দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
২০ পরিবারের শতাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় দেওয়া হয়েছে বাঁশ ও টিনের বেড়া। গত পাঁচ দিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামের পুরোনো গ্রামীণ এই রাস্তাটি প্রভাবশালীরা বন্ধ করে দিয়েছেন।
গত সোমবার স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মালেক, আমিনুল ইসলাম মিন্টু, মিজানুর রহমান পিন্টু জোরপূর্বক বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে বেড়া দিয়ে গ্রামীণ এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। তাঁদের একাধিকবার বলেও গত ৫ দিন থেকে তাঁরা এই রাস্তাটি খুলে দেননি বলেন জানান ভুক্তভোগীরা।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কয়ামাজমপুর গ্রামের আব্দুল কদ্দুস পারিবারিক কবরস্থানে যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ না করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। পরে অভিযোগটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। কিন্তু কারও কথায় কর্ণপাত না করে প্রভাবশালী মালেক, মিন্টু, পিন্টু, বাড়ি করতে গিয়ে জোরপূর্বক চলাচলের গ্রামীণ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি গ্রামীণ রাস্তায় দীর্ঘ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা। এর মাঝখানে পাকা বাড়ি। গ্রামীণ রাস্তাটির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে ইটের গাঁথুনি দিয়ে প্রাচীর তৈরি করেছেন। আর সামনের জায়গায় বাঁশ ও টিন দিয়ে ঘিরে বন্ধ করা হয়েছে রাস্তাটি।
এ সময় কথা হয় ভুক্তভোগী ষাটোর্ধ্ব পিয়ারজান বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো ধরনের অরাজকতা। যুগ যুগ ধরে এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে আসছি। কেউ কোনো দিন কথা বলেনি। হঠাৎ এখানে বাড়ি তৈরি করছে। তাই আমাদের রাস্তাটি বাঁশ ও টিন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে তাঁরা। আমরাসহ প্রায় ২০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।’
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও কয়ামাজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পারিবারিক কবরস্থানে যাওয়ার জায়গাও রাখেননি তাঁরা। রাস্তায় বেড়া দেওয়া ব্যক্তিরা কোনো কথাই শুনছেন না। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় ২০টি পরিবার চরম দুর্ভোগে বসবাস করছে। তাঁরা দ্রুত চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।’
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল মালেক বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। পুলিশ আসছিল। এ বিষয়ে আর কোনো কিছু করার দরকার নেই।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসন আমাকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিসে বসে ৩ ফুট করে জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিতে বলেছি। এক পক্ষ ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। অপর পক্ষ মালেক, মিন্টু, পিন্টু তাঁদের জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিতে চায়নি। বরং বাঁশে বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। তাঁরা আমার কথা মানেননি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃঞ্চ চন্দ্র বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছিলাম। নিষ্পত্তির জন্য ইউপি সদস্যসহ গণমান্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে আমাকে আর কেউ কিছু জানায়নি। তবে রাস্তা বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে এ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০ পরিবারের শতাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় দেওয়া হয়েছে বাঁশ ও টিনের বেড়া। গত পাঁচ দিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামের পুরোনো গ্রামীণ এই রাস্তাটি প্রভাবশালীরা বন্ধ করে দিয়েছেন।
গত সোমবার স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মালেক, আমিনুল ইসলাম মিন্টু, মিজানুর রহমান পিন্টু জোরপূর্বক বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে বেড়া দিয়ে গ্রামীণ এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। তাঁদের একাধিকবার বলেও গত ৫ দিন থেকে তাঁরা এই রাস্তাটি খুলে দেননি বলেন জানান ভুক্তভোগীরা।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কয়ামাজমপুর গ্রামের আব্দুল কদ্দুস পারিবারিক কবরস্থানে যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ না করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। পরে অভিযোগটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। কিন্তু কারও কথায় কর্ণপাত না করে প্রভাবশালী মালেক, মিন্টু, পিন্টু, বাড়ি করতে গিয়ে জোরপূর্বক চলাচলের গ্রামীণ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি গ্রামীণ রাস্তায় দীর্ঘ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করা। এর মাঝখানে পাকা বাড়ি। গ্রামীণ রাস্তাটির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে ইটের গাঁথুনি দিয়ে প্রাচীর তৈরি করেছেন। আর সামনের জায়গায় বাঁশ ও টিন দিয়ে ঘিরে বন্ধ করা হয়েছে রাস্তাটি।
এ সময় কথা হয় ভুক্তভোগী ষাটোর্ধ্ব পিয়ারজান বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো ধরনের অরাজকতা। যুগ যুগ ধরে এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে আসছি। কেউ কোনো দিন কথা বলেনি। হঠাৎ এখানে বাড়ি তৈরি করছে। তাই আমাদের রাস্তাটি বাঁশ ও টিন দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে তাঁরা। আমরাসহ প্রায় ২০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।’
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও কয়ামাজমপুর গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার পারিবারিক কবরস্থানে যাওয়ার জায়গাও রাখেননি তাঁরা। রাস্তায় বেড়া দেওয়া ব্যক্তিরা কোনো কথাই শুনছেন না। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় ২০টি পরিবার চরম দুর্ভোগে বসবাস করছে। তাঁরা দ্রুত চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।’
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল মালেক বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। পুলিশ আসছিল। এ বিষয়ে আর কোনো কিছু করার দরকার নেই।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসন আমাকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিসে বসে ৩ ফুট করে জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিতে বলেছি। এক পক্ষ ৩ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। অপর পক্ষ মালেক, মিন্টু, পিন্টু তাঁদের জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিতে চায়নি। বরং বাঁশে বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। তাঁরা আমার কথা মানেননি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৃঞ্চ চন্দ্র বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছিলাম। নিষ্পত্তির জন্য ইউপি সদস্যসহ গণমান্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে আমাকে আর কেউ কিছু জানায়নি। তবে রাস্তা বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে এ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে