এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা পেতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এমনকি উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার, তথ্য ও যোগাযোগ কার্যালয়ে গিয়েও জন্ম নিবন্ধন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘদিনেও সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
‘নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় জন্ম-মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’-জাতীয় জন্ম নিবন্ধন কর্মসূচির প্রতিপাদ্য হলেও গাইবান্ধা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামে গাইবান্ধা ইউপি ভবনে ও নাপিতেরচর বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল তথ্য সেন্টার দুটিতে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন থেকেই সেবাপ্রার্থীরা জন্ম নিবন্ধন পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা দুষছেন ইউপি সচিবকে। অন্য দিকে, ইউপি সচিব নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জন্ম নিবন্ধনের সার্ভারের গোপন নম্বরের ত্রুটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নুর ইসলাম বলেন, ‘ইউপি সচিব আসাদুজ্জামান বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন সার্ভারের গোপন নম্বর আমাকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। ফলে সেবাপ্রার্থীদের জন্ম নিবন্ধন সনদও দেওয়া যাচ্ছে না।’
ইউপি সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। মূলত জন্ম নিবন্ধন সার্ভারের গোপন নম্বরের ত্রুটি হয়েছে। আশা রাখি, শিগগিরই সমাধান হবে।’
প্রশাসনিক প্রায় সব কর্মকাণ্ড ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ায় জন্ম নিবন্ধন সনদ অপরিহার্য। পাসপোর্ট তৈরি, করোনার টিকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সম্প্রতি দেশে ১২-১৮ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ উত্তোলনের হার বেড়ে যায়। এ ছাড়া শিক্ষা তথ্য বাতায়ন ও পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি করতে নির্দেশনা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাধ্যতামূলক ও জরুরি এই সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও। অনেকের জন্মসনদ সংশোধন করতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাত, রুবেল, শারমিনরা জানায়, স্কুলে ইউনিক আইডি করতে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। কিন্তু ইউপির তথ্য ও ডিজিটাল সেন্টারে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। বিকল্পভাবে উপজেলা পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে আবেদন করেও আমরা জন্ম নিবন্ধন পাচ্ছি না।
ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের আকবর, চন্দনপুরের মতি মিয়া, মরাকান্দির আওরঙ্গজেব গোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ঘুরেও জন্ম নিবন্ধন পাননি তাঁরা। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া স্কুলে সন্তানের ইউনিক আইডিও করতে পারছেন না।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনের সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করা শুরু হবে।’ তবে কী কারণে সার্ভার বন্ধ রাখা হয়েছে, তা বলতে পারেননি তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ইসলামপুর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার এ কে এম মোস্তফা মনোয়ার জানান, ‘আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট তুলনামূলকভাবে কম। জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সরবরাহ করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা পেতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এমনকি উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার, তথ্য ও যোগাযোগ কার্যালয়ে গিয়েও জন্ম নিবন্ধন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘদিনেও সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
‘নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় জন্ম-মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’-জাতীয় জন্ম নিবন্ধন কর্মসূচির প্রতিপাদ্য হলেও গাইবান্ধা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ জন্ম নিবন্ধন সনদ পেতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামে গাইবান্ধা ইউপি ভবনে ও নাপিতেরচর বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ডিজিটাল তথ্য সেন্টার দুটিতে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন থেকেই সেবাপ্রার্থীরা জন্ম নিবন্ধন পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা দুষছেন ইউপি সচিবকে। অন্য দিকে, ইউপি সচিব নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জন্ম নিবন্ধনের সার্ভারের গোপন নম্বরের ত্রুটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নুর ইসলাম বলেন, ‘ইউপি সচিব আসাদুজ্জামান বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন সার্ভারের গোপন নম্বর আমাকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। ফলে সেবাপ্রার্থীদের জন্ম নিবন্ধন সনদও দেওয়া যাচ্ছে না।’
ইউপি সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন সনদ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। মূলত জন্ম নিবন্ধন সার্ভারের গোপন নম্বরের ত্রুটি হয়েছে। আশা রাখি, শিগগিরই সমাধান হবে।’
প্রশাসনিক প্রায় সব কর্মকাণ্ড ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ায় জন্ম নিবন্ধন সনদ অপরিহার্য। পাসপোর্ট তৈরি, করোনার টিকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগসহ বিভিন্ন সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সম্প্রতি দেশে ১২-১৮ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ উত্তোলনের হার বেড়ে যায়। এ ছাড়া শিক্ষা তথ্য বাতায়ন ও পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি করতে নির্দেশনা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাধ্যতামূলক ও জরুরি এই সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও। অনেকের জন্মসনদ সংশোধন করতে হচ্ছে।
গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিফাত, রুবেল, শারমিনরা জানায়, স্কুলে ইউনিক আইডি করতে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। কিন্তু ইউপির তথ্য ও ডিজিটাল সেন্টারে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। বিকল্পভাবে উপজেলা পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে আবেদন করেও আমরা জন্ম নিবন্ধন পাচ্ছি না।
ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের আকবর, চন্দনপুরের মতি মিয়া, মরাকান্দির আওরঙ্গজেব গোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ঘুরেও জন্ম নিবন্ধন পাননি তাঁরা। জন্ম নিবন্ধন ছাড়া স্কুলে সন্তানের ইউনিক আইডিও করতে পারছেন না।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধনের সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করা শুরু হবে।’ তবে কী কারণে সার্ভার বন্ধ রাখা হয়েছে, তা বলতে পারেননি তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ইসলামপুর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার এ কে এম মোস্তফা মনোয়ার জানান, ‘আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট তুলনামূলকভাবে কম। জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সরবরাহ করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে