Ajker Patrika

‘রাজা’কে সমীহ করে চলে অন্য ষাঁড়গুলো

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫, ১৮: ০৩
ত্রিশালের কাকচর গ্রামের মাহমুদুল হাসান সুজনের খামারের ষাঁড় ‘রাজা’। ছবি: আজকের পত্রিকা
ত্রিশালের কাকচর গ্রামের মাহমুদুল হাসান সুজনের খামারের ষাঁড় ‘রাজা’। ছবি: আজকের পত্রিকা

শখের বশে ষাঁড়, গরুর খামার গড়ে তুলেছিলেন মাহমুদুল হাসান সুজন। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাকচর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এই খামার এখন তাঁকে এনে দিয়েছে পরিচিতি, আত্মবিশ্বাস ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা। সুজন তাঁর খামারের নাম দিয়েছেন নীরা অ্যান্ড রায় ক্যাটল ফার্ম। এবারের কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সুজনের খামারের ৬০০ কেজির ষাঁড় ‘রাজা’ আকর্ষণ তৈরি করেছে। এর দাম হাঁকা হচ্ছে চার লাখ টাকা।

এবারের ঈদ সামনে রেখে সুজন তাঁর খামারে একটি সেটে বিশালদেহী লাল, সাদা ও কালো রঙের বিশালদেহী ১১টি বলদ গরু রেখেছেন। পাশের সেটেই রয়েছে বিভিন্ন রং ও আকারের আরও ২১টি ষাঁড়। এগুলোর মধ্যে বিশালদেহী কালচে রঙের ৬০০ কেজির একটি ষাঁড়ের নাম ‘রাজা’।

মাহমুদুল হাসান সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খামারের গরুগুলোকে আমি প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করি। খামারে উৎপাদিত কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, ভুসি, ছোলা ও অ্যাংকরের ছোলা খাওয়াই। কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করি না।’

প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসছেন ‘রাজা’ ও একটি ‘বৃহদাকার বলদ’ গরু দেখতে। কেউ কৌতূহলী দর্শক হয়ে আসেন, কেউবা সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে আসছেন। ‘রাজা’ নামের কারণ জানতে চাইলে সুজন বলেন, ‘ষাঁড়টি খুব চঞ্চল ও রাগী। সব কটি ষাঁড় তার চঞ্চলতা ও ক্ষিপ্রতা দেখে ভয়ে তটস্থ থাকে। তাই তার নাম রেখেছি ‘‘রাজা’’। তার রাজত্বেই বাকি ষাঁড়গুলো আছে।’

পশুচিকিৎসক রোকনুজ্জামান বলেন, ‘এই খামারের গরুগুলো আমি নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। জানামতে, এই খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। এখানে কৃত্রিম কোনো খাবার বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। খামারের সব পশুই সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত