Ajker Patrika

বড়াইগ্রামে সড়কে নিম্নমানের খোয়া দেওয়ার অভিযোগ

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
বড়াইগ্রামে সড়কে নিম্নমানের খোয়া দেওয়ার অভিযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়াইগ্রামে সড়কে নিম্নমানের খোয়া দেওয়ার অভিযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কয়েন বাজার থেকে মেরিগাছা অভিমুখে আঞ্চলিক সড়কের দুই কিলোমিটার সংস্কারকাজে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছেন, দরপত্রে রাস্তা সংস্কারে এক নম্বর ইটের খোয়ার ব্যবহারের কথা উল্লেখ থাকলেও ঠিকাদার দুই ও তিন নম্বর ইটের খোয়া দিচ্ছেন; যা ভ্যান-রিকশার চাপেই ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন বাজার থেকে মেরিগাছা অভিমুখে দুই কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪০ টাকা ব্যয় বরাদ্দের সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পূর্বাচল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ফখরউদ্দিন। পরে সাব ঠিকাদার হিসেবে মিল্লাত হোসেন মিঠু কাজটি করছেন। সড়কের দুই কিলোমিটারের মধ্যে এক কিলোমিটারে খোয়া দিয়ে এবং এক কিলোমিটার কার্পেটিং করে সংস্কার করা হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সড়কের মাঠের মধ্যে রাস্তার অংশটুকু খুবই ভাঙাচোরা হওয়ায় সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। এই কাজে এক নম্বর ইটের খোয়া ব্যবহারের কথা থাকলেও ঠিকাদার দুই ও তিন নম্বর ইটের খোয়া রাস্তায় দিচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া রাস্তায় ফেলা হচ্ছে। এ সময় সেখানে লালপুর উপজেলার একটি ইটভাটা থেকে আরও এক ট্রাক খোয়া নিয়ে আসেন ঠিকাদারের লোকজন। তবে সংবাদকর্মীদের দেখে সেখানে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যসহকারী রফিকুল ইসলাম ওই ট্রাকের খোয়া রাস্তায় দিতে নিষেধ করেন এবং তা ফেরত পাঠাতে বলেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঠিকাদারের লোকজন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এর ঘণ্টাখানেক পরে সাব ঠিকাদার মিঠু নিজে সেখানে এসে নিষেধ উপেক্ষা করে ওই ট্রাকের খোয়া আবারও শ্রমিক দিয়ে রাস্তার ফেলেন।

কয়েন গ্রামের রাকিব হোসেন বলেন, ‘রাস্তার এ অংশটুকু ভেঙে যাওয়ায় খুব ভোগান্তি হচ্ছিল। সংস্কার হবে জেনে আমরা খুবই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু যে মানের খোয়া দেওয়া হচ্ছে, তাতে এ রাস্তা বেশি দিন টিকবে না।’

ভ্যানচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘রাস্তায় এত খারাপ খোয়া দিচ্ছে, আমাদের ভ্যানগাড়ির চাকার চাপেই এসব খোয়া ভেঙে গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে। এ রাস্তা কয়দিন টিকবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব ঠিকাদার মিল্লাত হোসেন মিঠু বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। যে খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পরীক্ষা করে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সেখানে থাকা ঠিকাদারের প্রতিনিধি মাসুম আহমেদ বলেন, ভালো ইটের সঙ্গে কিছু দুই নম্বর ইটের খোয়াও ভাটা থেকে দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি নিয়ম মেনে তো আর কাজ করা যায় না।

সড়কের দায়িত্বে থাকা কার্যসহকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব খোয়ার মান খারাপ হওয়ায় আমি প্রকৌশলী স্যার ও ঠিকাদারের কাছে অভিযোগ করেছি। তারপরও তাঁরা খারাপ খোয়াই নিয়ে এসে রাস্তায় দিচ্ছেন।’

উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল করিম বলেন, ‘আমি একটি প্রশিক্ষণে রাজশাহীতে আছি। ঘটনাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলীকে পাঠাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

বৃদ্ধের চার বিয়ে, থানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জেরার মুখে হাসির রোল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত