নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ নিয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। এ জন্য গত ১৬ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি) নামে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। নাম প্রস্তাবের দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরবর্তী দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে উচ্চপর্যায়ের যে বিশেষজ্ঞ কমিটির চার মাসের টাইমফ্রেম ছিল, সেটিও গত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও সমাধান না আসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুরু থেকে তাঁরা সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন। এ জন্য তাঁরা তাঁদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতাও করে এসেছেন। মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁরা টেবিলের আলোচনাও জারি রেখেছেন। ফলে তাঁরা তাঁদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম পেয়েছেন। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যেন এ নামেই আটকে আছে! পরবর্তী কার্যক্রম আর এগোচ্ছে না। ফলে তাঁরা আবার মাঠের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্য আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তাঁরা।
সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের অর্গানাইজিং উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের অভিপ্রায়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও অধিভুক্তি বাতিলের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদন এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ সম্পর্কে আমাদের প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি সবার কাছে তুলে ধরতে জরুরি ভিত্তিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় ইডেন মহিলা কলেজের ১ নম্বর গেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে এ কমিটিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চার মাস শেষ হলেও কমিটি নাম এবং অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রস্তাব করা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবগুলো কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে। ইউজিসি সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি নাম প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে সাত কলেজের ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়েও আমাদের কাজ করতে হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি। ঢাবি এতে সম্মতি দিয়েছে। এ ছাড়া লোগো এবং মডেলের কাজ প্রায় চূড়ান্ত। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রশাসকও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার এ প্রশাসনের অনুমোদন দিলে বাকি কাজগুলো ধাপে ধাপে দৃশ্যমান হবে।’
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ এবং শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু অধিভুক্তির পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের শেষের দিকে অন্তর্বর্তী সরকার সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের ঘোষণা দেয়।
এদিকে, গত ২৫ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ‘সম্মানজনক পৃথকীকরণের’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ঢাবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সিন্ডিকেট সভায় পৃথক্করণের এই অনুমোদন দেওয়া হয়। ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের ফলে সাত কলেজ কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। অবশ্য অধিভুক্তি বাতিলের আলোচনার মধ্যে ইউজিসি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ কলেজগুলো পরিচালনায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রস্তাব দেয়। তবে প্রস্তাব পাঠানোর আড়াই মাস পার হলেও এখনো সেটির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ‘কালক্ষেপণের’ অভিযোগ তুলে মাঠপর্যায়ে আবার কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা সেই কর্মসূচির বিস্তারিত জানাবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ঝুলে থাকা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দ্রুত অনুমোদনের দাবি থাকতে পারে। এ ছাড়া চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল-লোগো প্রকাশ এবং সর্বোপরি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশের দাবিতে আলটিমেটাম দেওয়া হতে পারে। এসব দাবি শিক্ষার্থীরা ঈদুল আজহার ছুটির আগেই আদায় করতে চান।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন দেওয়ার কথা থাকলেও তা কোনো এক অদৃশ্য কারণে এখনো ঝুলে আছে। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো, একাডেমিক কার্যক্রম, পরীক্ষাসহ সবকিছুতেই আমাদের এখনো ঢাবির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে; যা একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা রাজপথে আর নামতে চাই না। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে গিয়েছিলাম। তবে রাষ্ট্র আমাদের আবার পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে ফিরতে বাধ্য করছে।’
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ নিয়ে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। এ জন্য গত ১৬ মার্চ ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি) নামে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। নাম প্রস্তাবের দীর্ঘ দুই মাস অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরবর্তী দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে উচ্চপর্যায়ের যে বিশেষজ্ঞ কমিটির চার মাসের টাইমফ্রেম ছিল, সেটিও গত ৩০ এপ্রিল শেষ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও সমাধান না আসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুরু থেকে তাঁরা সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছেন। এ জন্য তাঁরা তাঁদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতাও করে এসেছেন। মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁরা টেবিলের আলোচনাও জারি রেখেছেন। ফলে তাঁরা তাঁদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম পেয়েছেন। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যেন এ নামেই আটকে আছে! পরবর্তী কার্যক্রম আর এগোচ্ছে না। ফলে তাঁরা আবার মাঠের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্য আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তাঁরা।
সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের অর্গানাইজিং উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের অভিপ্রায়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও অধিভুক্তি বাতিলের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদন এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ সম্পর্কে আমাদের প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি সবার কাছে তুলে ধরতে জরুরি ভিত্তিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় ইডেন মহিলা কলেজের ১ নম্বর গেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে এ কমিটিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চার মাস শেষ হলেও কমিটি নাম এবং অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রস্তাব করা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবগুলো কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে। ইউজিসি সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি নাম প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে সাত কলেজের ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়েও আমাদের কাজ করতে হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি। ঢাবি এতে সম্মতি দিয়েছে। এ ছাড়া লোগো এবং মডেলের কাজ প্রায় চূড়ান্ত। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রশাসকও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকার এ প্রশাসনের অনুমোদন দিলে বাকি কাজগুলো ধাপে ধাপে দৃশ্যমান হবে।’
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ এবং শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু অধিভুক্তির পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের শেষের দিকে অন্তর্বর্তী সরকার সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের ঘোষণা দেয়।
এদিকে, গত ২৫ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ‘সম্মানজনক পৃথকীকরণের’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ঢাবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সিন্ডিকেট সভায় পৃথক্করণের এই অনুমোদন দেওয়া হয়। ঢাবির অধিভুক্তি বাতিলের ফলে সাত কলেজ কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। অবশ্য অধিভুক্তি বাতিলের আলোচনার মধ্যে ইউজিসি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ কলেজগুলো পরিচালনায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রস্তাব দেয়। তবে প্রস্তাব পাঠানোর আড়াই মাস পার হলেও এখনো সেটির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ‘কালক্ষেপণের’ অভিযোগ তুলে মাঠপর্যায়ে আবার কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা সেই কর্মসূচির বিস্তারিত জানাবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ঝুলে থাকা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দ্রুত অনুমোদনের দাবি থাকতে পারে। এ ছাড়া চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল-লোগো প্রকাশ এবং সর্বোপরি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশের দাবিতে আলটিমেটাম দেওয়া হতে পারে। এসব দাবি শিক্ষার্থীরা ঈদুল আজহার ছুটির আগেই আদায় করতে চান।
জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন দেওয়ার কথা থাকলেও তা কোনো এক অদৃশ্য কারণে এখনো ঝুলে আছে। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন ও অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো, একাডেমিক কার্যক্রম, পরীক্ষাসহ সবকিছুতেই আমাদের এখনো ঢাবির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে; যা একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা রাজপথে আর নামতে চাই না। আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে গিয়েছিলাম। তবে রাষ্ট্র আমাদের আবার পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে ফিরতে বাধ্য করছে।’
শিক্ষার্থীদের দাবি না মেনে গাজীপুরে অবস্থিত জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। ষষ্ঠ জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘অনিবার্য কারণবশত’...
১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে বাংলা ট্রিবিউনের আতিক হাসান শুভ ও সাধারণ সম্পাদক পদে এখন টেলিভিশনের মো. বাইজীদ হোসেন সা’দ নির্বাচিত হয়েছেন।
২ দিন আগেএকজন নিবন্ধিত ও সনদপ্রাপ্ত লাইভস্টক ডিগ্রিধারীর প্রধান কাজ হচ্ছে, প্রাণীর কষ্ট লাঘব ও ব্যথা উপশমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া। তাঁদের কাজ টিকাদান, কৃত্রিম প্রজনন, বার্ডিজ দ্বারা খোজাকরণ, ওয়ার্ড ড্রেসিং ইত্যাদি। এ ছাড়া ভেটেরিনারি কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন সেবাও তাঁরা প্রদান করেন, যা প্রাণিসম্পদ
২ দিন আগেস্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে সামার ২০২৫ সেশনে ভর্তি শুরু হয়েছে। এই ইউনিভার্সিটি ৫টি অনুষদের অধীনে ১৪টি বিভাগে ২৯টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি নিচ্ছে।
২ দিন আগে