নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে তুচ্ছ ঘটনায় এক তরুণকে মারধর ও বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিপন আলী বাবু ও তাঁর স্ত্রী পান্না বেগম এই দাবি জানান। তাঁদের বাড়ি নগরীর আসাম কলোনি এলাকায়। রিপন পেশায় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি।
রিপন আলী বাবুর ছেলে মো. আরিফ (২২) আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শালবাগান এলাকায় এবং পরে রাতে বাড়িতে গিয়ে আরিফের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া হামলাকারীরা বাড়ির সঙ্গেই থাকা আরিফের বাবার ইলেকট্রনিক পণ্য সার্ভিসিংয়ের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় তারা সার্ভিসিংয়ের জন্য আসা সাতটি টেলিভিশন ভাঙচুর করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফের বাবা রিপন আলী বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর শালবাগান এলাকায় পেট্রল পাম্প থেকে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে তাঁর ছেলে আরিফ রাস্তায় উঠছিল। এ সময় নগরীর রবের মোড় বউবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. বাবলু (৫০) মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। আরিফ মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় ওঠার সময় হর্ন দেয়। কিন্তু তা না শুনে হেঁটেই যাচ্ছিলেন বাবলু। তখন মোটরসাইকেলে থাকা আরিফের হাতের সঙ্গে বাবলুর হাতের ধাক্কা লাগে। এ সময় বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন আরিফকে রক্ষা করেন এবং বাবলুকে পাঠিয়ে দেন।
রিপন আলী বলেন, এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাড়িতে ছিলেন আরিফের মা পান্না বেগম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাবলুর ছেলে তানভীর একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। এই কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০ জনকে নিয়ে এসে বাবলু তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। তাঁরা বাড়ি গিয়েই আরিফকে মারধর শুরু করেন বাবলু ও তাঁর ছেলে তানভীর। ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে পান্না বেগমকে লাথি দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরিফকে মারধরের সময় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি যান। তখন সুযোগ পেয়ে আরিফ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ কারণে হামলাকারীরা মোহাম্মদ আলীকেও মারধর করে।
মারধরের শিকার আরিফের মা পান্না বেগম আরও বলেন, এরপর হামলাকারীরা বাড়ির সঙ্গেই থাকা দোকানে ভাঙচুর চালায়। দোকানে সার্ভিসিংয়ের জন্য আসা সাতটি টেলিভিশন ভেঙে ফেলে তারা। এরপর আরিফ ও তাঁকে খুঁজতে তারা প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়। না পেয়ে তারা চলে যায়। সেদিনই মামলা করতে ছেলে আরিফকে নিয়ে চন্দ্রিমা থানায় যান তিনি। সেখানে দেখেন, বাবলু আগে থেকে থানায় বসে আছেন। পান্না বেগম তাঁর ছেলের রক্তাক্ত মাথা দেখিয়ে পুলিশকে জানান, এই বাবলুই তাঁর বাহিনী নিয়ে হামলা করে তাঁর ছেলেকে আহত করেছেন। তিনি বাবলুকে আটক করার অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশ বাবলুকে আটক করেনি। ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পান্নাকে থানা থেকে চলে যেতে বলেন। পরে পান্না তাঁর ছেলেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
পান্না বেগম বলেন, তিনি পরে শুনেছেন, বাবলুই উল্টো চন্দ্রিমা থানায় আরিফের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপর ছেলেকে হাসপাতালে রেখে বাবলু, তাঁর ছেলে তানভীর, তানভীরের বন্ধু রাকিব, তারেক ওরফে তারা, মিলন, নিলয়, অমরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পান্না বেগম। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পান্না বেগম বা তাঁর স্বামী রিপন আলীর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে পান্না বেগম হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় অভিযুক্ত বাবলুর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারামারির একটা ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষ থানায় মামলা করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তে সবকিছু বোঝা যাবে।’
রাজশাহীতে তুচ্ছ ঘটনায় এক তরুণকে মারধর ও বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিপন আলী বাবু ও তাঁর স্ত্রী পান্না বেগম এই দাবি জানান। তাঁদের বাড়ি নগরীর আসাম কলোনি এলাকায়। রিপন পেশায় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি।
রিপন আলী বাবুর ছেলে মো. আরিফ (২২) আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর শালবাগান এলাকায় এবং পরে রাতে বাড়িতে গিয়ে আরিফের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া হামলাকারীরা বাড়ির সঙ্গেই থাকা আরিফের বাবার ইলেকট্রনিক পণ্য সার্ভিসিংয়ের দোকানে হামলা চালায়। এ সময় তারা সার্ভিসিংয়ের জন্য আসা সাতটি টেলিভিশন ভাঙচুর করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফের বাবা রিপন আলী বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর শালবাগান এলাকায় পেট্রল পাম্প থেকে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে তাঁর ছেলে আরিফ রাস্তায় উঠছিল। এ সময় নগরীর রবের মোড় বউবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. বাবলু (৫০) মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। আরিফ মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় ওঠার সময় হর্ন দেয়। কিন্তু তা না শুনে হেঁটেই যাচ্ছিলেন বাবলু। তখন মোটরসাইকেলে থাকা আরিফের হাতের সঙ্গে বাবলুর হাতের ধাক্কা লাগে। এ সময় বাবলু ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন আরিফকে রক্ষা করেন এবং বাবলুকে পাঠিয়ে দেন।
রিপন আলী বলেন, এ ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাড়িতে ছিলেন আরিফের মা পান্না বেগম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাবলুর ছেলে তানভীর একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। এই কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০ জনকে নিয়ে এসে বাবলু তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। তাঁরা বাড়ি গিয়েই আরিফকে মারধর শুরু করেন বাবলু ও তাঁর ছেলে তানভীর। ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে পান্না বেগমকে লাথি দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরিফকে মারধরের সময় মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি যান। তখন সুযোগ পেয়ে আরিফ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ কারণে হামলাকারীরা মোহাম্মদ আলীকেও মারধর করে।
মারধরের শিকার আরিফের মা পান্না বেগম আরও বলেন, এরপর হামলাকারীরা বাড়ির সঙ্গেই থাকা দোকানে ভাঙচুর চালায়। দোকানে সার্ভিসিংয়ের জন্য আসা সাতটি টেলিভিশন ভেঙে ফেলে তারা। এরপর আরিফ ও তাঁকে খুঁজতে তারা প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়। না পেয়ে তারা চলে যায়। সেদিনই মামলা করতে ছেলে আরিফকে নিয়ে চন্দ্রিমা থানায় যান তিনি। সেখানে দেখেন, বাবলু আগে থেকে থানায় বসে আছেন। পান্না বেগম তাঁর ছেলের রক্তাক্ত মাথা দেখিয়ে পুলিশকে জানান, এই বাবলুই তাঁর বাহিনী নিয়ে হামলা করে তাঁর ছেলেকে আহত করেছেন। তিনি বাবলুকে আটক করার অনুরোধ জানান। কিন্তু পুলিশ বাবলুকে আটক করেনি। ছেলেকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পান্নাকে থানা থেকে চলে যেতে বলেন। পরে পান্না তাঁর ছেলেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
পান্না বেগম বলেন, তিনি পরে শুনেছেন, বাবলুই উল্টো চন্দ্রিমা থানায় আরিফের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপর ছেলেকে হাসপাতালে রেখে বাবলু, তাঁর ছেলে তানভীর, তানভীরের বন্ধু রাকিব, তারেক ওরফে তারা, মিলন, নিলয়, অমরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পান্না বেগম। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পান্না বেগম বা তাঁর স্বামী রিপন আলীর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে পান্না বেগম হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় অভিযুক্ত বাবলুর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারামারির একটা ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষ থানায় মামলা করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তে সবকিছু বোঝা যাবে।’
জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আহ্বায়ক (আংশিক) কমিটি পেল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এতে পটিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক ও আনোয়ারার হেলাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৯ মিনিট আগেসাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিভাগীয় সাংগঠনিক কমিটি। আজ রোববার দুপুরে পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে জেলার শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩৮ মিনিট আগেসাতক্ষীরার বালিথায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল্লাহ সরদার নামে মসজিদের এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার শহরের সদর হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে