বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় রথযাত্রা উৎসবে বিদ্যুতায়িত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৪০ জন আহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিএম ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রাথমিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রথের চূড়া ৩২ ফুট উঁচু করা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি ছিলেন। আয়োজকদের তাঁর কাছে উদাসীন মনে হয়েছে। আর ইসকন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি খরাজিত কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বলেছেন, প্রতি বছর রথ উৎসবের আগে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে কখনই রথের চূড়ার উচ্চতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেননি। দুর্ঘটনা ঘটার পর সবাই প্রশ্ন তুলছেন, এটি দুঃখজনক!
তিনি বলেন, ‘চূড়াটি এমনভাবে তৈরি যে, নিচে হাতল ঘুরিয়ে উঁচু–নিচু করা যায়। রথের চূড়ায় বিদ্যুতের তার লেগে যাওয়ার পর রথের ওপরে বসে থাকা আমিসহ কমপক্ষে ২৫ জন অলৌকিক ভাবে প্রাণে বেঁচে যাই!’
রথ উৎসবে দুর্ঘটনার বর্ণনা করে ইসকন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি খরাজিত কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বলেন, রথটি চাকাসহ উচ্চতা ৮ ফুট। এর সঙ্গে চূড়া ৩২ ফুট। সব মিলিয়ে চূড়ার উচ্চতা ৪০ ফুট। চাকা ঘুরিয়ে চূড়াটি প্রয়োজন মতো উঁচু–নিচু করা যায়। গতকাল রোববার রথযাত্রার সময় চূড়া উঁচু–নিচু করার দায়িত্বে ছিলেন অলোক এবং সুশান্ত নামের দুইজন। আর শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন ইসকনের ১০০ স্বেচ্ছাসেবক। সেউজগাড়ি আমতলা এলাকায় সড়কে বিদ্যুতের তার দেখে অলোক চাকা ঘুরিয়ে চূড়া নিচু করছিলেন।
খরাজিত বলেন, ‘কিন্তু সামনে কয়েক হাজার ভক্ত রশি ধরে রথ জোরে টেনে নেওয়ার কারণে চূড়াটি বিদ্যুতের তারে লেগে যায়। এ সময় রথের ওপরে থাকা যে যার মতো লাফিয়ে পড়েন। অলোক সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। সুশান্ত চাকার হাতলে হাত দিলে তিনিও গুরুতর আহত হন।’
রথ জোরে টানার কারণে যেমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তেমনি অসংখ্য মানুষ প্রাণেও রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি করেন ইসকনের জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, ‘জোরে টানার কারণে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রথের চূড়া ভেঙে বিদ্যুতের তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘রথের পুরো কাঠামোটি স্টিলের তৈরি। এর ওপরে বসে ছিল কমপক্ষে ২৫ জন। নিচে যারা রথের কাঠামো ধরে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরাই হতাহত হয়েছেন।’
এদিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৮ জনের মধ্যে আটজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রঞ্জন পাল এবং চন্দন দেব নামের দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আজ সোমবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখনো ২৮ জন চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া বেগম শজিমেক হাসপাতালে আসেন। তিনি হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বগুড়ায় রথযাত্রা উৎসবে বিদ্যুতায়িত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৪০ জন আহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) পিএম ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রাথমিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রথের চূড়া ৩২ ফুট উঁচু করা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি ছিলেন। আয়োজকদের তাঁর কাছে উদাসীন মনে হয়েছে। আর ইসকন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি খরাজিত কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বলেছেন, প্রতি বছর রথ উৎসবের আগে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে কখনই রথের চূড়ার উচ্চতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেননি। দুর্ঘটনা ঘটার পর সবাই প্রশ্ন তুলছেন, এটি দুঃখজনক!
তিনি বলেন, ‘চূড়াটি এমনভাবে তৈরি যে, নিচে হাতল ঘুরিয়ে উঁচু–নিচু করা যায়। রথের চূড়ায় বিদ্যুতের তার লেগে যাওয়ার পর রথের ওপরে বসে থাকা আমিসহ কমপক্ষে ২৫ জন অলৌকিক ভাবে প্রাণে বেঁচে যাই!’
রথ উৎসবে দুর্ঘটনার বর্ণনা করে ইসকন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি খরাজিত কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বলেন, রথটি চাকাসহ উচ্চতা ৮ ফুট। এর সঙ্গে চূড়া ৩২ ফুট। সব মিলিয়ে চূড়ার উচ্চতা ৪০ ফুট। চাকা ঘুরিয়ে চূড়াটি প্রয়োজন মতো উঁচু–নিচু করা যায়। গতকাল রোববার রথযাত্রার সময় চূড়া উঁচু–নিচু করার দায়িত্বে ছিলেন অলোক এবং সুশান্ত নামের দুইজন। আর শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন ইসকনের ১০০ স্বেচ্ছাসেবক। সেউজগাড়ি আমতলা এলাকায় সড়কে বিদ্যুতের তার দেখে অলোক চাকা ঘুরিয়ে চূড়া নিচু করছিলেন।
খরাজিত বলেন, ‘কিন্তু সামনে কয়েক হাজার ভক্ত রশি ধরে রথ জোরে টেনে নেওয়ার কারণে চূড়াটি বিদ্যুতের তারে লেগে যায়। এ সময় রথের ওপরে থাকা যে যার মতো লাফিয়ে পড়েন। অলোক সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। সুশান্ত চাকার হাতলে হাত দিলে তিনিও গুরুতর আহত হন।’
রথ জোরে টানার কারণে যেমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তেমনি অসংখ্য মানুষ প্রাণেও রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবি করেন ইসকনের জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, ‘জোরে টানার কারণে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই রথের চূড়া ভেঙে বিদ্যুতের তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘রথের পুরো কাঠামোটি স্টিলের তৈরি। এর ওপরে বসে ছিল কমপক্ষে ২৫ জন। নিচে যারা রথের কাঠামো ধরে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরাই হতাহত হয়েছেন।’
এদিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৮ জনের মধ্যে আটজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রঞ্জন পাল এবং চন্দন দেব নামের দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আজ সোমবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখনো ২৮ জন চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া বেগম শজিমেক হাসপাতালে আসেন। তিনি হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম নগরীতে চলন্ত অটোরিকশায় পেট্রল বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুই নারী যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো চামড়ার গুদামসংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ যাত্রীরা হলেন লায়লা বেগম (৫০) ও তাঁর পুত্রবধূ ঝরনা বেগম (৩০)। তাঁরা রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের
৯ মিনিট আগেরাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের শৌচাগারে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। মাসুদ রানা (৩৪) নামের ওই কনস্টেবল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে। আজ রোববার সকালে ব্যারাকের শৌচাগারে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মাসুদ রানা রাজশাহীর বাগমারা থানার যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত
৩৯ মিনিট আগেরাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে মোহাম্মদ মুঈদ (৩২) ও স্ত্রী আইরিন আক্তার রত্না (৩৫) নামে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ওয়ারী থানার ওয়ার স্ট্রিটের জমজম টাওয়ারের পাঁচতলার একটি বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
৪০ মিনিট আগেগত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আহত করা, ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও প্রতিটি বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হলে শিক্ষকেরা পাঠদানে ফিরবেন না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে