ফরিদ আহম্মেদ রুবেল, শ্রীবরদী (শেরপুর)
ছোটবেলায় বাড়িতে ঘটে অগ্নিকাণ্ড। সেখানে পুড়ে যায় বইখাতাসহ বাড়ির সবকিছু। পরিবার আর্থিক সংকটে পড়ায় পড়াশোনা ছেড়ে নেমে পড়েন কাজে। দেশ-বিদেশে কাজ করে তিন সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে অসমাপ্ত এসএসসি পাস করতে চান ৬৭ বয়সী আবুল কালাম আজাদ।
শ্রীবরদী উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামে আবুল কালাম আজাদের বাড়ি। এলাকায় তিনি ‘কবি কালাম’ নামে পরিচিত। পড়াশোনার জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শ্রীবরদী উপজেলার পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার রাহিলা কাদির উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তাঁর জন্মতারিখ ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ। স্কুলজীবনে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর পারিবারিক সংকটের কারণে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি। সেই দুঃখ তিনি ভুলতে পারেননি। তিন ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। বড় ছেলে শামসুদ্দীন মৌলভীবাজারের একটি মাদ্রাসার ইংরেজির প্রভাষক। মেজ ছেলে আরিফুল ইসলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। আর ছোট ছেলে আনিসুর রহমান গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বৃদ্ধ বয়সে পড়াশোনা করার বিষয় নিয়ে কথা হয় আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি জানান, ১৯৭৬ সালে তিনি দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ওই বছর তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে তাঁর বইখাতাসহ পরিবারের সবকিছু পুড়ে যায়। আর্থিক সংকটে পড়ে তাঁর পরিবার। অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ শুরু করতে হয় তাঁকে। পড়াশোনা আর শেষ করা হয়নি তাঁর।
এরপর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। চাকরি নেন একটি ডকইয়ার্ডে। ঢাকায় থাকেন ২২ বছর। সেখানেই করেন বিয়ে। ১৯৯৫ সালে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব চলে যান। সেখানে দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাসজীবন কাটান। ২০১৩ সালে শ্রীবরদীর গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন আবুল কালাম আজাদ।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পড়ালেখার প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা। সব সময় সংবাদপত্র ও বই পড়ি। গান লিখি। কবিতা লিখি। কয়েকটি উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখেছি। এসবের পাণ্ডুলিপি যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করছি।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘পড়াশোনার প্রতি দুর্বলতা থেকেই আমি ২০২০ সালে বকশীগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম হাইস্কুলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হই। ২০২১ সালে প্রথম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হই। এখন চলছে দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে। পাস করলে এসএসসি পাসের সনদ পাব।’
৬৭ বছর বয়সী আবুল কালাম আজাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহে মুগ্ধ স্থানীয় তরুণেরা। শামছুল হক (২৭) নামের স্থানীয় এক তরুণ বলেন, ‘অনেকে তরুণ বয়সেই পড়ালেখা করতে চান না। আর কামাল চাচা বৃদ্ধ বয়সেও পড়ালেখা করছেন। তিনি আদর্শবান শিক্ষানুরাগী। তাঁকে দেখে অন্যরা পড়ালেখার প্রতি আগ্রহী হবেন।’
লঙ্গলপাড়া গ্রামের আ. জব্বার (৮৫) বলেন, ‘কালাম ছোট থেকে অনেক কষ্ট করেছে। বাড়ি পোড়ার পর ঢাকা গিয়েছে। আবার বিদেশ গিয়েছে। তবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছে। শুনতাছি এবার সে নিজেই এসএসসি পরীক্ষা দিবে। আল্লাহ তার মনের আশা পূরণ করুক।’
এ বিষয়ে আবুল কালামের মেজ ছেলে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। এখন আমরা তাঁর ইচ্ছা পূরণের জন্য কাজ করছি। বাবার যতটুকু পড়তে মন চায়, আমরা তাঁকে সমর্থন দেব।’
খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া বলেন, সশিক্ষিত আবুল কালাম বেশি পড়ালেখা না করেও কবিতার বই প্রকাশ করে এলাকায় ‘কবি কালাম’ নামে পরিচিত। এখন তিনি বৃদ্ধ বয়সে ধৈর্য ধরে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। এতে এলাকাবাসী খুব খুশি।
ছোটবেলায় বাড়িতে ঘটে অগ্নিকাণ্ড। সেখানে পুড়ে যায় বইখাতাসহ বাড়ির সবকিছু। পরিবার আর্থিক সংকটে পড়ায় পড়াশোনা ছেড়ে নেমে পড়েন কাজে। দেশ-বিদেশে কাজ করে তিন সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। এখন জীবনের শেষ প্রান্তে অসমাপ্ত এসএসসি পাস করতে চান ৬৭ বয়সী আবুল কালাম আজাদ।
শ্রীবরদী উপজেলার লঙ্গরপাড়া গ্রামে আবুল কালাম আজাদের বাড়ি। এলাকায় তিনি ‘কবি কালাম’ নামে পরিচিত। পড়াশোনার জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শ্রীবরদী উপজেলার পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার রাহিলা কাদির উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তাঁর জন্মতারিখ ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ। স্কুলজীবনে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর পারিবারিক সংকটের কারণে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি। সেই দুঃখ তিনি ভুলতে পারেননি। তিন ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করেছেন। বড় ছেলে শামসুদ্দীন মৌলভীবাজারের একটি মাদ্রাসার ইংরেজির প্রভাষক। মেজ ছেলে আরিফুল ইসলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। আর ছোট ছেলে আনিসুর রহমান গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বৃদ্ধ বয়সে পড়াশোনা করার বিষয় নিয়ে কথা হয় আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি জানান, ১৯৭৬ সালে তিনি দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ওই বছর তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে তাঁর বইখাতাসহ পরিবারের সবকিছু পুড়ে যায়। আর্থিক সংকটে পড়ে তাঁর পরিবার। অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ শুরু করতে হয় তাঁকে। পড়াশোনা আর শেষ করা হয়নি তাঁর।
এরপর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। চাকরি নেন একটি ডকইয়ার্ডে। ঢাকায় থাকেন ২২ বছর। সেখানেই করেন বিয়ে। ১৯৯৫ সালে চাকরি নিয়ে সৌদি আরব চলে যান। সেখানে দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাসজীবন কাটান। ২০১৩ সালে শ্রীবরদীর গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন আবুল কালাম আজাদ।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘পড়ালেখার প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা। সব সময় সংবাদপত্র ও বই পড়ি। গান লিখি। কবিতা লিখি। কয়েকটি উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখেছি। এসবের পাণ্ডুলিপি যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করছি।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘পড়াশোনার প্রতি দুর্বলতা থেকেই আমি ২০২০ সালে বকশীগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম হাইস্কুলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হই। ২০২১ সালে প্রথম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হই। এখন চলছে দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে। পাস করলে এসএসসি পাসের সনদ পাব।’
৬৭ বছর বয়সী আবুল কালাম আজাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহে মুগ্ধ স্থানীয় তরুণেরা। শামছুল হক (২৭) নামের স্থানীয় এক তরুণ বলেন, ‘অনেকে তরুণ বয়সেই পড়ালেখা করতে চান না। আর কামাল চাচা বৃদ্ধ বয়সেও পড়ালেখা করছেন। তিনি আদর্শবান শিক্ষানুরাগী। তাঁকে দেখে অন্যরা পড়ালেখার প্রতি আগ্রহী হবেন।’
লঙ্গলপাড়া গ্রামের আ. জব্বার (৮৫) বলেন, ‘কালাম ছোট থেকে অনেক কষ্ট করেছে। বাড়ি পোড়ার পর ঢাকা গিয়েছে। আবার বিদেশ গিয়েছে। তবে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছে। শুনতাছি এবার সে নিজেই এসএসসি পরীক্ষা দিবে। আল্লাহ তার মনের আশা পূরণ করুক।’
এ বিষয়ে আবুল কালামের মেজ ছেলে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। এখন আমরা তাঁর ইচ্ছা পূরণের জন্য কাজ করছি। বাবার যতটুকু পড়তে মন চায়, আমরা তাঁকে সমর্থন দেব।’
খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া বলেন, সশিক্ষিত আবুল কালাম বেশি পড়ালেখা না করেও কবিতার বই প্রকাশ করে এলাকায় ‘কবি কালাম’ নামে পরিচিত। এখন তিনি বৃদ্ধ বয়সে ধৈর্য ধরে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। এতে এলাকাবাসী খুব খুশি।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সাথী আকতার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক আব্দুস সালাম রতন উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বঙ্গভিটা গ্রামের আবু হকের ছেলে। গৃহবধূ সাথী আকতার উপজেলার
৬ মিনিট আগেপাহাড়ে ইউপিডিএফ, জেএসএস, কেএনএফসহ আঞ্চলিক দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। আজ সোমবার সকালে পার্বত্য ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসমাবেশ থেকে এই দাবি তোলা হয়।
১৭ মিনিট আগেনওগাঁয় জাতভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামি ২২ মে থেকে এ জেলায় আম সংগ্রহ শুরু করা যাবে। ওই দিন থেকে কেবল গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত নিশ্চিতে কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়
২৮ মিনিট আগেজনস্বার্থবিরোধী ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎ অফিস অভিমুখে পদযাত্রা করেছে বিদ্যুৎ গ্রাহক ফোরাম। আজ সোমবার দুপুরে নেসকো পিএলসি, ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে