Ajker Patrika

ইসলামপুরে ‘৫ মাস’ পর খুলল বিএনপির কার্যালয়, নেতা-কর্মীদের কালো পতাকা মিছিল

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ১২
ইসলামপুরে ‘৫ মাস’ পর খুলল বিএনপির কার্যালয়, নেতা-কর্মীদের কালো পতাকা মিছিল

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের তালা প্রায় পাঁচ মাস পর আজ মঙ্গলবার খুলেছেন বলে দাবি করেছেন নেতা-কর্মীরা। তালা খোলার পর তাঁরা দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল করেন। 

বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে হয়রানি করায় দলীয় কার্যালয় খুলতে পারছিলেন না। পুলিশের দাবি, অযথা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই নাশকতার পরিকল্পনার চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

আজ বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের ধর্মকুড়া এলাকায় প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ থাকা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঢোকেন নেতা-কর্মীরা। পরে কার্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগান লেখাসংবলিত ব্যানারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ এক দফা এক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালো পতাকা মিছিল করেন বিএনপিসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। 

এ ছাড়া কার্যালয় প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লা লিটন। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহীন খান, সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক লুডু ও মেজবাহ উদ্দিন সাদা মিয়া, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা খোকন, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সুলেখা খানম, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মোস্তারিন বাধন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হেলাল শেখ, সদস্যসচিব মাহফুদুজ্জামান লুলু প্রমুখ। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন, ‘দলীয় কর্মসূচি দেখলেই গণহারে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দলীয় কর্মসূচিতে আমাদের নেতা-কর্মীদের দেখামাত্র পুলিশ ধাওয়া করে। যার ফলে পাঁচ মাস ধরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলছিল। আজ নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেছেন।’ 

বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম নবাব আরও বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করতে ইতিমধ্যে প্রায় ডজনখানেক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করেছে পুলিশ। আমিসহ অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন জেলহাজতে বাস করতে হয়েছে। নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখলেই পুলিশ হয়রানি করে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।’ 

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, ‘বিএনপির দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল কি-না, সেটা আমাদের জানা নেই। সংশ্লিষ্ট থানায় আমি কয়েক মাস আগে যোগদান করেছি। বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে খুব একটা মামলাও দায়ের হয়নি। অযথা কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। বরং বিএনপির যেসব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই নাশকতার পরিকল্পনার চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের আনীত অভিযোগ মনগড়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত