আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জলবুরুঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুতে উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ফলে সেতু নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অচিন্ত্যপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ও সহনাটি ইউনিয়নের ভালুকাপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জলবুরুঙ্গা নদীর ওপর ২০২০ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৮২ টাকা। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সেতু নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মমিনুল হক-স্বর্ণা ব্রিকস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হলেও বাকি রয়েছে পলেস্তারা ও রঙের কাজ। সেতুর রেলিংয়ে বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। মূল অবকাঠামোর নিচের অংশে কোথাও কোথাও ঢালাই ভেঙে পড়েছে। ফাটলগুলো বালু-সিমেন্ট দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছে।
ভালুকাপুর গ্রামের আবদুল হালিম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি জলবুরুঙ্গা সেতু। পূর্বে নৌকা দিয়ে এই নদী পার হতে গিয়ে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দীর্ঘদিন পর সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনিয়ম ও গাফিলতির অনেক অভিযোগ উঠেছে।’
বিভিন্ন সময়ে এসব অভিযোগ গৌরীপুর এলজিইডিকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন নির্মাণকাজ শেষ না হতেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
গোপীনাথপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া বলেন, সেতুটি নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করেছে। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে এর প্রতিবাদ করলেও তারা আমলে নেয়নি।
অচিন্ত্যপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের নিয়মিত চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সেতু। অথচ উদ্বোধনের আগেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মমিনুল হক-স্বর্ণা ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী মো. আতিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেতুটি উপজেলার অচিন্ত্যপুর ও সহনাটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই অঞ্চলের জন্য তা বেশ জনগুরুত্বপূর্ণ। জানতে পারলাম কাজ শেষ না হতেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজে ত্রুটি না থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি তদন্তপূর্বক খতিয়ে দেখতে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।’
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী অসিত বর্মণ দেব বলেন, ‘সম্প্রতি গৌরীপুরে যোগদান করেছি। জলবুরুঙ্গা সেতুতে ফাটলের ঘটনায় এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম বা গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জলবুরুঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুতে উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ফলে সেতু নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ।
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অচিন্ত্যপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর ও সহনাটি ইউনিয়নের ভালুকাপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া জলবুরুঙ্গা নদীর ওপর ২০২০ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৮২ টাকা। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সেতু নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মমিনুল হক-স্বর্ণা ব্রিকস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হলেও বাকি রয়েছে পলেস্তারা ও রঙের কাজ। সেতুর রেলিংয়ে বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। মূল অবকাঠামোর নিচের অংশে কোথাও কোথাও ঢালাই ভেঙে পড়েছে। ফাটলগুলো বালু-সিমেন্ট দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করা হয়েছে।
ভালুকাপুর গ্রামের আবদুল হালিম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি জলবুরুঙ্গা সেতু। পূর্বে নৌকা দিয়ে এই নদী পার হতে গিয়ে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দীর্ঘদিন পর সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনিয়ম ও গাফিলতির অনেক অভিযোগ উঠেছে।’
বিভিন্ন সময়ে এসব অভিযোগ গৌরীপুর এলজিইডিকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন নির্মাণকাজ শেষ না হতেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
গোপীনাথপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া বলেন, সেতুটি নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করেছে। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে এর প্রতিবাদ করলেও তারা আমলে নেয়নি।
অচিন্ত্যপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের নিয়মিত চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সেতু। অথচ উদ্বোধনের আগেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মমিনুল হক-স্বর্ণা ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী মো. আতিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেতুটি উপজেলার অচিন্ত্যপুর ও সহনাটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই অঞ্চলের জন্য তা বেশ জনগুরুত্বপূর্ণ। জানতে পারলাম কাজ শেষ না হতেই সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্মাণকাজে ত্রুটি না থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি তদন্তপূর্বক খতিয়ে দেখতে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।’
গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী অসিত বর্মণ দেব বলেন, ‘সম্প্রতি গৌরীপুরে যোগদান করেছি। জলবুরুঙ্গা সেতুতে ফাটলের ঘটনায় এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম বা গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
২ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৩ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
৩ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৩ ঘণ্টা আগে