সৌগত বসু, ময়মনসিংহ থেকে ফিরে
দুই পাশে সুউচ্চ ভবন। সামনে নগরীর প্রধান একটি সড়ক। আর এক পাশে গলির মতো সরু রাস্তা। এসবের মাঝ বরাবর একটি দোতলা বাড়ি, প্রাচীরে ঘেরা। তবে বাড়ির সামনে রাস্তার দিকে প্রাচীরের উচ্চতা বেশ কম। এতে ফুটপাথ বা সড়ক দিয়ে হাঁটলেই মূল ভবনটি স্পষ্ট দেখা যায়। অনেকটা পুরোনো আমলে জমিদার বাড়ির আদলে বানানো। দেয়ালে লেখা ‘সুন্দর মহল’ নামটি জ্বলজ্বল করছে।
সীমানা প্রাচীরের মধ্যেই বাড়িটির সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় রয়েছে। সেই কার্যালয়ের নাম দেখে আন্দাজ করা যায় এটি কার বাড়ি হতে পারে।
সুন্দর মহলের সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যালয়টি জাতীয় পার্টির। আর বাড়িটি এই দলের একাংশের নেতা রওশন এরশাদের। এটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। এখানেই তাঁর জন্ম। আর শহরটি ময়মনসিংহ। এই শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সুতিয়াখালি গ্রামের কন্যা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন।
শহরের ফায়ার সার্ভিস রোডে ‘সুন্দর মহল’–এর অবস্থান। দৃষ্টিনন্দন ভবনটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম সাক্ষী।
গত রোববার (১০ মার্চ) সকালে সুন্দর মহলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক ভেতর থেকে বন্ধ। আশপাশে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ফিরে এসে এই প্রতিবেদক দেখেন ফটকটি খোলা হয়েছে। ভেতরে এগোতেই চোখে পড়ে টবে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ। বোঝা যাচ্ছে একটু আগেই পানি দেওয়া হয়েছে।
বাড়ির সঙ্গে থাকা জাতীয় পার্টির কার্যালয়টি তালাবদ্ধ। চারপাশ ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির বামপাশে একটি আলাদা কাঠের দরজা রয়েছে। সেটিতে বাইরে থেকে তালা দেওয়া। বাড়ির বারান্দায় দুটি বৈদ্যুতিক মিটার রয়েছে। দুটি মিটারই সচল। বাড়ির সামনে একটি বাঁধানো কবর। কবরের নামফলকে লেখা: বেগম বদরুন্নাহার। মৃত্যু ১৯৯১। স্বামীর নাম খান সাহেব উমেদ আলী।
স্থানীয়দের ভাষ্য, একসময় জমজমাট ছিল এই বাড়ি। এখন জৌলুশ হারিয়েছে। মূলত নির্বাচনের আগে এই বাড়ি ঘিরে থাকে অন্যরকম আমেজ। ২০০৮,২০১৪, ২০১৮ সালে সেরকমই ছিল। তখন রওশন এরশাদ এই বাড়িতেই আসতেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দলে ভাঙন দেখা দিলে সেই জৌলুশ হারায় বাড়িটি। এখন কেউ আসে না। রওশন এরশাদ অসুস্থ থাকায় অনেক দিন আসেন না।
২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়ে রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ এলে জীর্ণদশা বাড়িটিতে চুনকাম করা হয়। সুন্দর মহল নতুন রূপ পায়। এরপর আর যত্ন নেওয়া হয়নি। মাঝে দু–এক বছর আগে আরেকবার চুনকাম করা হলেও রওশন আর এখানে আসেননি।
বাড়ির পাশেই সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, একজন কেয়ারটেকার আছেন বাড়িতে। মাঝে মাঝে এসে গাছে পানি দেন। ভেতরে একটা পরিবার ভাড়া থাকে। পেছনের দিকে একটি একতলা ভবন আছে টিনশেডের। দুই সন্তান নিয়ে তাঁরা থাকেন। এমনিতে কেউ বাড়িতে আসে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে মাদারীপুরের বাসিন্দা ও রওশন এরশাদের ঢাকার বাসার বাবুর্চি আব্দুল হালিমকে সপরিবারে ময়মনসিংহ নিয়ে এসে ‘সুন্দর মহল’ দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে এই মহলটি আব্দুল হালিমের তত্ত্বাবধানে ছিল। ২০১৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই মহলটি তালাবদ্ধ। তবে এই সময়ে রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ এলে খোলা হয় এই মহলের দরজা। এখন একজন কেয়ারটেকার আছেন। তবে তিনি এখানে থাকেন না।
ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়াল সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি বেগম রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি। ওনার বাবার সূত্রে তিনি এই বাড়িটা পেয়েছিলেন। ওনার জন্ম এখানে কি না সেটি নিশ্চিত নই। এখন আর উনি বাড়িতে আসেন না। করোনার আগে সবশেষ এসেছিলেন। ওনার বাবা ছিলেন সাব ডিভিশনাল কর্মকর্তা। সেই জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকা হয়েছে। এই বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর ওনার বিয়ে হয়ে যায়।’
বাড়ির সঙ্গে কার্যালয় থাকলেও সেটি বন্ধ কেন, এমন প্রশ্নে আবদুল আওয়াল বলেন, ‘উনি নির্বাচন না করার কারণে কর্মীদের মনের মধ্যে একটু ক্ষোভ আছে। এত দিন ওনার সঙ্গেই আছি। উনি নির্বাচন করলেন না। এটা নিয়েই একটু কষ্টে আছে। এটা কেটে যাবে। সম্প্রতি ওনার সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে দেখা করে এসেছি। আস্তে আস্তে আবার ঠিক হবে।’
দুই পাশে সুউচ্চ ভবন। সামনে নগরীর প্রধান একটি সড়ক। আর এক পাশে গলির মতো সরু রাস্তা। এসবের মাঝ বরাবর একটি দোতলা বাড়ি, প্রাচীরে ঘেরা। তবে বাড়ির সামনে রাস্তার দিকে প্রাচীরের উচ্চতা বেশ কম। এতে ফুটপাথ বা সড়ক দিয়ে হাঁটলেই মূল ভবনটি স্পষ্ট দেখা যায়। অনেকটা পুরোনো আমলে জমিদার বাড়ির আদলে বানানো। দেয়ালে লেখা ‘সুন্দর মহল’ নামটি জ্বলজ্বল করছে।
সীমানা প্রাচীরের মধ্যেই বাড়িটির সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় রয়েছে। সেই কার্যালয়ের নাম দেখে আন্দাজ করা যায় এটি কার বাড়ি হতে পারে।
সুন্দর মহলের সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যালয়টি জাতীয় পার্টির। আর বাড়িটি এই দলের একাংশের নেতা রওশন এরশাদের। এটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। এখানেই তাঁর জন্ম। আর শহরটি ময়মনসিংহ। এই শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সুতিয়াখালি গ্রামের কন্যা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী বেগম রওশন।
শহরের ফায়ার সার্ভিস রোডে ‘সুন্দর মহল’–এর অবস্থান। দৃষ্টিনন্দন ভবনটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম সাক্ষী।
গত রোববার (১০ মার্চ) সকালে সুন্দর মহলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক ভেতর থেকে বন্ধ। আশপাশে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ফিরে এসে এই প্রতিবেদক দেখেন ফটকটি খোলা হয়েছে। ভেতরে এগোতেই চোখে পড়ে টবে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ। বোঝা যাচ্ছে একটু আগেই পানি দেওয়া হয়েছে।
বাড়ির সঙ্গে থাকা জাতীয় পার্টির কার্যালয়টি তালাবদ্ধ। চারপাশ ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির বামপাশে একটি আলাদা কাঠের দরজা রয়েছে। সেটিতে বাইরে থেকে তালা দেওয়া। বাড়ির বারান্দায় দুটি বৈদ্যুতিক মিটার রয়েছে। দুটি মিটারই সচল। বাড়ির সামনে একটি বাঁধানো কবর। কবরের নামফলকে লেখা: বেগম বদরুন্নাহার। মৃত্যু ১৯৯১। স্বামীর নাম খান সাহেব উমেদ আলী।
স্থানীয়দের ভাষ্য, একসময় জমজমাট ছিল এই বাড়ি। এখন জৌলুশ হারিয়েছে। মূলত নির্বাচনের আগে এই বাড়ি ঘিরে থাকে অন্যরকম আমেজ। ২০০৮,২০১৪, ২০১৮ সালে সেরকমই ছিল। তখন রওশন এরশাদ এই বাড়িতেই আসতেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দলে ভাঙন দেখা দিলে সেই জৌলুশ হারায় বাড়িটি। এখন কেউ আসে না। রওশন এরশাদ অসুস্থ থাকায় অনেক দিন আসেন না।
২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়ে রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ এলে জীর্ণদশা বাড়িটিতে চুনকাম করা হয়। সুন্দর মহল নতুন রূপ পায়। এরপর আর যত্ন নেওয়া হয়নি। মাঝে দু–এক বছর আগে আরেকবার চুনকাম করা হলেও রওশন আর এখানে আসেননি।
বাড়ির পাশেই সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, একজন কেয়ারটেকার আছেন বাড়িতে। মাঝে মাঝে এসে গাছে পানি দেন। ভেতরে একটা পরিবার ভাড়া থাকে। পেছনের দিকে একটি একতলা ভবন আছে টিনশেডের। দুই সন্তান নিয়ে তাঁরা থাকেন। এমনিতে কেউ বাড়িতে আসে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে মাদারীপুরের বাসিন্দা ও রওশন এরশাদের ঢাকার বাসার বাবুর্চি আব্দুল হালিমকে সপরিবারে ময়মনসিংহ নিয়ে এসে ‘সুন্দর মহল’ দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে এই মহলটি আব্দুল হালিমের তত্ত্বাবধানে ছিল। ২০১৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই মহলটি তালাবদ্ধ। তবে এই সময়ে রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ এলে খোলা হয় এই মহলের দরজা। এখন একজন কেয়ারটেকার আছেন। তবে তিনি এখানে থাকেন না।
ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়াল সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি বেগম রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি। ওনার বাবার সূত্রে তিনি এই বাড়িটা পেয়েছিলেন। ওনার জন্ম এখানে কি না সেটি নিশ্চিত নই। এখন আর উনি বাড়িতে আসেন না। করোনার আগে সবশেষ এসেছিলেন। ওনার বাবা ছিলেন সাব ডিভিশনাল কর্মকর্তা। সেই জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকা হয়েছে। এই বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর ওনার বিয়ে হয়ে যায়।’
বাড়ির সঙ্গে কার্যালয় থাকলেও সেটি বন্ধ কেন, এমন প্রশ্নে আবদুল আওয়াল বলেন, ‘উনি নির্বাচন না করার কারণে কর্মীদের মনের মধ্যে একটু ক্ষোভ আছে। এত দিন ওনার সঙ্গেই আছি। উনি নির্বাচন করলেন না। এটা নিয়েই একটু কষ্টে আছে। এটা কেটে যাবে। সম্প্রতি ওনার সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে দেখা করে এসেছি। আস্তে আস্তে আবার ঠিক হবে।’
বিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
৬ মিনিট আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
১২ মিনিট আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
১৮ মিনিট আগেসুন্দরবনে ফের বেড়েছে বনদস্যুদের উৎপাত। জেলে ও বাওয়ালিদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে তারা। আতঙ্কে অনেকে পেশা ত্যাগ করছেন। অনেকে আবার কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
২৬ মিনিট আগে