নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার পাহাড়পুর বাজারসংলগ্ন মগড়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ গত দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ বন্ধ রেখে উধাও। ইতিমধ্যে সেতুর নির্মাণকাজের মেয়াদকালও শেষ হয়ে গেছে। সেতু কবে নির্মাণ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ।
নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাহাড়পুর-মঙ্গলসিধ সড়কের পাহাড়পুর বাজারসংলগ্ন মগড়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৮ টাকা। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে ‘তালুকদার নির্মাণ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের মেয়াদকাল ধরা হয় এক বছর।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই বছরের বেশি সময় চলে গেলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। সব মিলিয়ে সেতুর কাজ হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। সেতুটি না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতু না থাকায় বর্ষাকালে নৌকায় আর শুকনো মৌসুমে হেঁটে নদী পাড় হয়ে পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, কামতলা, স্বরমুশিয়া, সুনই, আটিকান্দা, পোখলগাঁও, মোবারকপুর, বানিয়াজান, ছয়াশিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়।
পাহাড়পুর-মঙ্গলসিধ সড়কটি দিয়ে মানুষ আটপাড়া উপজেলা ও সেতুর বাজার হয়ে জেলায় যোগাযোগ করে থাকে। কিন্তু সেতু না হওয়ায়িএলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দুই পাশের পিলারসহ নদীর মধ্যে দুই স্থানে দুটি করে শুধু ৪ টি পিলার তোলা গয়েছে। তাতে রড বেরিয়ে আছে। সেতু নির্মাণের কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। সেখানে ঠিকাদারের লোকজন বা কোনো শ্রমিক নেই। সেতুর লাগুয়া বাজারের ব্যবসায়ীসহ শতাধিক লোকজন সাংবাদিক দেখে জড়ো হন। এ সময় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কামতলা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাহিদুল ইসলাম, কৃষক সবুজ মিয়া, বিষ্ণুপুরের বিল্টু মিয়া, পাহাড়পুরের জলিল মিয়া, বাজারের ব্যবসায়ী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়াসহ অন্তত ২৫ জন জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে ঠিকাদার চলে গেছে। এরপর থেকে আর কেউ এসে খোঁজ নেয়নি। পিলার নির্মাণের সময় নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও কাজ হয়নি।
পাহাড়পুর এলাকার ভ্যানচালক মোবারক হোসেন বলেন, সেতুর কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। কোনো শ্রমিক আসেন না। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। ভাটা পড়া নদীতে অনেক সময় মোটরসাইকেল চালাতে গেলে উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না।
কামতলা গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিজের কাজ মনে হয় আর হইতো না। লোকজন কাজ বন্ধ করে চলে গেছে। আদৌও কি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হইব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম তালুকদার গতকাল রোববার বিকেলে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘কাজটি আমি নিজে করিনি। আমার লাইসেন্স দিয়ে কেন্দুয়ার দীপক ব্যানার্জি ও আলয় বাবু নামের দুজন করছেন। আগে কাজের গতি ভালো ছিল। কিন্তু করোনায় নির্মাণসামগ্রীর দাম প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় এখন কাজ বন্ধ আছে। সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে আবার কাজ শুরু করা হবে।’
এ বিষয়ে নিয়ে জানতে চাইলে দীপক ব্যানার্জির ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে জেলা এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম শেখ ফোন ধরেননি। তবে আটপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আল মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘মগড়া সেতুর কাজটি নিয়ে ঠিকাদার খুবই ভোগাচ্ছে। একাধিকবার সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার পাহাড়পুর বাজারসংলগ্ন মগড়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ গত দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ বন্ধ রেখে উধাও। ইতিমধ্যে সেতুর নির্মাণকাজের মেয়াদকালও শেষ হয়ে গেছে। সেতু কবে নির্মাণ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ।
নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাহাড়পুর-মঙ্গলসিধ সড়কের পাহাড়পুর বাজারসংলগ্ন মগড়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৮ টাকা। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে ‘তালুকদার নির্মাণ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের মেয়াদকাল ধরা হয় এক বছর।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই বছরের বেশি সময় চলে গেলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। সব মিলিয়ে সেতুর কাজ হয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। সেতুটি না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেতু না থাকায় বর্ষাকালে নৌকায় আর শুকনো মৌসুমে হেঁটে নদী পাড় হয়ে পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুর, কামতলা, স্বরমুশিয়া, সুনই, আটিকান্দা, পোখলগাঁও, মোবারকপুর, বানিয়াজান, ছয়াশিসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়।
পাহাড়পুর-মঙ্গলসিধ সড়কটি দিয়ে মানুষ আটপাড়া উপজেলা ও সেতুর বাজার হয়ে জেলায় যোগাযোগ করে থাকে। কিন্তু সেতু না হওয়ায়িএলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থীসহ লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দুই পাশের পিলারসহ নদীর মধ্যে দুই স্থানে দুটি করে শুধু ৪ টি পিলার তোলা গয়েছে। তাতে রড বেরিয়ে আছে। সেতু নির্মাণের কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। সেখানে ঠিকাদারের লোকজন বা কোনো শ্রমিক নেই। সেতুর লাগুয়া বাজারের ব্যবসায়ীসহ শতাধিক লোকজন সাংবাদিক দেখে জড়ো হন। এ সময় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কামতলা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাহিদুল ইসলাম, কৃষক সবুজ মিয়া, বিষ্ণুপুরের বিল্টু মিয়া, পাহাড়পুরের জলিল মিয়া, বাজারের ব্যবসায়ী রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়াসহ অন্তত ২৫ জন জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করে ঠিকাদার চলে গেছে। এরপর থেকে আর কেউ এসে খোঁজ নেয়নি। পিলার নির্মাণের সময় নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও কাজ হয়নি।
পাহাড়পুর এলাকার ভ্যানচালক মোবারক হোসেন বলেন, সেতুর কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। কোনো শ্রমিক আসেন না। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। ভাটা পড়া নদীতে অনেক সময় মোটরসাইকেল চালাতে গেলে উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না।
কামতলা গ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্রিজের কাজ মনে হয় আর হইতো না। লোকজন কাজ বন্ধ করে চলে গেছে। আদৌও কি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হইব?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম তালুকদার গতকাল রোববার বিকেলে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘কাজটি আমি নিজে করিনি। আমার লাইসেন্স দিয়ে কেন্দুয়ার দীপক ব্যানার্জি ও আলয় বাবু নামের দুজন করছেন। আগে কাজের গতি ভালো ছিল। কিন্তু করোনায় নির্মাণসামগ্রীর দাম প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় এখন কাজ বন্ধ আছে। সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে আবার কাজ শুরু করা হবে।’
এ বিষয়ে নিয়ে জানতে চাইলে দীপক ব্যানার্জির ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে জেলা এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম শেখ ফোন ধরেননি। তবে আটপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আল মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘মগড়া সেতুর কাজটি নিয়ে ঠিকাদার খুবই ভোগাচ্ছে। একাধিকবার সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
২ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
২ ঘণ্টা আগে