নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও রাবি প্রতিনিধি
‘থিয়েটার এক জ্যামিতিক জীবন, বহুকোণে হয় তার স্বরূপে সমর্পণ...’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ‘আনর্ত’ নাট্যমেলা। আজ সোমবার বেলা ১১টায় সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলাচত্বরে বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশিদ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন—রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।
আরও উপস্থিত ছিলেন—বিশিষ্ট নাট্যজন তারিক আনাম খান, মলয় ভৌমিক, গাজী রাকায়েত, বন্যা মির্জা, আব্দুস সেলিম, আহমদ ইকবাল হায়দার, মোহাম্মদ বারী, মাসুম রেজা, সালাউদ্দিন লাভলু, অরুণা বিশ্বাস, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমুখ। এ ছাড়া ভারত থেকে অংশ নেন অংশুমান ভৌমিক, মলয় মিত্র, সঞ্চয়িতা বসু প্রমুখ।
মেলায় তিনজনকে আনর্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়। যারা পেয়েছেন তারা হলেন—যাত্রা শিল্পী জ্যোৎস্না বিশ্বাস, বাবুল বিশ্বাস ও আবু তাহের।
জ্যোৎস্না বিশ্বাস ২ হাজারের বেশি যাত্রায় সরাসরি অভিনয় ও ৩০ টিতে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন। বাবুল বিশ্বাস বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের কর্তা। তিনি বাংলাদেশের থিয়েটার সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্ব দরবারে পরিচিতির কাজটি করে চলেছেন। আবু তাহের ২ হাজারের বেশি নাটক ও যাত্রায় লাইটিং করেছেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে নাট্যজন মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা এই সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু সেই সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র এখন আর নেই। রাজনীতির কাছে চলে গেছে। তারপরেও আনর্ত আজকে যে সাহস দেখিয়েছে, যে নাট্যজনদের এক করেছে তা সত্যিই পরম গৌরবের।’
পশ্চিমবঙ্গ থেকে অংশগ্রহণকারী নাট্যকার অংশুমান ভৌমিক বলেন, ‘হাসান আজিজুল হক বলতেন সংস্কৃতির ভূমি অবিভাজ্য। বাংলার সংস্কৃতির যে অবিভাজ্যভূমি তাতেই আমরা বাস করি। তাই ভরতের নাট্যশাস্ত্রে যে প্রারম্ভিক অধ্যায়গুলো আছে, তার চর্চা এখানে হয়।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় থিয়েটার পত্রিকা ‘আনর্তের আয়োজনে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলাচত্বরে, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ও শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার টিএসসিসিতে চলবে
নানা আয়োজন।
আয়োজনের মধ্যে রয়েছে—
নাট্য আড্ডা: নাট্যচর্চায় নাটকীয় স্মৃতিচারণ
নাট্যচর্চার পঞ্চাশ বছর: কী পেয়েছি, কী পাইনি
‘থিয়েটারের কাগজ: যতরকম দায়’ শীর্ষক বৈঠক এবং আনর্ত স্বীকৃতি ২০২৪ প্রদান।
থাকছে গানের আসর এবং আয়োজনে আসা দর্শক-অভিনেতা-নির্মাতার আড্ডা।
এ ছাড়া যেসব নাটকব মঞ্চস্থ হবে—
‘পারো’ (দেশ নাটক, ঢাকা), ‘ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং’ (মধ্যমগ্রাম নৃত্যবিতান, ভারত), ‘কহে ফেসবুক’ (আরণ্যক, ঢাকা) ও ‘মূল্য-অমূল্য’ (অনুস্বর, ঢাকা) ; পালানাটক ‘কালিন্দীর গীত’ (সারথি থিয়েটার, গাইবান্ধা), পথনাটক ‘সুনাগরিকের সন্ধানে’ (অনুশীলন, রাবি) ও ‘বহমান’ (সমকাল, রাবি)।
‘থিয়েটার এক জ্যামিতিক জীবন, বহুকোণে হয় তার স্বরূপে সমর্পণ...’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ‘আনর্ত’ নাট্যমেলা। আজ সোমবার বেলা ১১টায় সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলাচত্বরে বিশিষ্ট নাট্যজন মামুনুর রশিদ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন—রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।
আরও উপস্থিত ছিলেন—বিশিষ্ট নাট্যজন তারিক আনাম খান, মলয় ভৌমিক, গাজী রাকায়েত, বন্যা মির্জা, আব্দুস সেলিম, আহমদ ইকবাল হায়দার, মোহাম্মদ বারী, মাসুম রেজা, সালাউদ্দিন লাভলু, অরুণা বিশ্বাস, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমুখ। এ ছাড়া ভারত থেকে অংশ নেন অংশুমান ভৌমিক, মলয় মিত্র, সঞ্চয়িতা বসু প্রমুখ।
মেলায় তিনজনকে আনর্ত সম্মাননা প্রদান করা হয়। যারা পেয়েছেন তারা হলেন—যাত্রা শিল্পী জ্যোৎস্না বিশ্বাস, বাবুল বিশ্বাস ও আবু তাহের।
জ্যোৎস্না বিশ্বাস ২ হাজারের বেশি যাত্রায় সরাসরি অভিনয় ও ৩০ টিতে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন। বাবুল বিশ্বাস বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের কর্তা। তিনি বাংলাদেশের থিয়েটার সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্ব দরবারে পরিচিতির কাজটি করে চলেছেন। আবু তাহের ২ হাজারের বেশি নাটক ও যাত্রায় লাইটিং করেছেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে নাট্যজন মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা এই সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু সেই সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র এখন আর নেই। রাজনীতির কাছে চলে গেছে। তারপরেও আনর্ত আজকে যে সাহস দেখিয়েছে, যে নাট্যজনদের এক করেছে তা সত্যিই পরম গৌরবের।’
পশ্চিমবঙ্গ থেকে অংশগ্রহণকারী নাট্যকার অংশুমান ভৌমিক বলেন, ‘হাসান আজিজুল হক বলতেন সংস্কৃতির ভূমি অবিভাজ্য। বাংলার সংস্কৃতির যে অবিভাজ্যভূমি তাতেই আমরা বাস করি। তাই ভরতের নাট্যশাস্ত্রে যে প্রারম্ভিক অধ্যায়গুলো আছে, তার চর্চা এখানে হয়।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় থিয়েটার পত্রিকা ‘আনর্তের আয়োজনে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলাচত্বরে, কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ও শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার টিএসসিসিতে চলবে
নানা আয়োজন।
আয়োজনের মধ্যে রয়েছে—
নাট্য আড্ডা: নাট্যচর্চায় নাটকীয় স্মৃতিচারণ
নাট্যচর্চার পঞ্চাশ বছর: কী পেয়েছি, কী পাইনি
‘থিয়েটারের কাগজ: যতরকম দায়’ শীর্ষক বৈঠক এবং আনর্ত স্বীকৃতি ২০২৪ প্রদান।
থাকছে গানের আসর এবং আয়োজনে আসা দর্শক-অভিনেতা-নির্মাতার আড্ডা।
এ ছাড়া যেসব নাটকব মঞ্চস্থ হবে—
‘পারো’ (দেশ নাটক, ঢাকা), ‘ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং’ (মধ্যমগ্রাম নৃত্যবিতান, ভারত), ‘কহে ফেসবুক’ (আরণ্যক, ঢাকা) ও ‘মূল্য-অমূল্য’ (অনুস্বর, ঢাকা) ; পালানাটক ‘কালিন্দীর গীত’ (সারথি থিয়েটার, গাইবান্ধা), পথনাটক ‘সুনাগরিকের সন্ধানে’ (অনুশীলন, রাবি) ও ‘বহমান’ (সমকাল, রাবি)।
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
২ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৩ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
৩ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৩ ঘণ্টা আগে