Ajker Patrika

পরাজয়ের পর প্রিসাইডিং অফিসারকে হেনস্তা করলেন নৌকার প্রার্থী

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
পরাজয়ের পর প্রিসাইডিং অফিসারকে হেনস্তা করলেন নৌকার প্রার্থী

মুক্তাগাছায় সদ্য সমাপ্ত তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন পোলিং এজেন্টকে শাস্তি দেওয়ায় প্রিসাইডিং অফিসারকে হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নির্বাচন কর্মকর্তা।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার একটি চায়ের দোকানের ডেকে নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার সজলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হেনস্তা করেন নৌকার পোলিং এজেন্ট সাইফুল ইসলাম নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা। ঘটনাটি ঘটে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুজ্জামান সিদ্দিকের এলাকায়। 

ভুক্তভোগী প্রিসাইডিং অফিসার গতকাল বুধবার রাতে মুক্তাগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের ২০ নং বিনোদবাড়ী মানকোন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সজল। গত রোববার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হলে নৌকার পোলিং এজেন্ট সাইফুল ইসলাম বারবার ভোট কেন্দ্রের বাইরে আসা-যাওয়া করছিলেন। এ কারণে তাঁকে পাঁচ মিনিট আটকে রাখে পুলিশ। প্রিসাইডিং অফিসার গিয়ে শর্তসাপেক্ষে তাঁকে ছেড়ে দিলে তিনি আবার পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ওই কেন্দ্রে নৌকা প্রথমস্থান অর্জন করলেও নৌকার প্রার্থী পরাজিত হন। এতেই ওই প্রিসাইডিং অফিসারের ওপর ক্ষুব্ধ হন নৌকার পোলিং এজেন্ট। গত মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সজলকে চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে অপমান করেন ওই নৌকার প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট ও নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা। 

প্রিসাইডিং অফিসার সজল বলেন, ‘আমার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ পালন করার চেষ্টা করেছি। বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিক, তাঁর পোলিং এজেন্ট সাইফুলসহ বেশ কয়েকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও নানাভাবে হেনস্তা করে আমাকে। বিষয়টি ইউএনও, নির্বাচন অফিসকে জানিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আশা করি, আমি ন্যায়বিচার পাব।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুজ্জামান সিদ্দিক বলেন, ‘আমি তাঁকে চা খাওয়ার জন্য ডাকছিলাম। তেমন কিছু ঘটেনি, উভয় পক্ষের মধ্যে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মনসুর বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু ভুক্তভোগী থানায় লিখত অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

মুক্তাগাছা থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভুক্তভোগী আমাদের কাছে লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত