মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদনে সাজেদা আক্তার (২৫) নামের এক নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও স্বজরা পালিয়ে গেছে। সাজেদা আক্তার উপজেলার মদন ইউনিয়নের বাগদাইর গ্রামের হুমায়ূন মিয়ার স্ত্রী ও কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের বাইগুনি গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নেত্রকোনার মদন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাজেদার ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪ / ৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতেই মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে রাতেই পুলিশ আবুল বাশার (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আবুল বাশার বাগদাইর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের মৃত আলী হোসেনের ছেলে হুমায়ূন। ৯ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের মাইগুনি গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে সাজেদাকে বিয়ে করে সে। দাম্পত্য জীবনে ৬ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে তাদের। ৩ বছর আগে সাজেদার বাবার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে মালয়েশিয়া যান হুমায়ূন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসেন। আবার মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যৌতুক দাবি করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করায় বাবার বাড়ি চলে যান সাজেদা। পরে স্বামী হুমায়ূনসহ কয়েকজন সালিস বৈঠক করে তাঁকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হুমায়ূনের বসত ঘরে গলায় ওড়না পিছিয়ে সাজেদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী হুমায়ূন ও স্বজনেরা। রাতেই স্বামী হুমায়ূন ও তাঁর স্বজনেরা লোকজন সাজেদাকে মদন হাসপাতালে নিয়ে যান। মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আসাদ সাজেদাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়ার খবর শুনেই স্বামী হুমায়ূন সাজেদার মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ আসলে প্রতিবেশী ও স্বজনেরাও সটকে পড়েন।
এ ঘটনায় নিহত সাজেদা আক্তারের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সাজেদার স্বামী হুমায়ূনকে প্রধান আসামি করে যৌতুকের জন্য মারপিট করে হত্যা ও সহায়তার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ / ৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে হুমায়ূনের বড় ভাই আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে হুমায়ূনের বড় ভাই আবুল বাশার বলেন, ‘সাজেদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে খবর শুনে হাসপাতালে আসি। আমি আসলে হুমায়ূন তাঁর শ্বশুর বাড়িতে খবর দেবে বলে চলে যায়। পরে পুলিশ আমাকে আটক করলে সবাই পালিয়ে যায়।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ‘সাজেদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাজেদার ভাই রাতেই মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার নামীয় আসামি আবুল বাশারকে রাতেই গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
নেত্রকোনার মদনে সাজেদা আক্তার (২৫) নামের এক নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও স্বজরা পালিয়ে গেছে। সাজেদা আক্তার উপজেলার মদন ইউনিয়নের বাগদাইর গ্রামের হুমায়ূন মিয়ার স্ত্রী ও কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের বাইগুনি গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নেত্রকোনার মদন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাজেদার ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪ / ৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতেই মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে রাতেই পুলিশ আবুল বাশার (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আবুল বাশার বাগদাইর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের মৃত আলী হোসেনের ছেলে হুমায়ূন। ৯ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের মাইগুনি গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে সাজেদাকে বিয়ে করে সে। দাম্পত্য জীবনে ৬ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে তাদের। ৩ বছর আগে সাজেদার বাবার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে মালয়েশিয়া যান হুমায়ূন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসেন। আবার মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যৌতুক দাবি করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করায় বাবার বাড়ি চলে যান সাজেদা। পরে স্বামী হুমায়ূনসহ কয়েকজন সালিস বৈঠক করে তাঁকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হুমায়ূনের বসত ঘরে গলায় ওড়না পিছিয়ে সাজেদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী হুমায়ূন ও স্বজনেরা। রাতেই স্বামী হুমায়ূন ও তাঁর স্বজনেরা লোকজন সাজেদাকে মদন হাসপাতালে নিয়ে যান। মদন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আসাদ সাজেদাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়ার খবর শুনেই স্বামী হুমায়ূন সাজেদার মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ আসলে প্রতিবেশী ও স্বজনেরাও সটকে পড়েন।
এ ঘটনায় নিহত সাজেদা আক্তারের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সাজেদার স্বামী হুমায়ূনকে প্রধান আসামি করে যৌতুকের জন্য মারপিট করে হত্যা ও সহায়তার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ / ৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে হুমায়ূনের বড় ভাই আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে হুমায়ূনের বড় ভাই আবুল বাশার বলেন, ‘সাজেদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে খবর শুনে হাসপাতালে আসি। আমি আসলে হুমায়ূন তাঁর শ্বশুর বাড়িতে খবর দেবে বলে চলে যায়। পরে পুলিশ আমাকে আটক করলে সবাই পালিয়ে যায়।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ‘সাজেদার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাজেদার ভাই রাতেই মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহার নামীয় আসামি আবুল বাশারকে রাতেই গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ মিনিট আগেশেখ হাসিনার পতনের আগের দিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে তাঁকে রক্ষার নানা কৌশল গ্রহণ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। বিশেষ করে ৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনার পক্ষে মানববন্ধনের সিদ্ধান্তও হয়।
৯ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি মাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা থানা-পুলিশকে নীরব থাকতে দেখা গেছে।
৩০ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। আজ রোববার সকালে প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রথা অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি
৩৩ মিনিট আগে