Ajker Patrika

পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সেই ইনচার্জের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের অভিযোগের তদন্ত শুরু

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সেই ইনচার্জের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের অভিযোগের তদন্ত শুরু

জামালপুরের বকশীগঞ্জের কামালের বার্ত্তী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়সহ সেবাপ্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী। 

গত ৬ মে এসআই মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোশারফ হোসেন নামে কামালের বার্ত্তী বাজারের এক ব্যবসায়ী জামালপুর পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বের দেওয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরীকে। 

মোশারফ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘুষ নিয়েও আইনি সেবা দেননি এসআই খাইরুল ইসলাম। উল্টো হয়রানি করেছেন। ২০২৩ সালের ৩০ জুন গভীর রাতে কামালের বার্ত্তী বাজারে তাঁর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে যায়। তাতে অন্তত দেড় কোটি টাকা সমমূল্যের ক্ষতি হয়। ওই আগুনে ঠান্ডারবন্দ গ্রামের বাবু মিয়া, আব্দুল মজিদ মিয়া, আরফান আলী, সাধুরপাড়া ইউপির সাবেক সদস্য আব্দুল হালিম, ঠান্ডারবন্দ গ্রামের আলমাছ আলীর দোকানও পুড়ে যায়। এ নিয়ে আইনি প্রতিকার চাওয়ায় ১৬ হাজার টাকা ঘুষ নেন এসআই খাইরুল। এছাড়া দোকান থেকে ২৫ কেজির দুই বস্তা চাল নিয়েও মূল্য পরিশোধ করেননি তিনি। 

তবে অভিযুক্ত এসআই খাইরুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর দাবি, অযথা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বরং আইন মেনেই পুলিশি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘বকশীগঞ্জের কামালের বার্ত্তী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি। ইতিমধ্যে তদন্তকাজ শুরুও করেছি। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত