শাহীন রহমান, পাবনা
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে পাবনা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়ক ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি জমে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর সদরের শিবরামপুর মহিষের ডিপো এলাকা, কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়িয়া, আটুয়া মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, মক্তব মোড়, যুগীপাড়া, মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় সড়কে। পানি নামতেও সময় লাগে। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের। তাঁরা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, জলাবদ্ধতার কারণে বাইরে লোকজনের চলাচল কমে যায়। এতে বেচাকেনাও কমে যায়। অনেকে দোকানপাট খুলতেও সমস্যার সম্মুখীন হন।
শালগাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা হিমেল রানা বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনে জব্যবস্থা সংস্কার না করায় পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় রাস্তাঘাট। বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে। যদিও দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি নেমে যায়। কিন্তু এতেই দুর্ভোগের শেষ থাকে না এলাকাবাসীর।
পৌর শহরের বাসিন্দা পাবনার লতিফ গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার অচিন্ত কুমার ঘোষ বলেন, ‘পাবনা পৌর এলাকার সব পানি নিষ্কাশন হয় মূলত দোহারপাড়া ও আরিফপুরসংলগ্ন বুড়িদাহ কালভার্টের নিচের খাল দিয়ে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ওই খাল দখল-দূষণে সরু হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত বের হতে পারছে না। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল দখলমুক্ত ও খনন করতে হবে। এ জন্য পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অটোরিকশাচালক সোহেল মিয়া বলেন, জলাবদ্ধতায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তায় গর্ত বা ভাঙাচোরা থাকলেও বোঝা যায় না। এ জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে বেশি।
পৌরসভার মুজাহিদ ক্লাব এলাকার বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে বাইরে বের হতে পারে না মানুষ। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। বেচাকেনা বন্ধ থাকে। এই কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না।
আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চার দিনে পাবনা জেলায় ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পাবনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ‘ড্রেনের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ও মাটি জমে উঁচু হয়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে পানি বের হতে পারে না। আমরা চেষ্টা করি সব সময় পরিষ্কার রাখার। তার পরও কিছু ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার এবং কিছু ড্রেন নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। পৌরবাসীকেও সচেতন হতে হবে, যেন সব ময়লা ড্রেনে ফেলা না হয়।’
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ইছামতী নদী ও সংযোগ খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে। ইছামতী নদী ও তার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলোর খনন শেষ হলে পাবনা জেলায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। ২০২৭ সালের জুনে এই খনন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে পাবনা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সড়ক ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি জমে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর সদরের শিবরামপুর মহিষের ডিপো এলাকা, কালাচাঁদপাড়া, শালগাড়িয়া, আটুয়া মোড়, বেলতলা রোড, গোপালপুর, দিলালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, দোহারপাড়া, কুঠিপাড়া, রাধানগর, মক্তব মোড়, যুগীপাড়া, মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় সড়কে। পানি নামতেও সময় লাগে। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের। তাঁরা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, জলাবদ্ধতার কারণে বাইরে লোকজনের চলাচল কমে যায়। এতে বেচাকেনাও কমে যায়। অনেকে দোকানপাট খুলতেও সমস্যার সম্মুখীন হন।
শালগাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা হিমেল রানা বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনে জব্যবস্থা সংস্কার না করায় পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় রাস্তাঘাট। বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়ে। যদিও দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি নেমে যায়। কিন্তু এতেই দুর্ভোগের শেষ থাকে না এলাকাবাসীর।
পৌর শহরের বাসিন্দা পাবনার লতিফ গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার অচিন্ত কুমার ঘোষ বলেন, ‘পাবনা পৌর এলাকার সব পানি নিষ্কাশন হয় মূলত দোহারপাড়া ও আরিফপুরসংলগ্ন বুড়িদাহ কালভার্টের নিচের খাল দিয়ে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ওই খাল দখল-দূষণে সরু হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত বের হতে পারছে না। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল দখলমুক্ত ও খনন করতে হবে। এ জন্য পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
অটোরিকশাচালক সোহেল মিয়া বলেন, জলাবদ্ধতায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তায় গর্ত বা ভাঙাচোরা থাকলেও বোঝা যায় না। এ জন্য দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে বেশি।
পৌরসভার মুজাহিদ ক্লাব এলাকার বাসিন্দা সেলিম হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে বাইরে বের হতে পারে না মানুষ। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। বেচাকেনা বন্ধ থাকে। এই কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না।
আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চার দিনে পাবনা জেলায় ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পাবনা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ‘ড্রেনের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ও মাটি জমে উঁচু হয়ে যায়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে পানি বের হতে পারে না। আমরা চেষ্টা করি সব সময় পরিষ্কার রাখার। তার পরও কিছু ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার এবং কিছু ড্রেন নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। পৌরবাসীকেও সচেতন হতে হবে, যেন সব ময়লা ড্রেনে ফেলা না হয়।’
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ইছামতী নদী ও সংযোগ খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলছে। ইছামতী নদী ও তার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলোর খনন শেষ হলে পাবনা জেলায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। ২০২৭ সালের জুনে এই খনন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে