Ajker Patrika

আনন্দ মোহন কলেজের সকল হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আনন্দ মোহন কলেজের সকল হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের চলমান সংঘাত থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের সকল হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদের শনিবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের রোববার সকাল ৮টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। 

ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বিবাদে উত্তপ্ত ময়মনসিংহ। কমিটি ঘোষণার পাঁচ মাসের মধ্যেই নেতারা বিবাদে জড়িয়েছে। আনন্দ মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিট নিজেদের বগলদাবা করতেই সংঘাত সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। 

গত ৩ ডিসেম্বর রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে—কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা আন্দোলনে নামে। শনিবার দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার মুখে সন্ধ্যার দিকে কলেজের হল বন্ধের নির্দেশনা দেন কর্তৃপক্ষ। 

প্রশাসনের দেওয়া নোটিশমহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহম্মেদ অনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্ররা মহানগরের সঙ্গে একত্রে হয়ে রাজনীতি করে আসছে। তাঁরা রাজপথে শ্রম-ঘাম ঝড়িয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ থাকবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্তের পর ছাত্ররা হতাশ হয়ে আন্দোলন করছে। তবে এই আন্দোলনের সঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগ জড়িত নয়। যদিও সাধারণ ছাত্রদের পাশে আমার থাকা উচিত ছিল। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মানার্থে আন্দোলনে অংশ নেইনি। সাধারণ ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে জেলা ছাত্রলীগ ককটেল ফোটানোসহ হামলা করেছে। এ ঘটনায় দু-একজন আহতও হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন বলেন, ময়মনসিংহ শহরে ছাত্রলীগের বসার মতো কোন জায়গা নেই। বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদের আওতায় আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগের ইউনিটটি দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। ককটেল ফোটানোসহ অনেকের ওপর তাঁরা হামলাও করেছে। 
 
আনন্দ মোহন কলেজের হল সুপার মো. কামরুল হাসান জানান, কলেজের কিছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে মিছিল করে। এ সময় অন্য আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় আমরা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আজ সন্ধ্যায় কলেজের সকল হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের উত্তেজনার মধ্যে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন শিক্ষকসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত