সিরাজগঞ্জে যমুনা
শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই অশান্ত হয়ে পড়েছে যমুনা। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসলি জমি। জিও ব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলেও আটকানো যাচ্ছে না নদীর রুদ্ররূপ।
তিন সপ্তাহ ধরে তলিয়ে যাচ্ছে সদর উপজেলার ভাটপিয়ারীসহ আশপাশ গ্রামের ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও গাছপালা। নদীভাঙন পৌঁছে গেছে পশ্চিমপাড়ের ঘরবাড়ি পর্যন্ত। স্থানীয়রা বলছেন, নদীর পূর্ব দিকে চর জেগে ওঠায় স্রোত আঘাত হানছে পশ্চিমপাড়ে। এপারের প্রায় তিন কিলোমিটার অংশজুড়ে ভাঙছে যমুনা। চরম দুশ্চিন্তায় ভাঙনকবলিত নদীপাড়ের মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যমুনায় ১৬-২৩ মে পর্যন্ত ১৫০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে পানি বাড়লেও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার নদীতীরবর্তী ভাটপিয়ারীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এসব এলাকার কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও গাছপালা।
অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে নদী এখন পশ্চিম তীর রক্ষা বাঁধের কাছে এসে পড়েছে। ভাঙন-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীপারের মানুষের। ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কয়েক শ ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। এ ছাড়া আসন্ন বর্ষা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচঠাকুরীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ভাঙনকবলিতদের।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ১৬ মে ৩৩ সেন্টিমিটার, ১৭ মে ২০, ১৮ মে ৪, ১৯ মে ৭, ২০ মে ২৫, ২১ মে ৬৮, ২২ মে ৩৬ এবং গতকাল শুক্রবার ১৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে ১৬-২৩ মে পর্যন্ত যমুনা নদীতে ১৫০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এদিকে একই সময়ে কাজীপুর পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে পানি বিপৎসীমার ২৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় শেখ মো. এনামুল হক বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারণে বর্ষা মৌসুমের আগেই নদীভাঙন শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী, পাঁচঠাকুরী, শিমলা গ্রাম নদীর বাইরে ছিল। কিন্তু যমুনার ভাঙনে সব শেষ। এ বছরের প্রথম দিকে ভাঙন শুরু হয়। বিষয়টি বারবার পাউবোকে অবগত করেছি; কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করি। সময়মতো ভাঙন রোধে কাজ করলে বাড়িঘর, ফসলি জমি রক্ষা পেত। ভাঙনের কারণে এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন।’
শহীদুল ইসলাম বলেন, নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ দেওয়ার পর বাঁধের অভ্যন্তরে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় বিশাল চর জেগে ওঠে। এসব চরে কৃষকেরা বিভিন্ন ফসলের আবাদ করতেন। হঠাৎ করে চৈত্র-বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে ভাঙন শুরু হয়। পুরো চর ভেঙে শেষ।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। অসময়ে নদীভাঙনের মূল কারণ হচ্ছে ভাটপিয়ারী এলাকায় নদীর পূর্ব দিকে চর জেগে ওঠায় পানি পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। প্রতি সপ্তাহে মনিটরিং করা হচ্ছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় নদীর তীর শক্তিশালী করার জন্য চাহিদা দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই বর্ষার আগে কাজ শেষ করে ফেলব। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই অশান্ত হয়ে পড়েছে যমুনা। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসলি জমি। জিও ব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলেও আটকানো যাচ্ছে না নদীর রুদ্ররূপ।
তিন সপ্তাহ ধরে তলিয়ে যাচ্ছে সদর উপজেলার ভাটপিয়ারীসহ আশপাশ গ্রামের ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও গাছপালা। নদীভাঙন পৌঁছে গেছে পশ্চিমপাড়ের ঘরবাড়ি পর্যন্ত। স্থানীয়রা বলছেন, নদীর পূর্ব দিকে চর জেগে ওঠায় স্রোত আঘাত হানছে পশ্চিমপাড়ে। এপারের প্রায় তিন কিলোমিটার অংশজুড়ে ভাঙছে যমুনা। চরম দুশ্চিন্তায় ভাঙনকবলিত নদীপাড়ের মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যমুনায় ১৬-২৩ মে পর্যন্ত ১৫০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে পানি বাড়লেও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার নদীতীরবর্তী ভাটপিয়ারীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এসব এলাকার কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও গাছপালা।
অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে নদী এখন পশ্চিম তীর রক্ষা বাঁধের কাছে এসে পড়েছে। ভাঙন-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে নদীপারের মানুষের। ভাঙন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কয়েক শ ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। এ ছাড়া আসন্ন বর্ষা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়বে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচঠাকুরীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ভাঙনকবলিতদের।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ১৬ মে ৩৩ সেন্টিমিটার, ১৭ মে ২০, ১৮ মে ৪, ১৯ মে ৭, ২০ মে ২৫, ২১ মে ৬৮, ২২ মে ৩৬ এবং গতকাল শুক্রবার ১৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে ১৬-২৩ মে পর্যন্ত যমুনা নদীতে ১৫০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এদিকে একই সময়ে কাজীপুর পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে পানি বিপৎসীমার ২৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় শেখ মো. এনামুল হক বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারণে বর্ষা মৌসুমের আগেই নদীভাঙন শুরু হয়েছে। সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী, পাঁচঠাকুরী, শিমলা গ্রাম নদীর বাইরে ছিল। কিন্তু যমুনার ভাঙনে সব শেষ। এ বছরের প্রথম দিকে ভাঙন শুরু হয়। বিষয়টি বারবার পাউবোকে অবগত করেছি; কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করি। সময়মতো ভাঙন রোধে কাজ করলে বাড়িঘর, ফসলি জমি রক্ষা পেত। ভাঙনের কারণে এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন।’
শহীদুল ইসলাম বলেন, নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ দেওয়ার পর বাঁধের অভ্যন্তরে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় বিশাল চর জেগে ওঠে। এসব চরে কৃষকেরা বিভিন্ন ফসলের আবাদ করতেন। হঠাৎ করে চৈত্র-বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে ভাঙন শুরু হয়। পুরো চর ভেঙে শেষ।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। অসময়ে নদীভাঙনের মূল কারণ হচ্ছে ভাটপিয়ারী এলাকায় নদীর পূর্ব দিকে চর জেগে ওঠায় পানি পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। প্রতি সপ্তাহে মনিটরিং করা হচ্ছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় নদীর তীর শক্তিশালী করার জন্য চাহিদা দিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই বর্ষার আগে কাজ শেষ করে ফেলব। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
অন্ধকার গলিতে হঠাৎ ‘বাঁচাও’ ‘বাঁচাও’ চিৎকার। একপর্যায়ে দেখা গেল রক্তাক্ত এক ব্যক্তি। তিনি পুলিশ সদস্য। চাপাতির কোপে দিশেহারা হয়ে দৌড়াচ্ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদাবরের শ্যামলী হাউজিংয়ের ৩ নম্বর সড়কে।
৩ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারে প্রশাসনের একের পর এক অভিযান ও জেল-জরিমানার পরও বন্ধ হচ্ছে না ছড়া থেকে নির্বিচারে সিলিকা ও সাধারণ বালু লুট। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অবৈধভাবে চলছে এই বালু উত্তোলন। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে গত ১১ মাসে জেলার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৫০টি অভিযান চালায় প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় সরকারি প্রণোদনার ধানের বীজ অন্যত্র বিক্রির জন্য সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কৃষি অফিসের গুদাম (স্টোররুম) থেকে ধানের বীজ সরানোর...
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ঢাকার গুলশানের কালা চাঁদপুর এলাকায় অটোরিকশা কেনার জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. সামি। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে