খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া)
বাঙালির রান্নায় জিরা খুব দরকারি একটি উপাদান হলেও দেশে জিরা চাষে সে অর্থে সফলতা আসেনি। প্রতি বছর আমদানি করতে হয় হাজার হাজার টন জিরা। এতে খরচ হয় বিপুল অর্থ। এবার জিরার চাহিদা মেটাতে বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রথমবারের মতো স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে জিরার চাষ।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের উপযোগী জিরার একটি জাত। বারি জিরা-১ নামের জাতটিকে জাতীয় বীজ বোর্ড ২০২২ সালে অনুমোদনও দিয়েছে। আর তাই, এই প্রথম শিবগঞ্জে কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে চাষ শুরু হয়েছে জিরার। প্রথম চাষে সফল হলে বাড়ানো হবে চাষের পরিধি। আর এতে কমবে আমদানি নির্ভরতা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ৪০-৫০ সেন্টিমিটার উচ্চতার বারি জিরা-১ জাতের জিরার গাছ লম্বা ও ঝোপালো। পাতার রং গাঢ় সবুজ। ফুলের রং গোলাপি। এটি বাজারে পাওয়া যাওয়া জিরার চেয়ে সুগন্ধি। ভালোভাবে চাষ করলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫৫০-৬০০ কেজি জিরা আবাদ করা সম্ভব।
উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় গেলে দেখা যায়, কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে এ এলাকায় চাষাবাদ হচ্ছে জিরা। এ সময় কথা হয় কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসের সহায়তায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি ২৫০ গ্রাম জিরার বীজ পেয়েছিলাম। সেই বীজ ৮ শতক জমিতে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বপন করি। এখন আমার জিরার গাছে ফুল এসেছে।’
উপজেলা সদরের কৃষক মো. হাবিবুল হুদা শাওন বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় স্বল্প পরিসরে এবার প্রথম জিরার চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত জিরার চারা ভালো আছে। তবে এ ফসলের যত্ন একটু বেশি করতে হচ্ছে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় শঙ্কায় আছি।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, জিরা একটি অতি মূল্যবান এবং চ্যালেঞ্জিং মসলা জাতীয় ফসল। গত বছর থেকে জিরার চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জিরা ফসলের রোগবালাই অন্যান্য মসলা জাতীয় ফসলের তুলনায় একটু বেশি। এ জন্য জিরা চাষে একটু বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। জিরার রোগবালাই প্রতিরোধে নিয়ম অনুযায়ী বালাইনাশক স্প্রে করতে হয়। বর্তমানে আবহাওয়া একটু খারাপ। তারপরও চারাগুলো এখনো ভালো আছে। চাষকৃত জমি থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে জিরা সংগ্রহ করা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মুজাহিদ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিবগঞ্জে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী আকারে জিরার চাষ হচ্ছে। এ বছর স্বল্প পরিসরে জিরার চাষাবাদ হলেও প্রদর্শনী থেকে উৎপাদিত জিরা বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আগামী মৌসুমে এর আবাদ এলাকা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। সফলতা পেলে আমদানির পরিমাণ কমে যাবে।’
বাঙালির রান্নায় জিরা খুব দরকারি একটি উপাদান হলেও দেশে জিরা চাষে সে অর্থে সফলতা আসেনি। প্রতি বছর আমদানি করতে হয় হাজার হাজার টন জিরা। এতে খরচ হয় বিপুল অর্থ। এবার জিরার চাহিদা মেটাতে বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রথমবারের মতো স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে জিরার চাষ।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের উপযোগী জিরার একটি জাত। বারি জিরা-১ নামের জাতটিকে জাতীয় বীজ বোর্ড ২০২২ সালে অনুমোদনও দিয়েছে। আর তাই, এই প্রথম শিবগঞ্জে কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে চাষ শুরু হয়েছে জিরার। প্রথম চাষে সফল হলে বাড়ানো হবে চাষের পরিধি। আর এতে কমবে আমদানি নির্ভরতা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ৪০-৫০ সেন্টিমিটার উচ্চতার বারি জিরা-১ জাতের জিরার গাছ লম্বা ও ঝোপালো। পাতার রং গাঢ় সবুজ। ফুলের রং গোলাপি। এটি বাজারে পাওয়া যাওয়া জিরার চেয়ে সুগন্ধি। ভালোভাবে চাষ করলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫৫০-৬০০ কেজি জিরা আবাদ করা সম্ভব।
উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় গেলে দেখা যায়, কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে এ এলাকায় চাষাবাদ হচ্ছে জিরা। এ সময় কথা হয় কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক মো. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসের সহায়তায় প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি ২৫০ গ্রাম জিরার বীজ পেয়েছিলাম। সেই বীজ ৮ শতক জমিতে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বপন করি। এখন আমার জিরার গাছে ফুল এসেছে।’
উপজেলা সদরের কৃষক মো. হাবিবুল হুদা শাওন বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় স্বল্প পরিসরে এবার প্রথম জিরার চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত জিরার চারা ভালো আছে। তবে এ ফসলের যত্ন একটু বেশি করতে হচ্ছে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় শঙ্কায় আছি।
উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, জিরা একটি অতি মূল্যবান এবং চ্যালেঞ্জিং মসলা জাতীয় ফসল। গত বছর থেকে জিরার চাষাবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। জিরা ফসলের রোগবালাই অন্যান্য মসলা জাতীয় ফসলের তুলনায় একটু বেশি। এ জন্য জিরা চাষে একটু বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। জিরার রোগবালাই প্রতিরোধে নিয়ম অনুযায়ী বালাইনাশক স্প্রে করতে হয়। বর্তমানে আবহাওয়া একটু খারাপ। তারপরও চারাগুলো এখনো ভালো আছে। চাষকৃত জমি থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে জিরা সংগ্রহ করা যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মুজাহিদ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিবগঞ্জে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী আকারে জিরার চাষ হচ্ছে। এ বছর স্বল্প পরিসরে জিরার চাষাবাদ হলেও প্রদর্শনী থেকে উৎপাদিত জিরা বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আগামী মৌসুমে এর আবাদ এলাকা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। সফলতা পেলে আমদানির পরিমাণ কমে যাবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
১১ মিনিট আগেনওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাই বাবু (৪৭) এবং তাঁর স্ত্রী মোমেনা বেগম (৩৫)।
২৬ মিনিট আগেউত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করবে ছয় সদস্যের এই কমিটি।
৩৮ মিনিট আগেআফসানার দেবর হাসিবুল হাসান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা আমাদের ভাবি ও তার সন্তান ওহীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওহিকে পাওয়া যায় স্কুলের একটি কক্ষে। আল্লাহর রহমতে ওহি অক্ষত ও ভালো আছে। কিন্তু তার মা আফসানা প্রিয়াকে কোথাও পাওয়া যায়নি।’
৪৪ মিনিট আগে