Ajker Patrika

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ‘কালো মহারাজ’

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
Thumbnail image

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘কালো মহারাজ’। আনুমানিক ২৫ মণ ওজনের ষাঁড়টি উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ভাটিচর নওপাড়া গ্রামের মো. কাজল মিয়ার খামারে পালিত হচ্ছে। 

জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি এরই মধ্যে উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় হিসেবে ব্যাপক আলোচিত। উচ্চতায় ৬ ফুট এবং লম্বায় ৯ ফুটের এ ষাঁড়টি দেখতে প্রতিনিয়ত দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষজন ও ক্রেতারাও। ষাঁড়ের মালিক দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা। এটি উপজেলার সবচেয়ে বড় আকার এবং ওজনের ষাঁড় বলে দাবি করছেন তিনি। 

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, কালো মহারাজের মতো এত বড় ষাঁড় আমাদের এলাকায় আর একটিও নেই। আমরা এ ষাঁড় দেখে খুবই উৎসাহিত। ভবিষ্যতে এমন একটি ষাঁড় পালন করার চেষ্টা করব। 

খামারি কাজলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, ‘ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির। ষাঁড়টিকে আমি আমার সন্তানদের মতো লালনপালন করেছি। আমার সন্তানদের যেমন আদর-স্নেহ করি, ঠিক তেমনি ষাঁড়টিকেও করছি।’ 

খামারি কাজল মিয়া বলেন, ষাঁড়টির বয়স ৩ বছরের মতো হয়েছে। এটির জন্ম আমার নিজের ঘরে। আমর স্ত্রী সেলিনা আক্তারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমি, আমার দুই ছেলে নীরব ও মাজহারুল ষাঁড়টি লালনপালন করেছি। ষাঁড়টিকে প্রতিদিন আঙুর, আপেল, কমলা, মাল্টা, মিষ্টি আলু, চিড়া, গুড়, ভুসি, কলাসহ প্রতিদিন সকালে ১০ কেজি করে কালো জিরার চাল খাওয়ানো হয়। ষাঁড়টির পেছনে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টাকার মতো খরচ হয়। 

খামারি আরও বলেন, আমার অনেক দিনের শখ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়টি আমার খামারে হবে। আল্লাহ আমার ইচ্ছেটা পূরণ করেছে। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি আমার ষাঁড়টিই পুরো উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড়। ষাঁড়টির রং কালো বলে এর নাম রেখেছি ‘কালো মহারাজ’। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ষাঁড়টি দেখতে আসছেন। 

বর্তমানে গো-খাদ্যের আকাশছোঁয়া দাম। সেই অনুযায়ী ষাঁড়টির দাম হাঁকছি ১৫ লাখ টাকা। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির হাটে ষাঁড়টি তুলবে। 

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বলেন, বড় ষাঁড়ের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। সে ক্ষেত্রে ষাঁড়ের মালিকের প্রতি আহ্বান থাকবে তিনি যেন আগেভাগেই ঢাকাসহ বিভিন্ন অনলাইন পশুহাটে তাঁর গরুর প্রচার-প্রচারণা চালায়। এ ছাড়া গরুর কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত