Ajker Patrika

দুই নারীকে পিটিয়ে জখম, ৭ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
দুই নারীকে পিটিয়ে জখম, ৭ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে দরিদ্র দুই নারীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ ওঠে ১৪ এপ্রিল ওঠে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই দিনই ইসলামপুর থানায় ভুক্তভোগীর পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও আজ শুক্রবার পর্যন্ত থানায় মামলা রুজু করা হয়নি। তবে থানা-পুলিশ বলছে, ‘তদন্ত চলছে, অবশ্যই মামলা রুজু করা হবে।’ 

এদিকে বেধড়ক মারপিটে গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী ওই দুই নারী। 

ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ এপ্রিল বিকেল তিনটায় ইসলামপুর পৌর শহরের উত্তর কিসমতজাল্লা গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের মা বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। 

ভুক্তভোগীরা হলেন ইসলামপুর পৌর শহরের উত্তর কিসমতজাল্লা গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিনের মেয়ে ফুলি বেগম (৪৫) এবং তাঁর ভাগনি মৃত গেন্দা শেখের স্ত্রী ময়না বেগম (৩০)। 

থানায় দাখিল করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তর কিসমতজাল্লা গ্রামের জয়েন উদ্দিনের মেয়ে ফুলি বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী নটার কান্দা মাজার বাড়ির এলাকার মৃত মাদারী শেখের ছেলে মো. গুলজারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সে বিরোধের জের ধরে বিবাদীরা বিভিন্ন সময় ফুলি বেগমের ক্ষয়-ক্ষতিসহ মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে অভিযুক্ত গুলজার, তাঁর ছেলে উজ্জ্বলসহ তাদের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দা, লোহার রড ও লাঠি-সোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফুলি বেগমের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় অভিযুক্ত গুলজারের আদেশে তাঁর ছেলে উজ্জ্বল লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করেন। এতে ফুলি বেগমের বাম হাত ভেঙে যায়। এ সময় ভুক্তভোগী ফুলি বেগম মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় অপর ভুক্তভোগী ময়না বেগম এগিয়ে এলে তাঁকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোছা. ফুলি বেগম বলেন, ‘অন্যের বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোনোমতে সংসার আমাদের। শত্রুতার জের ধরে আমার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাকে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে। ওরা (অভিযুক্ত) হুমকি দিয়েই যাচ্ছে খুন করে আমাদের লাশ গুম করবে। আমি এখন ভয়ে, অসহায় জীবনযাপন করছি। থানায় অভিযোগ দিয়েছি এখনো মামলা রুজু করেনি পুলিশ।’ 

এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ গুলজার বলেন, ‘সামান্য ঘটনা ঘটেছে। সেটা তেমন কিছু না। আমাদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ করা হচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই মামলা রুজু করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত