প্রতিনিধি
পুঠিয়া (রাজশাহী): প্রবাদ আছে ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’। এই প্রবাদের বাস্তব রূপকার কাদের আলী, বাদশা মিয়া, নুরুল হকরা। ছাই থেকে সোনা-রূপা খুঁজে বের করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা। তাঁদের মতো রাজশাহীর পুঠিয়ায় অন্তত সাতটি পরিবার এই পেশায় যুক্ত। এলাকায় তাঁরা ছাই কারবারি নামেই পরিচিত।
কাদের আলী বলেন, এখানে যারা এই পেশায় আছেন তাদের সবাই এসেছেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইল উপজেলা থেকে। প্রায় ২০ বছর আগে পুঠিয়া সদর এলাকায় মাত্র দুজন এসেছিলাম। এখন নয় জনের মতো আছি। পুঠিয়া ও পাশের উপজেলায় সোনা-রূপার অলঙ্কার তৈরির দোকানগুলো থেকে পরিত্যক্ত ছাই-ধুলো সংগ্রহ করেন। এরপর পানিতে ধুয়ে গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধাতুর গুঁড়া আলাদা করা হয়। এসব ধাতু গলিয়ে আলাদা করা হয় সোনা–রূপা।
কথা হয় উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ছাই ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পাঁচটি পরিবার এই গ্রামে বাস করি। এর মধ্যে অনেকেই নিজস্ব বাড়ি করেছেন। কেউ ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ছাই–ধুলি সংগ্রহের জন্য স্বর্ণকারদের মাসে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার ভালোই চলে। ভাগ্য ভালো হলে ৩০-৪০ হাজার টাকাও আয় হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৭-১৮ বছর আগে মাত্র দুই একজন ব্যবসায়ী এই এলাকায় আসেন। এখন আট–নয় আছেন। কয়েক বছ আগে আরও বেশি ছিলেন। তবে অলঙ্কার তৈরির দোকান থেকে পর্যাপ্ত ছাই-মাটি না পাওয়ায় অনেকে অন্য এলাকায় চলে গেছেন।
বানেশ্বর বাজার এলাকার অলঙ্কার কারিগর জিতেন কুমার কর্মকার বলেন, আমি এখানে দুই যুগ ধরে কাজ করে আসছি। অনেক দোকানে কাজ করেছি। কাজের সময় সোনা বা রূপার কিছু অংশ পড়ে হারিয়ে যায়। ১৫-২০ বছর আগেও কারখানার ছাই-ধুলো ফেলে দেয়া হতো। এখন একটি বস্তায় জমা করা হয়। মাস শেষে বিক্রি হয়। এই ধুলো বেচে যা আসে তা দিয়ে বছরে অর্ধেক দোকান ভাড়া উঠে যায়।
পুঠিয়া-ঝলমলিয়া বাজার এলাকার অলঙ্কার ব্যবসায়ী জিয়াউল হক জিয়া বলেন, বেশিরভাগ দোকানের ছাই-ধুলো মালিকরা বিক্রি করেন। এতে বছর বা মাস শেষে কিছু আয় হয়। আবার কারিগরদের কাজের সরঞ্জামের মধ্যেও কিছু গুঁড়ো পড়ে থাকে। সেগুলোই তারাই বিক্রি করেন। এটা কারিগরদের একটা বাড়তি আয়।
পুঠিয়া (রাজশাহী): প্রবাদ আছে ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’। এই প্রবাদের বাস্তব রূপকার কাদের আলী, বাদশা মিয়া, নুরুল হকরা। ছাই থেকে সোনা-রূপা খুঁজে বের করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা। তাঁদের মতো রাজশাহীর পুঠিয়ায় অন্তত সাতটি পরিবার এই পেশায় যুক্ত। এলাকায় তাঁরা ছাই কারবারি নামেই পরিচিত।
কাদের আলী বলেন, এখানে যারা এই পেশায় আছেন তাদের সবাই এসেছেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইল উপজেলা থেকে। প্রায় ২০ বছর আগে পুঠিয়া সদর এলাকায় মাত্র দুজন এসেছিলাম। এখন নয় জনের মতো আছি। পুঠিয়া ও পাশের উপজেলায় সোনা-রূপার অলঙ্কার তৈরির দোকানগুলো থেকে পরিত্যক্ত ছাই-ধুলো সংগ্রহ করেন। এরপর পানিতে ধুয়ে গহনা তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধাতুর গুঁড়া আলাদা করা হয়। এসব ধাতু গলিয়ে আলাদা করা হয় সোনা–রূপা।
কথা হয় উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ছাই ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পাঁচটি পরিবার এই গ্রামে বাস করি। এর মধ্যে অনেকেই নিজস্ব বাড়ি করেছেন। কেউ ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ছাই–ধুলি সংগ্রহের জন্য স্বর্ণকারদের মাসে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার ভালোই চলে। ভাগ্য ভালো হলে ৩০-৪০ হাজার টাকাও আয় হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৭-১৮ বছর আগে মাত্র দুই একজন ব্যবসায়ী এই এলাকায় আসেন। এখন আট–নয় আছেন। কয়েক বছ আগে আরও বেশি ছিলেন। তবে অলঙ্কার তৈরির দোকান থেকে পর্যাপ্ত ছাই-মাটি না পাওয়ায় অনেকে অন্য এলাকায় চলে গেছেন।
বানেশ্বর বাজার এলাকার অলঙ্কার কারিগর জিতেন কুমার কর্মকার বলেন, আমি এখানে দুই যুগ ধরে কাজ করে আসছি। অনেক দোকানে কাজ করেছি। কাজের সময় সোনা বা রূপার কিছু অংশ পড়ে হারিয়ে যায়। ১৫-২০ বছর আগেও কারখানার ছাই-ধুলো ফেলে দেয়া হতো। এখন একটি বস্তায় জমা করা হয়। মাস শেষে বিক্রি হয়। এই ধুলো বেচে যা আসে তা দিয়ে বছরে অর্ধেক দোকান ভাড়া উঠে যায়।
পুঠিয়া-ঝলমলিয়া বাজার এলাকার অলঙ্কার ব্যবসায়ী জিয়াউল হক জিয়া বলেন, বেশিরভাগ দোকানের ছাই-ধুলো মালিকরা বিক্রি করেন। এতে বছর বা মাস শেষে কিছু আয় হয়। আবার কারিগরদের কাজের সরঞ্জামের মধ্যেও কিছু গুঁড়ো পড়ে থাকে। সেগুলোই তারাই বিক্রি করেন। এটা কারিগরদের একটা বাড়তি আয়।
উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে। আগামী তিন থেকে চার দিন এসব নদ-নদীতে পানি বাড়া অব্যাহত থাকতে পারে। একই সময়ে তিস্তার পানি কমতে শুরু করবে।
১ মিনিট আগেমাদারীপুরের রাজৈরে এক আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক এক কাউন্সিলরসহ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির দুই শতাধিক সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগদান করেছেন। আজ শনিবার (১৭ মে) দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁরা এনসিপিতে যোগদান করেন।
৪ মিনিট আগেমঞ্চে উঠতে বাধা দেওয়ায় কুমিল্লায় জুলাই সমাবেশ বয়কট ও তিন সমন্বয়ককে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়কদের একাংশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্
১১ মিনিট আগেফকিরহাটে ইউপি সদস্যের ভাই মাহাতাব শেখকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১১ মিনিট আগে