Ajker Patrika

ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড, প্রধান আসামি অন্ধ

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ০৪
ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড, প্রধান আসামি অন্ধ

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক মেয়ে শিশুকে (১২) অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মো. বাবু মিয়া (২৯) নামের এক যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে ৩০ বছর ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

দণ্ডিত বাবু নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। একই সঙ্গে অপহরণে সহায়তার দায়ে বাবুর বাবা মোফাজ্জল হক (৫৪) ও তাঁর আত্মীয় মোছা. লুৎফা বেগম (৩৪) নামের আরও দুজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সবাইকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের সাজার আদেশ দেওয়া হয়।

আজ বুধবার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী ওই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু। তিনি জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হক তাঁর অন্ধ ছেলের জন্য পার্শ্ববর্তী গেরাপচা গ্রামের ওই শিশুকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ওই শিশুর মা-বাবা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে ওই শিশুর বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোফাজ্জল হক, লুৎফা, বাবু নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে শিশুকে অজ্ঞান করে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায় আটকে রাখেন। 

এরপর সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বাবু। এদিকে শিশুর বাবা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. বাবু মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। 

মামলা দায়েরের পর নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ একই বছরের ২৯ মে অপহৃতা শিশুকে উদ্ধার করে। তদন্ত শেষে ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নালিতাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুহুরুল হক। 

মামলায় সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাবু মিয়া, তাঁর বাবা মো. মোফাজ্জল হক ও মোছা. লুৎফা বেগমকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত