমার, নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মইনুল ইসলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোহেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মবিন সবুজ, সাবেক সভাপতি নাঈমুল হুদা রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্ত, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ, সাবেক ছাত্রনেতা আবু রায়হান মাসুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:

সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস ইস্যুতে এবার মাঠে নামল রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। প্রথমবারের মতো সমাবেশ করে সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি করেছেন।
আজ সোমবার সকালে নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি ও সমাবেশ পালিত হয়। এতে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন। পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, এই ঘটনার পর কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই অপেক্ষায় তারা এত দিন বসে ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেখে তাঁরা মাঠে নামলেন।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাবলু সরকারের একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও কলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় তাঁকে। ডাবলু সরকার দাবি করেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির শরীরের ওপরের অংশ তাঁর। তবে নিচের অংশ তাঁর নয়। ভিডিওটি সম্পাদন করা দাবি করে তিনি থানায় মামলা করেন।
এই ভিডিও ইস্যুতে ডাবলুর বহিষ্কার দাবিতে প্রথম মাঠে নামেন কিছু নেতা-কর্মী। দলীয় কোনো পদে না থাকা এসব নেতা-কর্মীরা ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’ ও ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী’ ব্যানারে সোচ্চার হন। তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কারের দাবি জানান। এ ইস্যুতে প্রথম গত ২ মার্চ ‘সচেতন রাজশাহীবাসীর’ ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে ডাবলু সরকারের ভাই শাহনেওয়াজ সরকার সেডু ও জেডু সরকারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারপরও একই দাবিতে কয়েক দিন কর্মসূচি পালিত হয়। তবে এসব কর্মসূচিতে ছিলেন না নগর আওয়ামী লীগের পদে থাকা নেতারা। এই ভিডিও নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছিলেন না, মাঠেও নামছিলেন না। অবশেষে সোমবার তারা প্রথমবারের মতো মাঠে নামলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডিও সামনে আসার পরে তাঁর উচিত ছিল পদ ছেড়ে দিয়ে আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে আসা। তাহলে আমাদের মুখ রক্ষা পেত। এখন লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না।’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সারা দেশের মধ্যে খুবই শক্তিশালী সংগঠন। কিন্তু এখন এই ভিডিও দেখে মানুষ আমাদের ধিক্কার জানাচ্ছে। ছিঃ ছিঃ করছে। আমরা লজ্জায় রাস্তায় বের হতে পারছি না। এখনো সময় আছে। নেতৃবৃন্দকে বলব, সবাই মিলে দলের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে চলেন। বিষয়টি তাদেরকেই সুরাহা করে দিতে বলেন।’
কর্মসূচিতে অন্য বক্তারা ডাবলু সরকারের বহিষ্কার দাবি করে বলেন, সামনে সিটি নির্বাচন। এরপর জাতীয় নির্বাচন। ডাবলু সরকারের নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। তাই ডাবলু সরকারকে এখনই বহিষ্কার করতে হবে। আর ভিডিওর ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষা করুক। পরীক্ষায় যদি আসে যে এই ভিডিও সম্পাদন করা তাহলে ডাবলু সরকার সসম্মানে রাজনীতিতে ফিরে আসুক। আর ভিডিও সত্য হলে তাঁর মতো নেতার দরকার নেই।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন-নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, শাহাদাৎ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, শামিমা ইয়াসমিন শিখা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এফএমএ জাহিদ, প্রচার সম্পাদক দিলীপ ঘোষ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার শরিফ, কবিকুঞ্জের সভাপতি আরিফুল হক কুমার, নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মইনুল ইসলাম মোস্তফা প্রমুখ।
এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোহেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মবিন সবুজ, সাবেক সভাপতি নাঈমুল হুদা রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাসিক দত্ত, নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ, সাবেক ছাত্রনেতা আবু রায়হান মাসুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:

নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত এবং অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এ সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায়।
৪ মিনিট আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সুতা কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে টানা পাঁচ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ধানখেতে পানি জমে গেছে। হেলে পড়েছে আধা পাকা ও পাকা ধানের গাছ। কৃষকদের আশঙ্কা, পানিতে ডুবে থাকায় এই ধান আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না, ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
১২ মিনিট আগে
শিহাব আলীর বয়স সবে ১৭। হাজারো কল্পনা, প্রেম, বন্ধুত্ব, হাসি-আনন্দে ভরে ছিল তার দিনগুলো। কিশোর শিহাব ভালোবেসেছিল এক কিশোরীকে। মনের টানেই গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো দেখা করতে গিয়েছিল তার সঙ্গে।
২০ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত এবং অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এ সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায়। এ সরকারের নির্বাচনের যেমন একটা ম্যান্ডেট রয়েছে, এই সরকারের জুলাই সনদের একটা ম্যান্ডেট রয়েছে, এ সরকারের সংস্কারের একটি ম্যান্ডেট রয়েছে। গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যারা আগে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন, এখন তারাই বলছে—সনদে যা ছিল, তা আর নেই। তারাই এখন বলছে, জুলাই সনদ দরকার নেই। যারা জুলাই সনদ চায় না, তারা আসলে দেশটাকে কোনদিকে নিতে চাচ্ছে, তা মানুষ বুঝতে পেরেছে।’
আজ রোববার সকালে ভোলা জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টির ভোলা জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এখন নাকি চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সার্টিফিকেট নিতে হবে—যার আমলে ২ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে, শত শত মানুষ আহত হয়েছে। সেই হাসিনার সময়কার চুপ্পুর কাছ থেকে যদি আমাদের জুলাই সার্টিফিকেট নিতে হয়, তবে আমাদের নদীতে ডুবে মরে যাওয়াই ভালো। একজন শহীদ পরিবার কিংবা আহত কেউ চুপ্পুর কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে রাজি হবে না।’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিপির নেতা বলেন, ‘দ্রুত জুলাই সনদের আদেশ দিন। জনগণ এখন তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমাদের জোট হবে জুলাই ’২৪-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা ও সংস্কারে বিশ্বাসী, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আস্থাশীল রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে। তারাই দেশের পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে।’
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সভায় এনসিপির ভোলা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা আলম মিতু। সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব এবং শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মেসবাহ কামাল, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, আবু সাঈদ মুসা প্রমুখ।

নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত এবং অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এ সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায়। এ সরকারের নির্বাচনের যেমন একটা ম্যান্ডেট রয়েছে, এই সরকারের জুলাই সনদের একটা ম্যান্ডেট রয়েছে, এ সরকারের সংস্কারের একটি ম্যান্ডেট রয়েছে। গণভোট হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যারা আগে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছিলেন, এখন তারাই বলছে—সনদে যা ছিল, তা আর নেই। তারাই এখন বলছে, জুলাই সনদ দরকার নেই। যারা জুলাই সনদ চায় না, তারা আসলে দেশটাকে কোনদিকে নিতে চাচ্ছে, তা মানুষ বুঝতে পেরেছে।’
আজ রোববার সকালে ভোলা জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টির ভোলা জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এখন নাকি চুপ্পুর কাছ থেকে জুলাই সার্টিফিকেট নিতে হবে—যার আমলে ২ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে, শত শত মানুষ আহত হয়েছে। সেই হাসিনার সময়কার চুপ্পুর কাছ থেকে যদি আমাদের জুলাই সার্টিফিকেট নিতে হয়, তবে আমাদের নদীতে ডুবে মরে যাওয়াই ভালো। একজন শহীদ পরিবার কিংবা আহত কেউ চুপ্পুর কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে রাজি হবে না।’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিপির নেতা বলেন, ‘দ্রুত জুলাই সনদের আদেশ দিন। জনগণ এখন তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়।’
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমাদের জোট হবে জুলাই ’২৪-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা ও সংস্কারে বিশ্বাসী, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আস্থাশীল রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে। তারাই দেশের পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে।’
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সভায় এনসিপির ভোলা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা আলম মিতু। সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব এবং শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মেসবাহ কামাল, কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, আবু সাঈদ মুসা প্রমুখ।

ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডি
২৭ মার্চ ২০২৩
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সুতা কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে টানা পাঁচ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ধানখেতে পানি জমে গেছে। হেলে পড়েছে আধা পাকা ও পাকা ধানের গাছ। কৃষকদের আশঙ্কা, পানিতে ডুবে থাকায় এই ধান আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না, ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
১২ মিনিট আগে
শিহাব আলীর বয়স সবে ১৭। হাজারো কল্পনা, প্রেম, বন্ধুত্ব, হাসি-আনন্দে ভরে ছিল তার দিনগুলো। কিশোর শিহাব ভালোবেসেছিল এক কিশোরীকে। মনের টানেই গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো দেখা করতে গিয়েছিল তার সঙ্গে।
২০ মিনিট আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সুতা কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে শ্রীপুর থানায় এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ মামলাটি করেছেন। তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর শুরু করেন। একেকটি মেশিনের দাম দেড় কোটি টাকা।
বেশ কিছু মেশিনের মনিটর ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কারখানার শতাধিক ল্যাপটপ। লুটপাট করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মেশিন। প্রতিটি ফ্লোরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ২৪ অক্টোবর পরিশোধ করার পরও পরপর তিন দিন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। কারখানায় যে পরিমাণ ভাঙচুর চালিয়েছে, এর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ মামলায় উল্লেখ করেছে, শ্রমিকেরা ভাঙচুর করে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকার এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানায় ভাঙচুর চালান।
পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। ২৭ অক্টোবর কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরে কারখানা খোলার দাবিতে পরপর তিন দিন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।

বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সুতা কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে শ্রীপুর থানায় এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ মামলাটি করেছেন। তিনি জানান, গত ২৩ অক্টোবর বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর শুরু করেন। একেকটি মেশিনের দাম দেড় কোটি টাকা।
বেশ কিছু মেশিনের মনিটর ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কারখানার শতাধিক ল্যাপটপ। লুটপাট করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মেশিন। প্রতিটি ফ্লোরের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ২৪ অক্টোবর পরিশোধ করার পরও পরপর তিন দিন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। কারখানায় যে পরিমাণ ভাঙচুর চালিয়েছে, এর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ মামলায় উল্লেখ করেছে, শ্রমিকেরা ভাঙচুর করে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকার এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানায় ভাঙচুর চালান।
পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। ২৭ অক্টোবর কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরে কারখানা খোলার দাবিতে পরপর তিন দিন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।

ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডি
২৭ মার্চ ২০২৩
নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত এবং অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এ সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায়।
৪ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে টানা পাঁচ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ধানখেতে পানি জমে গেছে। হেলে পড়েছে আধা পাকা ও পাকা ধানের গাছ। কৃষকদের আশঙ্কা, পানিতে ডুবে থাকায় এই ধান আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না, ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
১২ মিনিট আগে
শিহাব আলীর বয়স সবে ১৭। হাজারো কল্পনা, প্রেম, বন্ধুত্ব, হাসি-আনন্দে ভরে ছিল তার দিনগুলো। কিশোর শিহাব ভালোবেসেছিল এক কিশোরীকে। মনের টানেই গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো দেখা করতে গিয়েছিল তার সঙ্গে।
২০ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে টানা পাঁচ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ধানখেতে পানি জমে গেছে। হেলে পড়েছে আধা পাকা ও পাকা ধানের গাছ। কৃষকদের আশঙ্কা, পানিতে ডুবে থাকায় এই ধান আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না, ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভারী বর্ষণ হয়। দীর্ঘ বৃষ্টিপাতে বোনা আমন ও রোপা আমনের খেত পানিতে ডুবে যায়। কিছু জায়গায় ধানের গাছ পুরোপুরি মাটিতে লেগে শুয়ে আছে, ফলে মাঠে প্রবেশ করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আজ রোববার দুপুরে রশুনিয়া ইউনিয়নের হিরণের খিলগাঁও, ইছাপুরা, বয়রাগাদী, মালখানগর ও মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, খেতে হাঁটু পর্যন্ত পানি, ধানগাছের শীষ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। বেশির ভাগ ধানগাছ হেলে পড়ায় চাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ১৫৬ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে হেলে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা ধান রয়েছে।
ইছাপুরা ইউনিয়নের কৃষক মো. হাবিব বলেন, ‘আর কয়েক দিন পরই ধান কাটার পরিকল্পনা ছিল। হঠাৎ এত বৃষ্টি হবে বুঝিনি। পানি উঠে যাওয়ায় ধান শুয়ে পড়েছে, মনে হচ্ছে, অনেক ধানই ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারব না।’
হিরণের খিলগাঁও গ্রামের কৃষক সালাম শেখ বলেন, পানি না নামলে ধান কাটতে সমস্যা হবে। শ্রমিকের ভাড়াও এখন ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এতে কাটার খরচও অনেক বেশি পড়বে।
মধ্যপাড়া ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমার জমিতে আধা পাকা ধান। পানিতে পড়ে যাওয়ায় গাছগুলো আর ওঠার মতো নেই। দানা পুরোপুরি হয়নি, এগুলো বাঁচানো সম্ভব নয়, এবার বড় লোকসান হবে।’
বয়রাগাদী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘আমি ১৯০ শতাংশ জমিতে ধান বুনেছি, সবই এখন পানিতে। আধা পাকা ধান রক্ষা করা খুব কঠিন হবে। পানি কমলেও গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, টানা বৃষ্টিতে কিছু জমিতে পানি জমেছে, ধানগাছও নিমজ্জিত হয়েছে। যেসব জমির ধান পরিপক্ব হয়েছে, সেগুলো দ্রুত কেটে ফেললে ক্ষতি হবে না। তবে কাঁচা ধানের কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাছ শুয়ে থাকলে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি থাকে। তাই কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে টানা পাঁচ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ধানখেতে পানি জমে গেছে। হেলে পড়েছে আধা পাকা ও পাকা ধানের গাছ। কৃষকদের আশঙ্কা, পানিতে ডুবে থাকায় এই ধান আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না, ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভারী বর্ষণ হয়। দীর্ঘ বৃষ্টিপাতে বোনা আমন ও রোপা আমনের খেত পানিতে ডুবে যায়। কিছু জায়গায় ধানের গাছ পুরোপুরি মাটিতে লেগে শুয়ে আছে, ফলে মাঠে প্রবেশ করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
আজ রোববার দুপুরে রশুনিয়া ইউনিয়নের হিরণের খিলগাঁও, ইছাপুরা, বয়রাগাদী, মালখানগর ও মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, খেতে হাঁটু পর্যন্ত পানি, ধানগাছের শীষ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। বেশির ভাগ ধানগাছ হেলে পড়ায় চাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ১৫৬ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে হেলে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা ধান রয়েছে।
ইছাপুরা ইউনিয়নের কৃষক মো. হাবিব বলেন, ‘আর কয়েক দিন পরই ধান কাটার পরিকল্পনা ছিল। হঠাৎ এত বৃষ্টি হবে বুঝিনি। পানি উঠে যাওয়ায় ধান শুয়ে পড়েছে, মনে হচ্ছে, অনেক ধানই ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারব না।’
হিরণের খিলগাঁও গ্রামের কৃষক সালাম শেখ বলেন, পানি না নামলে ধান কাটতে সমস্যা হবে। শ্রমিকের ভাড়াও এখন ৩০-৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এতে কাটার খরচও অনেক বেশি পড়বে।
মধ্যপাড়া ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমার জমিতে আধা পাকা ধান। পানিতে পড়ে যাওয়ায় গাছগুলো আর ওঠার মতো নেই। দানা পুরোপুরি হয়নি, এগুলো বাঁচানো সম্ভব নয়, এবার বড় লোকসান হবে।’
বয়রাগাদী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল সাত্তার বলেন, ‘আমি ১৯০ শতাংশ জমিতে ধান বুনেছি, সবই এখন পানিতে। আধা পাকা ধান রক্ষা করা খুব কঠিন হবে। পানি কমলেও গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, টানা বৃষ্টিতে কিছু জমিতে পানি জমেছে, ধানগাছও নিমজ্জিত হয়েছে। যেসব জমির ধান পরিপক্ব হয়েছে, সেগুলো দ্রুত কেটে ফেললে ক্ষতি হবে না। তবে কাঁচা ধানের কিছু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাছ শুয়ে থাকলে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি থাকে। তাই কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডি
২৭ মার্চ ২০২৩
নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত এবং অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এ সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায়।
৪ মিনিট আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সুতা কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
শিহাব আলীর বয়স সবে ১৭। হাজারো কল্পনা, প্রেম, বন্ধুত্ব, হাসি-আনন্দে ভরে ছিল তার দিনগুলো। কিশোর শিহাব ভালোবেসেছিল এক কিশোরীকে। মনের টানেই গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো দেখা করতে গিয়েছিল তার সঙ্গে।
২০ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শিহাব আলীর বয়স সবে ১৭। হাজারো কল্পনা, প্রেম, বন্ধুত্ব, হাসি-আনন্দে ভরে ছিল তার দিনগুলো। কিশোর শিহাব ভালোবেসেছিল এক কিশোরীকে। মনের টানেই গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো দেখা করতে গিয়েছিল তার সঙ্গে। কয়েক সেকেন্ডের দৃষ্টি বিনিময়, কিছু কথা—এই ক্ষণিক মুহূর্তটাই ছিল কিশোরটির জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
কিন্তু সেই মুহূর্তের পরই ওলটপালট হয়ে যায় সবকিছু। প্রেমিকার প্রতিবেশীরা লাঠি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে কিশোর শিহাবের ওপর। বেধড়ক পিটুনিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আইসিইউতে টানা ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে শনিবার নিভে যায় কিশোর শিহাবের জীবন প্রদীপ। আজ রোববার বাদ আসর শত স্বজনের কান্নায় জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বসন্তপুর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় তার।
শিহাব রাজশাহীর বসন্তপুর গ্রামের ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। দুই বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই ছিল সে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার দোকানেও কাজ করত। তার এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মা শারমিন বেগম, বাবা রিপন ও দুই বোন এখন বাকরুদ্ধ। বারবার মায়ের আর্তনাদ ‘তুই একবার আব্বা বলে ডাকলি না রে বাপ, তুই চলে গেলি’। চারপাশের বাতাস ভারী করে তুলছে।
আজ দুপুরে হাসপাতাল থেকে শিহাবের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে চারপাশে কান্নার রোল পড়ে যায়। বাবা রিপন ছেলের মুখে হাত রেখে বারবার বলছিলেন, ‘তুই একবার চোখ খুলে তাকাস বাপ, একবার।’ এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্যে কেঁদেছে গোটা গ্রাম। ছেলের মৃত্যুর পর বাবা রিপন এখন ন্যায়বিচার চান। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের নাম জানিয়ে মামলা করেছি। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার হয় না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।’
শিহাবের ওপর হামলার পর গত ২৪ অক্টোবর রাতে রিপন বান্দুড়িয়া এলাকার রতন আলী, কানন, সুজন আলী, ইয়ার উদ্দীন, শরীফ, রাব্বি, হালিম, কলিমসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলা হওয়ার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শিহাবের মৃত্যুর পর ওই মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়েছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, আসামিদের অবস্থান জানানো হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান গুরুত্ব দেননি। তাঁদের ভাষায়, ‘আসামিরা দিনের পর দিন এলাকায় ঘুরেছে, চা খেয়েছে, রাতেও বাড়িতে থেকেছে। অথচ পুলিশ শুধু আশ্বাস দিয়েছে।’ শিহাবের খালাতো ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘কম বয়সের ছেলেটাকে নির্মমভাবে মারা হলো। অথচ পুলিশ বলছে—“ধরব ধরব।” আমরা এখন শুধু চাই, ওর হত্যাকারীরা যেন শাস্তি পায়।’
জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আসামিরা পলাতক। বাংলাদেশের যেখানেই তারা লুকাক না কেন, শিগগিরই তাদের ধরা হবে।’ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলিম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিহাব আলীর বয়স সবে ১৭। হাজারো কল্পনা, প্রেম, বন্ধুত্ব, হাসি-আনন্দে ভরে ছিল তার দিনগুলো। কিশোর শিহাব ভালোবেসেছিল এক কিশোরীকে। মনের টানেই গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো দেখা করতে গিয়েছিল তার সঙ্গে। কয়েক সেকেন্ডের দৃষ্টি বিনিময়, কিছু কথা—এই ক্ষণিক মুহূর্তটাই ছিল কিশোরটির জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।
কিন্তু সেই মুহূর্তের পরই ওলটপালট হয়ে যায় সবকিছু। প্রেমিকার প্রতিবেশীরা লাঠি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে কিশোর শিহাবের ওপর। বেধড়ক পিটুনিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আইসিইউতে টানা ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে শনিবার নিভে যায় কিশোর শিহাবের জীবন প্রদীপ। আজ রোববার বাদ আসর শত স্বজনের কান্নায় জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বসন্তপুর গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় তার।
শিহাব রাজশাহীর বসন্তপুর গ্রামের ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। দুই বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই ছিল সে। চলতি বছর এসএসসি পাস করেছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার দোকানেও কাজ করত। তার এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মা শারমিন বেগম, বাবা রিপন ও দুই বোন এখন বাকরুদ্ধ। বারবার মায়ের আর্তনাদ ‘তুই একবার আব্বা বলে ডাকলি না রে বাপ, তুই চলে গেলি’। চারপাশের বাতাস ভারী করে তুলছে।
আজ দুপুরে হাসপাতাল থেকে শিহাবের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে চারপাশে কান্নার রোল পড়ে যায়। বাবা রিপন ছেলের মুখে হাত রেখে বারবার বলছিলেন, ‘তুই একবার চোখ খুলে তাকাস বাপ, একবার।’ এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্যে কেঁদেছে গোটা গ্রাম। ছেলের মৃত্যুর পর বাবা রিপন এখন ন্যায়বিচার চান। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের নাম জানিয়ে মামলা করেছি। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার হয় না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।’
শিহাবের ওপর হামলার পর গত ২৪ অক্টোবর রাতে রিপন বান্দুড়িয়া এলাকার রতন আলী, কানন, সুজন আলী, ইয়ার উদ্দীন, শরীফ, রাব্বি, হালিম, কলিমসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। কিন্তু মামলা হওয়ার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শিহাবের মৃত্যুর পর ওই মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়েছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, আসামিদের অবস্থান জানানো হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান গুরুত্ব দেননি। তাঁদের ভাষায়, ‘আসামিরা দিনের পর দিন এলাকায় ঘুরেছে, চা খেয়েছে, রাতেও বাড়িতে থেকেছে। অথচ পুলিশ শুধু আশ্বাস দিয়েছে।’ শিহাবের খালাতো ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘কম বয়সের ছেলেটাকে নির্মমভাবে মারা হলো। অথচ পুলিশ বলছে—“ধরব ধরব।” আমরা এখন শুধু চাই, ওর হত্যাকারীরা যেন শাস্তি পায়।’
জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আসামিরা পলাতক। বাংলাদেশের যেখানেই তারা লুকাক না কেন, শিগগিরই তাদের ধরা হবে।’ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলিম বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ডাবলু সরকার আমার কাছে অনুরোধ করেন, আমি যেন পুলিশ কমিশনারকে বলি ভিডিওটি ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আমি বলেছি, আগে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং দাও, মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি মিটিং না দিয়ে নিজের গা বাঁচাতে ভিডিও মিথ্যা দাবি করে মামলা করলেন। এটা নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নয়। এমন আপত্তিকর ভিডি
২৭ মার্চ ২০২৩
নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত এবং অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায়, যারা এ সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায়।
৪ মিনিট আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সুতা কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে টানা পাঁচ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ধানখেতে পানি জমে গেছে। হেলে পড়েছে আধা পাকা ও পাকা ধানের গাছ। কৃষকদের আশঙ্কা, পানিতে ডুবে থাকায় এই ধান আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না, ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।
১২ মিনিট আগে