Ajker Patrika

ছেলের পরিকল্পনায় জমির দলিল ও টাকা লুট করতে গিয়েই হত্যাকাণ্ড

নবাবগঞ্জ ও দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ২৮
ছেলের পরিকল্পনায় জমির দলিল ও টাকা লুট করতে গিয়েই হত্যাকাণ্ড

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মো. হাফিজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ফেন্সী আরা হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। নিহত হাফিজুর রহমানের বড় ছেলে আবদুল মতিন মিঠুসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ রহস্য জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শচীন চাকমা। 

পুলিশ সুপার বলেন, ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে নবাবগঞ্জ থানার ৬ নম্বর ভাদুরিয়া ইউনিয়নের নির্শা কাজলদিঘি গ্রামের হাফিজুর রহমানের পিতা মৃত আহাদ আলীর বাড়িতে ডাকাতি হয় এবং গৃহকর্তা হাফিজুর রহমান (৭৫) এবং গৃহকর্ত্রী ফেন্সী আরা বেগম খুন হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত ব্যক্তিদের কনিষ্ঠ পুত্র মো. আবদুল মালেকের (২৩) অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নবাবগঞ্জ থানায় একটি খুনসহ ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। ৬ নভেম্বর ৩৯৬/৩৪ ধারায় হওয়া এ মামলার নম্বর ০৩। 

দিনাজপুর জেলা পুলিশ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের একাধিক টিম ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা বেশ কিছু বিষয় সামনে রেখে তদন্ত পরিচালনা করেন। অবশেষে ১০ নভেম্বর ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন করতে সমর্থ হয় পুলিশ। 
 
শচীন চাকমা জানান, ঘটনার পর থেকে মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. আবদুল মতিন মিঠুর (৫০) আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এর সূত্র ধরে পরে প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ঘটনায় সরাসরি ২ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ধরঞ্জী গ্রামের মো. রাজা মিয়ার ছেলে রাজন মিয়াকে (২৫) দিনাজপুর সরকারি কলেজ এলাকা ও একই গ্রামের এনামুল হকের ছেলে মো. উজ্জ্বল হোসেনকে (২৫) দাউদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

আটক ব্যক্তিদের তথ্যমতে পিতা-মাতাকে হত্যায় জড়িত থাকায় একই দিন মৃত দম্পতির ছেলে মো. আবদুল মতিন মিঠুকেও (৫০) আটক করা হয়। 

এ সময় পুলিশ জানায়, নিহত হাফিজুর রহমানের ছেলে গ্রেপ্তার মিঠু তাঁর বাবার কাছে থাকা জমির দলিল চুরি করার জন্য ফুফাতো ভাই সুলতান মাহমুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন। দলিল এনে দিতে পারলে বাড়িতে থাকা টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়। 

সেই পরিকল্পনামতে সুলতান মাহমুদ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার চেষ্টার পর ঘটনার দিন আসামিরা প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করেন। গৃহকর্ত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে গেলে সুযোগ বুঝে আসামিরা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপরে তাঁরা প্রথমে গৃহকর্ত্রীকে অন্য রুমে বেঁধে ফেলেন। পরে শোয়ার ঘরে গিয়ে দলিলাদি, টাকা ও স্বর্ণালংকার চিনিয়ে নেওয়ার সময় গৃহকর্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তাঁকে হত্যা করেন এবং পরে গৃহকর্ত্রীকেও হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যান। এই ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং শিগগিরই তাঁদের আটক করা হবে বলে জানান তিনি। 

আটক ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত