Ajker Patrika

স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে থানায় অভিযোগ

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে থানায় অভিযোগ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্ত্রী সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য উদ্যত হয়েছেন এক যুবক। এমন অভিযোগ তুলেছেন খোদ ওই যুবকের স্ত্রী। উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের হাট রাজবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল রোববার ভুক্তভোগী নারী আদরী খাতুন (২৫) বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আদরী রাজবাড়ী হাট এলাকার মৃত সুবহান আলীর মেয়ে এবং আদরীর স্বামী সুমন (২৮) রাজবাড়ী হাট এলাকার মহেশ কর্মকারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আদরী খাতুনের স্বামী সুমন (নব মুসলিম) পূর্বের নাম রিংকু (২৮) ধর্মান্তরিত হয়ে ৭ বছর আগে কোর্টে অ্যাফিডেভিট করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আদরীর কোলজুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান। যার বর্তমান বয়স ১০ মাস। এদিকে সুমন স্ত্রী-সন্তান রেখে সনাতন ধর্মে ফিরে গিয়ে বিয়ে করার জন্য পাত্রী দেখছেন এমন খবর আদরীর কাছে পৌঁছালে আদরী থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আদরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সুমনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৭ বছর আগে সুমনকে বিয়ে করব বলে আমার নামে থাকা রাজবাড়ী হাটে মহিলা মার্কেটের দোকান বিক্রি করে টাকা নিয়ে নওগাঁ কোর্টে সুমনকে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমরা জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম। সুমন কখনো রাজমিস্ত্রি কখনো 'স' মিলে কাজ করত। সুখেই ছিলাম আমরা। দশ মাসের ছেলে ও আমাকে রেখে কিছুদিন আগে উধাও হয়ে যায় সুমন। পরে জানতে পারি সে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। আমিও মহাদেবপুর থেকে বাবার বাড়ি ফিরে এসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে আবার ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখছে। ফলে উপায় না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করি সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জন্য।’ 

রাজবাড়ী হাট এলাকার বাসিন্দা সেন্টু আলী বলেন, ‘১০ মাসের ছেলে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আদরী? আদরী ও সুমনের বিয়ের পর তাঁরা সুখেই ছিল। আদরীর নামে থাকা রাজবাড়ী হাটের মার্কেট বিক্রি করে দেয় স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে থাকবে বলে। কিন্তু সুমন আদরীকে এমনভাবে ফাঁকি দিবে ভাবাই যায় না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন হয় সবাই।’

এ ব্যাপারে আদরীর স্বামী সুমন ও শ্বশুর মহেশ কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং বাড়িতে যোগাযোগ করলে বাড়ির দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। 

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত