চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্যারেটের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এতে বাড়তি লোকসানের মুখে পড়েছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যারেট ব্যবসায়ীরা। আর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে প্রশাসন।
জানা গেছে, জেলার সবচেয়ে বড় আমের বাজার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে। এ ছাড়া গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন-সংলগ্ন রহনপুর আমবাজার, ভোলাহাট আমবাজার, নাচোলের কালইর মিশ্র ফলবাজার এবং সদর উপজেলার পুরাতন বাজারের সদরঘাট আমবাজারে বড় হাট বসে। এসব বাজারে প্রতিদিন ২৫-৩০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হয়। এসব আম দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে পাঠাতে ক্যারেট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই ক্যারেটেই পড়েছে সিন্ডিকেটের থাবা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক নম্বর ক্যারেট ১৫০ টাকায় কিনে ৩৩০ টাকা, দুই নম্বর ৮০ টাকায় কিনে ২৩০ টাকা ও তিন নম্বর ১২০ টাকায় কিনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট ক্যারেটগুলো ৫০ টাকায় কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আম ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৫-৩০ জন পাইকারি ক্যারেট বিক্রেতা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাঁরা মৌসুম শুরুর আগেই ক্যারেটগুলো কিনে স্টক করেছেন। এরপর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাঁদের সুবিধামতো বাজারে ক্যারেট সরবরাহ করছেন। এখানে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে তাঁরা কোটি কোটি টাকা লুফে নিচ্ছেন।
আম ব্যবসায়ী ইসমাঈল হোসেন শামীম খান বলেন, ‘ক্যারেট ব্যবসায়ীরা আমচাষিদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা লুফে নিচ্ছে। এখানে তারা অজুহাত দেখাচ্ছে, বেশি দামে কিনে সামান্য লাভ করছে। কিন্তু সেটা তারা মিথ্যা বলছে। তারা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে তারা এগুলো করতে পারছে।’
অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আমচাষি ও উদ্যোক্তা গোলাম মোস্তফা সুমন বলেন, ‘আমার প্রতিবছর এক হাজারের বেশি ক্যারেট লাগে। এবার বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের থেকে ক্যারেট কিনছি। ক্যারেটের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
আম ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সামান্য লাভের আশায় ব্যবসা করি। কিন্তু এ বছর যে হারে ক্যারেটের দাম বাড়ছে, তাতে আমরা হতাশ। ক্যারেট ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার ক্যারেট কিনে গুদামজাত করে রেখে মৌসুমে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। কিন্তু এবার অস্বাভাবিক দাম নিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে ক্যারেট কিনতে আমাদের বাধ্য করছে। কারণ, সিন্ডিকেটের বাইরে শিবগঞ্জে কেউ ক্যারেট বিক্রি করে না।’
জানতে চাইলে কানসাট আমবাজারের ক্যারেট ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, ‘ঢাকা থেকে ক্যারেট এনে কখনো ২ টাকা, আবার কখনো ১ টাকা লাভে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। আমের মৌসুম শুরুর দিকে এক নম্বর ক্যারেট ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা, দুই নম্বর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, তিন নম্বর ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা ও ছোটগুলো ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এখন এক নম্বর ৩০৫ থেকে ৩২০ টাকা, দুই নম্বর ১৯৫ টাকা, তিন নম্বর ১৫০ টাকা ও ছোটগুলো ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। আমাদের থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে ৫ টাকা লাভে ব্যবসা করছে।’
সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছি না।’
শিবগঞ্জের ইউএনও মো. আজাহার আলী বলেন, ক্যারেট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কথা আমার জানা ছিল না। শিগগির ক্যারেট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্যারেটের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এতে বাড়তি লোকসানের মুখে পড়েছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যারেট ব্যবসায়ীরা। আর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে প্রশাসন।
জানা গেছে, জেলার সবচেয়ে বড় আমের বাজার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে। এ ছাড়া গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন-সংলগ্ন রহনপুর আমবাজার, ভোলাহাট আমবাজার, নাচোলের কালইর মিশ্র ফলবাজার এবং সদর উপজেলার পুরাতন বাজারের সদরঘাট আমবাজারে বড় হাট বসে। এসব বাজারে প্রতিদিন ২৫-৩০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হয়। এসব আম দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে পাঠাতে ক্যারেট ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই ক্যারেটেই পড়েছে সিন্ডিকেটের থাবা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক নম্বর ক্যারেট ১৫০ টাকায় কিনে ৩৩০ টাকা, দুই নম্বর ৮০ টাকায় কিনে ২৩০ টাকা ও তিন নম্বর ১২০ টাকায় কিনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট ক্যারেটগুলো ৫০ টাকায় কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আম ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ২৫-৩০ জন পাইকারি ক্যারেট বিক্রেতা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাঁরা মৌসুম শুরুর আগেই ক্যারেটগুলো কিনে স্টক করেছেন। এরপর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তাঁদের সুবিধামতো বাজারে ক্যারেট সরবরাহ করছেন। এখানে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে তাঁরা কোটি কোটি টাকা লুফে নিচ্ছেন।
আম ব্যবসায়ী ইসমাঈল হোসেন শামীম খান বলেন, ‘ক্যারেট ব্যবসায়ীরা আমচাষিদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা লুফে নিচ্ছে। এখানে তারা অজুহাত দেখাচ্ছে, বেশি দামে কিনে সামান্য লাভ করছে। কিন্তু সেটা তারা মিথ্যা বলছে। তারা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে তারা এগুলো করতে পারছে।’
অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আমচাষি ও উদ্যোক্তা গোলাম মোস্তফা সুমন বলেন, ‘আমার প্রতিবছর এক হাজারের বেশি ক্যারেট লাগে। এবার বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের থেকে ক্যারেট কিনছি। ক্যারেটের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
আম ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সামান্য লাভের আশায় ব্যবসা করি। কিন্তু এ বছর যে হারে ক্যারেটের দাম বাড়ছে, তাতে আমরা হতাশ। ক্যারেট ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার ক্যারেট কিনে গুদামজাত করে রেখে মৌসুমে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। কিন্তু এবার অস্বাভাবিক দাম নিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে ক্যারেট কিনতে আমাদের বাধ্য করছে। কারণ, সিন্ডিকেটের বাইরে শিবগঞ্জে কেউ ক্যারেট বিক্রি করে না।’
জানতে চাইলে কানসাট আমবাজারের ক্যারেট ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, ‘ঢাকা থেকে ক্যারেট এনে কখনো ২ টাকা, আবার কখনো ১ টাকা লাভে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি। আমের মৌসুম শুরুর দিকে এক নম্বর ক্যারেট ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা, দুই নম্বর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, তিন নম্বর ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা ও ছোটগুলো ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আর এখন এক নম্বর ৩০৫ থেকে ৩২০ টাকা, দুই নম্বর ১৯৫ টাকা, তিন নম্বর ১৫০ টাকা ও ছোটগুলো ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। আমাদের থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে ৫ টাকা লাভে ব্যবসা করছে।’
সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছি না।’
শিবগঞ্জের ইউএনও মো. আজাহার আলী বলেন, ক্যারেট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কথা আমার জানা ছিল না। শিগগির ক্যারেট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিজভী পৌরসভা এলাকার বীরপুর মহল্লার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিসের ব্যবসা করতেন। রিজভীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত আটটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
১৫ মিনিট আগেগাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয় ২০১৪ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১১ বছর। তবে রয়ে গেছে নানান সংকট। ২০১৮ সালে হাসপাতালটির নতুন ভবন উদ্বোধন করা হলেও জনবলসংকট ও অবকাঠামোর অভাবে সেটি আজও চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে পুরোনো ভবনে
৫ ঘণ্টা আগেবরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও শৌচাগার। বিভিন্ন কক্ষ থাকে অন্ধকার। এমন পরিবেশে দৈনিক চিকিৎসা নেন হাজারখানেক রোগী। যাঁদের একাংশের ঠাঁই হয় মেঝেতে। এমনকি চিকি
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরে নতুন ২১টি বাস রুটের অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি)। তবে সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী নতুন রুট অনুমোদনের আগে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) মতামত বা সুপারিশ নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তা পুরো আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগে