রিমন রহমান ও তারেক রহমান, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ
এবার আমের ফলন ভালো হলেও আর কোনো কিছুই নেই চাষিদের অনুকূলে। একদিকে করোনা আর কঠোর লকডাউনে বাজারে ক্রেতা নেই, অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে আম নামাতে পারছেন না। ফলে গাছেই পেকে নষ্ট হচ্ছে আম। শেষ হচ্ছে চাষিদের স্বপ্ন।
আমের জন্য প্রসিদ্ধ রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন একই অবস্থা। দেশে আমের সবচেয়ে বড় মোকাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কানসাট। দ্বিতীয় বৃহত্তম মোকাম রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর। এ দুই হাটে তেমন আম উঠছে না। যেসব চাষি হাটে আসছেন, তাঁদের চোখে-মুখে একরাশ হতাশা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আমের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আড়াই লাখ মেট্রিক টন, আর রাজশাহীতে ২ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর আশা করছে কৃষি বিভাগ।
তবে চলতি মৌসুমে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার আম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার দুপুরে কানসাট গেলে আম ব্যবসায়ী এবং বাগান মালিকেরা বলেন, জেলার বাগানগুলোয় এখনো অর্ধেকের বেশি আম রয়েছে।
শিবগঞ্জের গোলাপবাজার এলাকার আমচাষি এনামুল হক বলেন, গেল ৫০ বছরে আমের এমন দুর্দিন হয়নি। তাঁর বাগানে আশ্বিনা, ফজলি, ল্যাংড়াসহ অন্তত আরও ২৫০ মণ আম রয়েছে। জেলায় বিধিনিষেধের সময় মোটামুটি ভালো দামে প্রায় ৫০ মণ আম বিক্রি করেছেন। কিন্তু এই কঠোর লকডাউনের কয়েক দিন আগেই বাইরের ব্যাপারীরা চলে গেছেন। আমের দামও পড়ে গেছে।
শিবগঞ্জের শ্যামপুরের চাষি শরিয়ত মোড়ল জানান, আমের যে দাম তাতে ভ্যান ভাড়াই ওঠে না। বেশি দামের আশায় গাছে রাখা আম পেকে নষ্ট হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে আমের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আম গাছ থেকে নামানো হয়েছে। লকডাউন আর বিধিনিষেধের কারণে আম নামাতে দেরি করেছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমসংশ্লিষ্টদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তারপরও আমের বাজারে ধস নেমেছে। বাইরের জেলা থেকে ব্যাপারীরা আসতে না পারায় বিক্রি কম বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে কৃষি বিভাগের হিসাবে, রাজশাহীতে গড়ে ৮২ শতাংশ আম নামানো হয়েছে। এর মধ্যে জাতভেদে গুটি, গোপালভোগ, রানীপছন্দ, ক্ষীরশাপাতি ও হিমসাগর শতভাগ নামানো হয়েছে। দাম কম বলে অনেক চাষি আম নামাচ্ছেন না, আবার কেউ কেউ আটকে আছেন বৃষ্টির কারণে।
শুক্রবার রাজশাহীর বৃহত্তম আমের মোকাম বানেশ্বরে গিয়ে দেখা যায়, আম এসেছে খুব কম। এ কারণে গত সপ্তাহের চেয়ে দাম সামান্য বেশি। চারঘাটের মাড়িয়া তাতারপুর গ্রাম থেকে হাটে আম নিয়ে আসা চাষি মো. মানিক জানান, কঠোর লকডাউন শুরুর আগে বানেশ্বর কলেজমাঠে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ভ্যান আম ঢুকত। কিন্তু শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৪০ ভ্যানও ঢোকেনি। বেশি আম ঢুকলে এই দামও থাকবে না। তিনি বলেন, উৎপাদন বেশি হলেও দাম না থাকায় এবার প্রত্যেক চাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পুঠিয়ার কুঠিপাড়া গ্রামের মাসুদ রানাও বললেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা।
আমের ব্যাপারী আবদুল বাসিত কষ্টের সঙ্গে বললেন, আম বাজারে তুলে কী হবে! কেনার লোক কই? ব্যবসায়ী দোকানে আম সাজিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতা নেই। আমের দাম থাকবে কী করে?
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক কে জে এম আবদুল আউয়ালও। তিনি বলেন, ক্রেতা না থাকায় চাহিদা কম। চাহিদা না থাকলে দাম কমবেই। তিনি আরও বলেন, লকডাউনে আম পরিবহনে কোনো বাধা নেই। কিন্তু বাজারে আম কেনার লোক নেই। গাছে আম নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আম্রপালি বৃষ্টিতে থাকে না। ফেটে যায়।
এবার আমের ফলন ভালো হলেও আর কোনো কিছুই নেই চাষিদের অনুকূলে। একদিকে করোনা আর কঠোর লকডাউনে বাজারে ক্রেতা নেই, অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে আম নামাতে পারছেন না। ফলে গাছেই পেকে নষ্ট হচ্ছে আম। শেষ হচ্ছে চাষিদের স্বপ্ন।
আমের জন্য প্রসিদ্ধ রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন একই অবস্থা। দেশে আমের সবচেয়ে বড় মোকাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কানসাট। দ্বিতীয় বৃহত্তম মোকাম রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর। এ দুই হাটে তেমন আম উঠছে না। যেসব চাষি হাটে আসছেন, তাঁদের চোখে-মুখে একরাশ হতাশা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আমের লক্ষ্যমাত্রা ছিল আড়াই লাখ মেট্রিক টন, আর রাজশাহীতে ২ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর আশা করছে কৃষি বিভাগ।
তবে চলতি মৌসুমে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার আম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার দুপুরে কানসাট গেলে আম ব্যবসায়ী এবং বাগান মালিকেরা বলেন, জেলার বাগানগুলোয় এখনো অর্ধেকের বেশি আম রয়েছে।
শিবগঞ্জের গোলাপবাজার এলাকার আমচাষি এনামুল হক বলেন, গেল ৫০ বছরে আমের এমন দুর্দিন হয়নি। তাঁর বাগানে আশ্বিনা, ফজলি, ল্যাংড়াসহ অন্তত আরও ২৫০ মণ আম রয়েছে। জেলায় বিধিনিষেধের সময় মোটামুটি ভালো দামে প্রায় ৫০ মণ আম বিক্রি করেছেন। কিন্তু এই কঠোর লকডাউনের কয়েক দিন আগেই বাইরের ব্যাপারীরা চলে গেছেন। আমের দামও পড়ে গেছে।
শিবগঞ্জের শ্যামপুরের চাষি শরিয়ত মোড়ল জানান, আমের যে দাম তাতে ভ্যান ভাড়াই ওঠে না। বেশি দামের আশায় গাছে রাখা আম পেকে নষ্ট হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে আমের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আম গাছ থেকে নামানো হয়েছে। লকডাউন আর বিধিনিষেধের কারণে আম নামাতে দেরি করেছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমসংশ্লিষ্টদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তারপরও আমের বাজারে ধস নেমেছে। বাইরের জেলা থেকে ব্যাপারীরা আসতে না পারায় বিক্রি কম বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে কৃষি বিভাগের হিসাবে, রাজশাহীতে গড়ে ৮২ শতাংশ আম নামানো হয়েছে। এর মধ্যে জাতভেদে গুটি, গোপালভোগ, রানীপছন্দ, ক্ষীরশাপাতি ও হিমসাগর শতভাগ নামানো হয়েছে। দাম কম বলে অনেক চাষি আম নামাচ্ছেন না, আবার কেউ কেউ আটকে আছেন বৃষ্টির কারণে।
শুক্রবার রাজশাহীর বৃহত্তম আমের মোকাম বানেশ্বরে গিয়ে দেখা যায়, আম এসেছে খুব কম। এ কারণে গত সপ্তাহের চেয়ে দাম সামান্য বেশি। চারঘাটের মাড়িয়া তাতারপুর গ্রাম থেকে হাটে আম নিয়ে আসা চাষি মো. মানিক জানান, কঠোর লকডাউন শুরুর আগে বানেশ্বর কলেজমাঠে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ভ্যান আম ঢুকত। কিন্তু শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৪০ ভ্যানও ঢোকেনি। বেশি আম ঢুকলে এই দামও থাকবে না। তিনি বলেন, উৎপাদন বেশি হলেও দাম না থাকায় এবার প্রত্যেক চাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পুঠিয়ার কুঠিপাড়া গ্রামের মাসুদ রানাও বললেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা।
আমের ব্যাপারী আবদুল বাসিত কষ্টের সঙ্গে বললেন, আম বাজারে তুলে কী হবে! কেনার লোক কই? ব্যবসায়ী দোকানে আম সাজিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতা নেই। আমের দাম থাকবে কী করে?
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক কে জে এম আবদুল আউয়ালও। তিনি বলেন, ক্রেতা না থাকায় চাহিদা কম। চাহিদা না থাকলে দাম কমবেই। তিনি আরও বলেন, লকডাউনে আম পরিবহনে কোনো বাধা নেই। কিন্তু বাজারে আম কেনার লোক নেই। গাছে আম নষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আম্রপালি বৃষ্টিতে থাকে না। ফেটে যায়।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মূল ভবনের শাপলা হলে চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২০তম দিনের সংলাপ। আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে সংলাপ চলাকালে হঠাৎ বেজে উঠে ফায়ার অ্যালার্ম।
৪ মিনিট আগেইউএনও জানান, পূর্বাচলের ২৪ ও ২৫ নম্বর সেক্টরের প্রায় ১৪৪ একর এলাকা শালকপিচসহ নানা প্রজাতির উদ্ভিদ থাকায় এবং প্রাণীর বিচরণের কারণে ‘বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত। ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের আওতায় সরকার এ এলাকায় সংরক্ষণের গেজেটও জারি করে।
৭ মিনিট আগেস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাসে অংশ নিয়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩-এর সামনে মহাসড়কের ওপরে এই প্রতীকী ক্লাস শুরু হয়। এক ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা
৪৩ মিনিট আগেজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এসএসসি পাস মেধাবী এক কিশোরীকে চার বছর ধরে ঘরে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে তার বাবা এনামুল হক ও সৎমা ফুতি বেগমের বিরুদ্ধে। মেয়েটিকে একটি অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে ঘরে দিনের পর দিন বন্দী করে রাখা হয়। নিয়মিত দেওয়া হতো চেতনানাশক ইনজেকশন। অবশেষে প্রতিবেশীদের সহায়তা
১ ঘণ্টা আগে