Ajker Patrika

নৌকা সমর্থিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৪ 

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
নৌকা সমর্থিত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৪ 

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

গতকাল রোববার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ হামলায় চারটি বাড়ি, দুটি দোকান ও দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। 

হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কসহ উভয় পক্ষের চারজন সমর্থক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

হালুয়াঘাটে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ধুরাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মো. শফিকুল ইসলাম লিটন, রফিকুল ইসলাম বাদশা ও আবদুল বাতেন শেখ সেলিম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে পূর্বধুরাইল গ্রামে জমির সীমানা নিয়ে ওয়ারিছ উদ্দিন সুমনের সমর্থক, মফিজুল ইসলামের সঙ্গে শফিকুল ইসলামের সমর্থক, জুয়েল মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মফিজুল ইসলাম মারধরের শিকার হন। কিছুক্ষণের মধ্যে নৌকার সমর্থকদের কাছে এ খবর পৌঁছে যায়। এতে ওয়ারিছ উদ্দিন সুমনের সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলামের তিন সমর্থকের বাড়ি, শিমুলতলি বাজারের একটি দোকান ও তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। 

বসতঘরে ভাংচুর করা হয়েছেএ ঘটনার পর সন্ধ্যায় শফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা ধুরাইল বাজারে ওয়ারিছ উদ্দিন সুমনের প্রচার মাইক, তাঁর একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম আহত হন। এদিকে একই সময়ে সেখানে ঘোড়া প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে সুমনের ও শফিকুলের সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে রফিকুল ইসলামের দুই সমর্থক আহত হন। 

জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নৌকার সমর্থকেরা তাঁর তিন কর্মীর বাড়ি, একটি দোকানে হামলা ও নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা কোনো ভাঙচুর করেননি। 

এদিকে ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন অভিযোগ অস্বীকার করে আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমার কোনো সমর্থক কারও বাড়িঘরে বা অফিসে হামলা করেনি। তাঁরা নিজেরা এটা করে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বরং চশমার সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে আমার একটি নির্বাচনী অফিস ও প্রচারের মাইক ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত