Ajker Patrika

আজও চুল-দাঁড়িতেই জীবিকা তাঁদের

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
Thumbnail image

আধুনিকতা ও ডিজিটালের ছোঁয়ায় অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটলেও গ্রামীণ হাটবাজারে বসে চুল-দাঁড়ি কাটা নাপিতের কদর একটুও কমেনি। আজও নাপিতরা ধরে রেখেছেন বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী পেশা। এ ছাড়া কম পয়সায় চুল-দাঁড়ি কাটার এমন সুযোগ পেয়ে গ্রামের স্বল্প আয়ের লোকজনও ছুটে যান ওই সব নাপিতের কাছে। 

জানা যায়, চুল দাঁড়ি কাটার পসরা সাজিয়ে বসেছেন বাগমারা উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের জোলাপাড়া হাটে। এ হাটে নাপিত বাঁধন চন্দ্র শীল, নিতাই শীল ও আবুল কাসেমসহ অনেকে চুল দাঁড়ি কাটেন। প্রত্যেক রোববার সেখানে হাট বসে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন হাটবারে ছুটে এসেছেন চুল দাঁড়ি কাটাতে। মফিজ উদ্দিন শেখ তাঁদেরই একজন। তাঁর বয়স আশি ছুঁই ছুঁই। হাটে এসেছিলেন হাঁস বিক্রি করতে। এক জোড়া দেশি হাঁস ৭০০ টাকায় বিক্রি করে নিত্যপণ্যের বাজার সেরেছেন। এবার বাড়ি ফেরার আগে চুল দাঁড়ি কাটাতে গেছেন নিতাই শীলের কাছে। বসেছেন একটি পিঁড়িতে। নিতাই শীল তাঁর চুলগুলো কেটে চাপ দাঁড়িগুলো সাইজ করে দিচ্ছেন। এ কাজের জন্য নিতাই শীল পাবেন ৩০ টাকা। সস্তায় চুল দাঁড়ি কাটাতে পেরে মফিজ উদ্দিন শেখ দারুন খুশি। 

তাঁর পাশেই আরেক বাক্‌প্রতিবন্ধী নাপিত আবুল কাসেম দ্রুত কাজ করে চলেছেন। প্রতিবন্ধী হলেও চুল দাঁড়ি কাটায় তাঁর কাজের গতি বেশ। পিঁড়ি এগিয়ে দিয়ে তার কাছে আসা খদ্দরদের ইশারায় সেখানে বসতে বলছেন। 

নাপিত নিতাই শীল বলেন, এটা আমাদের তিন পুরুষের পেশা। এ হাটেই এক সময় দুই টাকায় চুল ও এক টাকায় দাঁড়ি কেটেছেন। 

খদ্দর মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, এভাবেই চুল দাঁড়ি কেটে বয়স আশি পার হল। আমার এক নাতি ঢাকায় লেখাপড়া করেন। শুনেছি তাঁর একবার চুল দাঁড়ি কাটতে খরচ হয় ৩০০ টাকা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত