দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নিয়মিতই ভাতা পেয়ে আসছিলেন প্রতিবন্ধীরা। হঠাৎ করে গত ৫ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছু সুবিধাভোগীর ভাতা। ৫ মাস আগেও তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরের নগদ অ্যাকাউন্টে ভাতার টাকা আসলেও, বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর পাননি ভুক্তভোগীরা।
প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধাভোগী পঞ্চাশ বছর বয়সী নারী জহুরা হাসিনা। বিশ বছর আগে ডান পায়ের মাংসে পচন ধরায় সেটি কেটে ফেলতে হয়। সেই থেকে প্রতিবন্ধিতা যোগ হয় তার জীবনে। পরে স্বামী অন্যত্র বিয়ে করায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারি সুযোগ–সুবিধা ও মেয়ের টিউশনি করানো টাকায় চলে তাদের সংসার।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পোল্যাকান্দি গ্রামের জহুরা হাসিনা বেগমের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধির। এ সময় তিনি জানান, প্রায় ছয় মাস থেকে তিনি প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২ হাজার ২৫০ টাকা মোবাইলের নগদে পেয়েছেন তিনি। এরপর গত জুন মাস থেকে ওই মোবাইল নম্বরে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পাননি। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করা হলে তাকে জানানো হয় নিয়মিতই প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা যাচ্ছে জহুরা হাসিনার মোবাইল নম্বরের নগদ অ্যাকাউন্টে।
জহুরা হাসিনার মতো ঝালোরচর এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রভাকর শীল, পোল্যাকান্দি গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দুলালীসহ অনেক সুবিধাভোগী এমন পরিস্থিতির স্বীকার। অসহায় এসব মানুষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তিতে দিন যাপন করছেন।
ঝালোরচরের শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রভাকর শীল জানান, জুন মাস থেকে তিনি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। এর আগে ঠিকমতো পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করেন তিনি। অফিস থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে তার ভাতার টাকা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। তবে যে নম্বরে ভাতার টাকা দেওয়া হয় সে মোবাইল নম্বর তার দেওয়া নয়। নম্বরটি অন্যজনের।
উপজেলার পোল্যাকান্দি গ্রামের প্রতিবন্ধী জহুরা বেগম বলেন, বিগত বছর তাঁর প্রতিবন্ধী ভাতার ৬ হাজার ৭৫০ টাকা অন্য নম্বরে চলে যায়। পরে সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে নম্বর পরিবর্তন করে দেন তিনি। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পরিবর্তনকৃত নম্বরে টাকা পান। হঠাৎ করে আবারও তাঁর নম্বরে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়।
পোল্যাকান্দি গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কাবিল মিয়ার মা দুলালী জানান, গত জুন থেকে তাঁর ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। সমাজ সেবা অফিস বলছে নিয়মিতই টাকা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সমাজসেবা অফিসে তার নামের সাথে তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরের মিল নেই।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিস বলছে, এ উপজেলায় ২ হাজার ৯১৯ জন প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীকে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা এবং ৭৩৫ জন প্রতিবন্ধীকে শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের সবার মোবাইল ফোনে নগদের মাধ্যমে ভাতার টাকা নিয়মিত যাচ্ছে। কেবল যারা অন্যের নম্বর ব্যবহার করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জয় কৃষ্ণ সরকার বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা না পাওয়ার ঘটনায় আমি নিজেও দুঃখিত। এ সমস্যা নিয়ে আমার অফিসে ১০–১৫ জন প্রতিবন্ধী যোগাযোগ করেছেন। আশা করছি জানুয়ারি থেকে যেকোনো ভাতার বেলায় এমন হবে না। সমস্যা নিরসনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নিয়মিতই ভাতা পেয়ে আসছিলেন প্রতিবন্ধীরা। হঠাৎ করে গত ৫ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছু সুবিধাভোগীর ভাতা। ৫ মাস আগেও তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরের নগদ অ্যাকাউন্টে ভাতার টাকা আসলেও, বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর পাননি ভুক্তভোগীরা।
প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধাভোগী পঞ্চাশ বছর বয়সী নারী জহুরা হাসিনা। বিশ বছর আগে ডান পায়ের মাংসে পচন ধরায় সেটি কেটে ফেলতে হয়। সেই থেকে প্রতিবন্ধিতা যোগ হয় তার জীবনে। পরে স্বামী অন্যত্র বিয়ে করায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারি সুযোগ–সুবিধা ও মেয়ের টিউশনি করানো টাকায় চলে তাদের সংসার।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পোল্যাকান্দি গ্রামের জহুরা হাসিনা বেগমের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার এ প্রতিনিধির। এ সময় তিনি জানান, প্রায় ছয় মাস থেকে তিনি প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২ হাজার ২৫০ টাকা মোবাইলের নগদে পেয়েছেন তিনি। এরপর গত জুন মাস থেকে ওই মোবাইল নম্বরে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পাননি। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করা হলে তাকে জানানো হয় নিয়মিতই প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা যাচ্ছে জহুরা হাসিনার মোবাইল নম্বরের নগদ অ্যাকাউন্টে।
জহুরা হাসিনার মতো ঝালোরচর এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রভাকর শীল, পোল্যাকান্দি গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দুলালীসহ অনেক সুবিধাভোগী এমন পরিস্থিতির স্বীকার। অসহায় এসব মানুষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম ভোগান্তিতে দিন যাপন করছেন।
ঝালোরচরের শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রভাকর শীল জানান, জুন মাস থেকে তিনি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। এর আগে ঠিকমতো পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সমাজ সেবা অফিসে যোগাযোগ করেন তিনি। অফিস থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে তার ভাতার টাকা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। তবে যে নম্বরে ভাতার টাকা দেওয়া হয় সে মোবাইল নম্বর তার দেওয়া নয়। নম্বরটি অন্যজনের।
উপজেলার পোল্যাকান্দি গ্রামের প্রতিবন্ধী জহুরা বেগম বলেন, বিগত বছর তাঁর প্রতিবন্ধী ভাতার ৬ হাজার ৭৫০ টাকা অন্য নম্বরে চলে যায়। পরে সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে নম্বর পরিবর্তন করে দেন তিনি। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত পরিবর্তনকৃত নম্বরে টাকা পান। হঠাৎ করে আবারও তাঁর নম্বরে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়।
পোল্যাকান্দি গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কাবিল মিয়ার মা দুলালী জানান, গত জুন থেকে তাঁর ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা পাচ্ছেন না। সমাজ সেবা অফিস বলছে নিয়মিতই টাকা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সমাজসেবা অফিসে তার নামের সাথে তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরের মিল নেই।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিস বলছে, এ উপজেলায় ২ হাজার ৯১৯ জন প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীকে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা এবং ৭৩৫ জন প্রতিবন্ধীকে শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের সবার মোবাইল ফোনে নগদের মাধ্যমে ভাতার টাকা নিয়মিত যাচ্ছে। কেবল যারা অন্যের নম্বর ব্যবহার করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জয় কৃষ্ণ সরকার বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা না পাওয়ার ঘটনায় আমি নিজেও দুঃখিত। এ সমস্যা নিয়ে আমার অফিসে ১০–১৫ জন প্রতিবন্ধী যোগাযোগ করেছেন। আশা করছি জানুয়ারি থেকে যেকোনো ভাতার বেলায় এমন হবে না। সমস্যা নিরসনে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
১৬ মিনিট আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার বারহাট্টায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইকে শেষ দেখা দেখলেন বাউসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আননান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা কারাগার থেকে পুলিশ আননানকে মৌয়াটি গ্রামে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায়
২ ঘণ্টা আগে