নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে এক মাদ্রাসার প্রভাষক জালিয়াতি করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। এমন অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন মাদ্রাসা শিক্ষককেরা। সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মাদ্রাসা অধিদপ্তর ওই শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন ভোগ করা অর্থ ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসায়।
মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জানান, মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোজাম্মেল হকের অবস্থান পঞ্চমে। তিনি নিজের মামা ও মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল মনসুরের ছত্র ছায়ায় ২০২২ সালের আগস্টে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ বাগিয়ে নেন।
এর আগে তথ্য গোপন, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতি হন তিনি। একই সঙ্গে ভোগ করেন বেতন ভাতাসহ অন্য সুবিধাও।
এ বিষয়ে বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসার প্রথম ক্রমিকে থাকা প্রভাষক (আরবি) মো. আলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চারজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের রেখে ভুয়া কাগজপত্র ও তথ্য গোপন করে মোজাম্মেল হক প্রভাষক পদে এমপিওভুক্ত চিঠি আসে। চিঠি দেখে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের অভিযোগ দিয়েছি। তারা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে। এখন অতিরিক্ত অর্থ ফেরতের চিঠি এসেছে।’
এদিকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ধরা পড়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) মো. আবুল বাশার ওই শিক্ষককে নোটিশ পাঠান। নোটিশে প্রায় এক বছরের উত্তোলন করা অর্থ ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরের দেওয়া নোটিশের অনুলিপিতে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে মো. মোজাম্মেল হক মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই থেকে বেতন ভাতা, দুই ঈদ বোনাস, বৈশাখী ভাতা ছাড়া অতিরিক্ত ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৬ টাকা উত্তোলন করেন। এই টাকা নোটিশের সাত দিনের মধ্যে ফেরত না দিলে মাদ্রাসার এমপিও বাতিলসহ তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নোটিশ পেয়েছি। অতিরিক্ত অর্থ যা গ্রহণ করা হয়েছে, তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল মুনসুর মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাগনা বলে আমি কোনো তথ্য গোপন করি নাই। তার যোগ্যতার ভিত্তিতেই সে নিয়োগ পেয়েছে। চিঠি এসেছে সে জবাব দেবে।’
বাকচান্দা ফাযিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোনো তথ্য উপাত্ত লঙ্ঘন করি নাই। সঠিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে আমাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে। সে কাগজপত্রগুলো আমার কাছে আছে। অধিদপ্তর থেকে যে চিঠি আসছে তার জবাব আমি দেব।’
ময়মনসিংহে এক মাদ্রাসার প্রভাষক জালিয়াতি করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। এমন অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন মাদ্রাসা শিক্ষককেরা। সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মাদ্রাসা অধিদপ্তর ওই শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন ভোগ করা অর্থ ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসায়।
মাদ্রাসার শিক্ষকেরা জানান, মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোজাম্মেল হকের অবস্থান পঞ্চমে। তিনি নিজের মামা ও মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল মনসুরের ছত্র ছায়ায় ২০২২ সালের আগস্টে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ বাগিয়ে নেন।
এর আগে তথ্য গোপন, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপকে পদোন্নতি হন তিনি। একই সঙ্গে ভোগ করেন বেতন ভাতাসহ অন্য সুবিধাও।
এ বিষয়ে বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসার প্রথম ক্রমিকে থাকা প্রভাষক (আরবি) মো. আলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চারজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের রেখে ভুয়া কাগজপত্র ও তথ্য গোপন করে মোজাম্মেল হক প্রভাষক পদে এমপিওভুক্ত চিঠি আসে। চিঠি দেখে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের অভিযোগ দিয়েছি। তারা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে। এখন অতিরিক্ত অর্থ ফেরতের চিঠি এসেছে।’
এদিকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ধরা পড়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) মো. আবুল বাশার ওই শিক্ষককে নোটিশ পাঠান। নোটিশে প্রায় এক বছরের উত্তোলন করা অর্থ ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসা অধিদপ্তরের দেওয়া নোটিশের অনুলিপিতে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে মো. মোজাম্মেল হক মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই থেকে বেতন ভাতা, দুই ঈদ বোনাস, বৈশাখী ভাতা ছাড়া অতিরিক্ত ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭৬ টাকা উত্তোলন করেন। এই টাকা নোটিশের সাত দিনের মধ্যে ফেরত না দিলে মাদ্রাসার এমপিও বাতিলসহ তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নান্দাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নোটিশ পেয়েছি। অতিরিক্ত অর্থ যা গ্রহণ করা হয়েছে, তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাকচান্দা ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল মুনসুর মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাগনা বলে আমি কোনো তথ্য গোপন করি নাই। তার যোগ্যতার ভিত্তিতেই সে নিয়োগ পেয়েছে। চিঠি এসেছে সে জবাব দেবে।’
বাকচান্দা ফাযিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোনো তথ্য উপাত্ত লঙ্ঘন করি নাই। সঠিক তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে আমাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে। সে কাগজপত্রগুলো আমার কাছে আছে। অধিদপ্তর থেকে যে চিঠি আসছে তার জবাব আমি দেব।’
সিলেটের গোয়াইনঘাটে মিষ্টির দোকানে এক ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার জাফলংয়ের মামার বাজার মন্দিরসংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর নাম রাজীব সরকার (৩০)। তিনি নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার জয়কৃষ্ণ সরকারের ছেলে।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানববন্ধন থেকে তাঁরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
৩৪ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে দাবি না মানা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমি ভবনের ফটকে তালা দিয়ে রক্তাক্ত প্রতীকী অ্যাপ্রোন ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
৪২ মিনিট আগেদিনাজপুরের বীরগঞ্জে এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে ১০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় এক বছরের স্বামী–স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তি পাওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল করেছেন বলে দাবি আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সোহাগ ইসলামের।
৪৪ মিনিট আগে