সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভা এলাকায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ তিন মাস না পেরোতেই কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
সাঁথিয়া পৌরসভার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকার বোয়াইলমারী কালিচরণের বাড়ি থেকে আমোষ তিন মাথা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের সংস্কার করা হয়। সব কাজ শেষ না হলেও যান চলাচলের জন্য গত জুনে সড়কের উদ্বোধন করা হয়। এতে ইমপ্রুভিং আরবান গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্টের (আইইউজিআইপি) আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। কাজ পায় ডিসিএল অ্যান্ড ওসি জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজের তদারকিতে পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল। গত জুনে তড়িঘড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে সড়কের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখনো সড়কের বাতি লাগানো বাকি, ট্রাফিক সাইনের কাজ শেষ হয়নি। পুরোনো প্যালাসাইডিং ব্যবহার করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, সম্প্রতি বৃষ্টিপাতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বোয়াইলমারী এলাকায় সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিকের বাড়ির পাশে, এলিনের বাড়ির পাশে ও আমোষ এলাকায় ধস দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় সড়কের পাশে মাটি ভালোভাবে দেওয়া হয়নি। পুরোনো প্যালাসাইডিং ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টিপাতেই মাটি ধসে প্যালাসাইডিং পুকুরে পড়ে গেছে। এ ছাড়া সড়কের বেশ কয়েক জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে।
সড়কের সংস্কারকাজ নিয়ে হতাশার কথা জানান বোয়াইলমারি গ্রামের আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, সড়কের কাজ শেষ হওয়ার আগেই এভাবে ধসে যাবে। সড়ক ভেঙে যাবে এটা কেমন কথা? নিশ্চয়ই এ কাজে ত্রুটি রয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সিরাজ মিয়া বলেন, ‘এত দিন আমরা অনেক কষ্ট করে যাত্রীদের নিয়ে গাড়ি চালিয়েছি। আশা ছিল সড়কটির কাজ সম্পন্ন হলে হয়তো চলাচলের কষ্টটা লাঘব হবে। কিন্তু এখন তো দেখি উল্টো হচ্ছে।’
সাবেক পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। ধস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এই সড়ক কয়েক দিনেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
অভিযোগের বিষয়ে সড়ক সংস্কার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল অ্যান্ড ওসি জেভির স্বত্বাধিকারী হারুনের সঙ্গে কথা হয়। তবে তিনি কাজের অনিয়মের বিষয় এড়িয়ে যান। পরে দেখা করতে বলেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজুল আলম বলেন, ‘তদন্ত করেছি। মাটি এবং প্যালাসাইডিং দুর্বল হওয়ায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে গেছে। যেহেতু এখনো কাজ শেষ হয়নি, তাই সব টাকা দেওয়া হয়নি।’
পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল হক বলেন, ‘এখানে পুরোনো প্যালাসাইডিং ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কের পাশে পুকুর থাকায় প্যালাসাইডিং পড়ে গেছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, সংস্কার করে দেবেন। ঠিকাদারকে এখনো চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয় নাই। ঠিকাদার যদি সড়কটি ঠিক করে না দেন, তাহলে চূড়ান্ত বিল দেওয়া হবে না।’
পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভা এলাকায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ তিন মাস না পেরোতেই কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
সাঁথিয়া পৌরসভার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকার বোয়াইলমারী কালিচরণের বাড়ি থেকে আমোষ তিন মাথা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের সংস্কার করা হয়। সব কাজ শেষ না হলেও যান চলাচলের জন্য গত জুনে সড়কের উদ্বোধন করা হয়। এতে ইমপ্রুভিং আরবান গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্টের (আইইউজিআইপি) আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। কাজ পায় ডিসিএল অ্যান্ড ওসি জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাজের তদারকিতে পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল। গত জুনে তড়িঘড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে সড়কের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখনো সড়কের বাতি লাগানো বাকি, ট্রাফিক সাইনের কাজ শেষ হয়নি। পুরোনো প্যালাসাইডিং ব্যবহার করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, সম্প্রতি বৃষ্টিপাতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বোয়াইলমারী এলাকায় সাবেক মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিকের বাড়ির পাশে, এলিনের বাড়ির পাশে ও আমোষ এলাকায় ধস দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় সড়কের পাশে মাটি ভালোভাবে দেওয়া হয়নি। পুরোনো প্যালাসাইডিং ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টিপাতেই মাটি ধসে প্যালাসাইডিং পুকুরে পড়ে গেছে। এ ছাড়া সড়কের বেশ কয়েক জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে।
সড়কের সংস্কারকাজ নিয়ে হতাশার কথা জানান বোয়াইলমারি গ্রামের আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, সড়কের কাজ শেষ হওয়ার আগেই এভাবে ধসে যাবে। সড়ক ভেঙে যাবে এটা কেমন কথা? নিশ্চয়ই এ কাজে ত্রুটি রয়েছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সিরাজ মিয়া বলেন, ‘এত দিন আমরা অনেক কষ্ট করে যাত্রীদের নিয়ে গাড়ি চালিয়েছি। আশা ছিল সড়কটির কাজ সম্পন্ন হলে হয়তো চলাচলের কষ্টটা লাঘব হবে। কিন্তু এখন তো দেখি উল্টো হচ্ছে।’
সাবেক পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কয়েকটি স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। ধস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এই সড়ক কয়েক দিনেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
অভিযোগের বিষয়ে সড়ক সংস্কার কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসিএল অ্যান্ড ওসি জেভির স্বত্বাধিকারী হারুনের সঙ্গে কথা হয়। তবে তিনি কাজের অনিয়মের বিষয় এড়িয়ে যান। পরে দেখা করতে বলেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজুল আলম বলেন, ‘তদন্ত করেছি। মাটি এবং প্যালাসাইডিং দুর্বল হওয়ায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে গেছে। যেহেতু এখনো কাজ শেষ হয়নি, তাই সব টাকা দেওয়া হয়নি।’
পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল হক বলেন, ‘এখানে পুরোনো প্যালাসাইডিং ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কের পাশে পুকুর থাকায় প্যালাসাইডিং পড়ে গেছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, সংস্কার করে দেবেন। ঠিকাদারকে এখনো চূড়ান্ত বিল দেওয়া হয় নাই। ঠিকাদার যদি সড়কটি ঠিক করে না দেন, তাহলে চূড়ান্ত বিল দেওয়া হবে না।’
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে