আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
মিনহাজুল ইসলামকে দুই বছরের রেখে প্রায় ১৫ বছর আগে স্ত্রী মেরিনা খাতুনের (৪০) সঙ্গে অভিমান করে প্রবাসে চলে যান আবু বক্কর সরদার (৫০)। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি। সেই থেকে মেরিনা খাতুন বাবার বাড়ি থাকতেন। একসময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মাকে দেখাশোনার জন্য কিশোর মিনহাজ গার্মেন্টে চাকরি নেয়। গত ২০ জুলাই কারফিউ চলাকালে গাজীপুরে গুলিতে নিহত হয় মিনহাজ। সেই থেকে মেরিনার কান্না আর থামছে না। এখন স্বামী-সন্তানহারা তাঁর কী হবে!
মিনহাজুল ইসলামের (১৭) বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার উত্তর রামশালা গ্রামে। গাজীপুরের বড়বাড়ীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করত সে। থাকত খালার বাসায়। গত কোরবানির ঈদের ছুটিতে মিনহাজ বাড়ি এসে অসুস্থ মাকে খালার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার মায়ের চিকিৎসা চলছিল। গত ২০ জুলাই কারফিউ চলাকালে বন্ধুদের আমন্ত্রণে বাসা থেকে নিচে নেমেছিল মিনহাজ। পাঁচ বন্ধু মিলে বাসার পাশের সড়কে সিঙ্গারা খাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের গুলিতে মিনহাজসহ তিনজন নিহত হয়।
নিহত মিনহাজের খালু শাহ পরান বলেন, ‘মিনহাজ আমাদের সঙ্গে পাঁচতলায় থাকত। গত ২০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সড়কে যায়। এ সময় কারফিউ চলছিল। এ সময় পুলিশ গুলি ছোড়ে। তার বাঁ কনুই ভেদ করে বাঁ পাঁজরে একটি গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মিনহাজের চাচাতো ভাই মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই কোনো আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে গার্মেন্টসে চাকরি করত। ওই দিন রাস্তায় বের হওয়া মাত্র গুলিতে নিহত হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মিনহাজের চাচা মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলায় মিনহাজের বাবা বিদেশে চলে গেলে তার মা বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার মা অন্যত্র বিয়েও করেননি। একপর্যায়ে তিনি মানসিক রোগী হয়ে পড়েন। অসুস্থ মায়ের একমাত্র সন্তান মিনহাজের রোজগারের টাকায় তাঁর চিকিৎসা চলত। গত কোরবানির ঈদে মাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকায় তার খালার বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। কোটা আন্দোলনের সময় কারফিউতে গুলিতে সে মারা যায়। এখন টাকার অভাবে তার মায়ের চিকিৎসা থেমে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি ঢাকায় ঘটেছে, তাই আমরা কিছু বলতে পারব না। আমাদের কেউ কিছু বলেওনি।’
মিনহাজুল ইসলামকে দুই বছরের রেখে প্রায় ১৫ বছর আগে স্ত্রী মেরিনা খাতুনের (৪০) সঙ্গে অভিমান করে প্রবাসে চলে যান আবু বক্কর সরদার (৫০)। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি। সেই থেকে মেরিনা খাতুন বাবার বাড়ি থাকতেন। একসময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মাকে দেখাশোনার জন্য কিশোর মিনহাজ গার্মেন্টে চাকরি নেয়। গত ২০ জুলাই কারফিউ চলাকালে গাজীপুরে গুলিতে নিহত হয় মিনহাজ। সেই থেকে মেরিনার কান্না আর থামছে না। এখন স্বামী-সন্তানহারা তাঁর কী হবে!
মিনহাজুল ইসলামের (১৭) বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার উত্তর রামশালা গ্রামে। গাজীপুরের বড়বাড়ীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করত সে। থাকত খালার বাসায়। গত কোরবানির ঈদের ছুটিতে মিনহাজ বাড়ি এসে অসুস্থ মাকে খালার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার মায়ের চিকিৎসা চলছিল। গত ২০ জুলাই কারফিউ চলাকালে বন্ধুদের আমন্ত্রণে বাসা থেকে নিচে নেমেছিল মিনহাজ। পাঁচ বন্ধু মিলে বাসার পাশের সড়কে সিঙ্গারা খাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের গুলিতে মিনহাজসহ তিনজন নিহত হয়।
নিহত মিনহাজের খালু শাহ পরান বলেন, ‘মিনহাজ আমাদের সঙ্গে পাঁচতলায় থাকত। গত ২০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সড়কে যায়। এ সময় কারফিউ চলছিল। এ সময় পুলিশ গুলি ছোড়ে। তার বাঁ কনুই ভেদ করে বাঁ পাঁজরে একটি গুলি লাগে। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মিনহাজের চাচাতো ভাই মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই কোনো আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে গার্মেন্টসে চাকরি করত। ওই দিন রাস্তায় বের হওয়া মাত্র গুলিতে নিহত হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মিনহাজের চাচা মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ছোটবেলায় মিনহাজের বাবা বিদেশে চলে গেলে তার মা বাবার বাড়িতে থাকতেন। তার মা অন্যত্র বিয়েও করেননি। একপর্যায়ে তিনি মানসিক রোগী হয়ে পড়েন। অসুস্থ মায়ের একমাত্র সন্তান মিনহাজের রোজগারের টাকায় তাঁর চিকিৎসা চলত। গত কোরবানির ঈদে মাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকায় তার খালার বাসায় নিয়ে গিয়েছিল। কোটা আন্দোলনের সময় কারফিউতে গুলিতে সে মারা যায়। এখন টাকার অভাবে তার মায়ের চিকিৎসা থেমে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি ঢাকায় ঘটেছে, তাই আমরা কিছু বলতে পারব না। আমাদের কেউ কিছু বলেওনি।’
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করেছেন দুই যুবক। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ালাপাড়া গ্রামে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পূর্ব শিয়ালা গ্রামের মৃত ইব
০১ জানুয়ারি ১৯৭০বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রধান কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদেও বিএসসি প্রকৌশলীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
১০ মিনিট আগেগোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় যুব মহিলা লীগের নেতা রুবি বিশ্বাসকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বোরবার (২৭ জুলাই) রাতে উপজেলার ছিটকীবাড়ি গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগেপাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হেরে গেল যশোরের স্কুলছাত্রী ফারিহা সুলতানা (১৩)। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফারিহার চাচা গোলাম রসূল।
২৭ মিনিট আগে