চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে মৌসুমি শ্রমিক স্থায়ীকরণের জন্য ১০৪ পদে জনবল নিয়োগ নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, বিধান থাকা সত্ত্বেও জনবল নিয়োগের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৯ লাখ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। অনিয়ম খতিয়ে দেখতে শিল্প মন্ত্রণালয় গঠন করেছে তদন্ত কমিটি। তবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলছে, সবকিছু সঠিকভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ সোয়েবুল আলম বলেন, শুধু কেরু নয়, সব কটি চিনিকলের জনবল স্থায়ীকরণের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে কেরুর এমডি জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে কেরুর নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। হাইকোর্টের একটি স্টে অর্ডারও হয়েছে। অতএব ওই নিয়োগ কার্যক্রম বহাল থাকবে না।
জানা গেছে, দেশের অন্যতম ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে এক যুগ পর সম্প্রতি ১০৪ জন শ্রমিক-কর্মচারী মৌসুমি থেকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) থেকে জনবল স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার একটি নির্দেশনা জারি করা হলেও কর্তৃপক্ষ তা না মেনে নিজ নিজ পদে জনবল স্থায়ী করার জন্য চিঠি ইস্যু করে। অভিযোগ ওঠে, ঘুষ-বাণিজ্যের কারণে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি তড়িঘড়ি করে এসব পদে স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। স্থায়ীকরণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না মানায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন কারখানার মৌসুমি ফিল্টার হেলপার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাবুল আকতার নামের এক শ্রমিক।
সূত্র জানায়, স্থায়ী লোকবলের সংকট থাকায় গত ১৪ মার্চ লোকবল চেয়ে নীতিমালা প্রস্তুত করে বিএসএফআইসি সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর সদর দপ্তর ২৫ মার্চ শূন্য পদ পূরণে নিয়োগের আহ্বান জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে ২ এপ্রিল স্থায়ীকরণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তবে বিজ্ঞপ্তিটি সংবাদপত্রে না দিয়ে শুধু নোটিশ বোর্ডে দেওয়া হয়। গত ২৪ এপ্রিল আবেদনকারীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন সদর দপ্তরের প্রতিনিধি সাইফুল আলম। ১৩ ও ১৪ মে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪০ জন শ্রমিক-কর্মচারী। ১৫ মে ১০৪ জনকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। ঠিক ওই দিনই কেরুসহ সব চিনিকলে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশনা দেন বিএসএফআইসি সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়ছার। তবে কেরুর এমডির স্বাক্ষরিত চিঠি স্থায়ী করা শ্রমিক-কর্মচারীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ওই দিনই তাঁদের যোগদান করানো হয়। এরপর বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম চিঠি দিয়ে কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনকে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।
কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ বলেন, ‘স্থায়ী নিয়োগ সকল নিয়ম মেনেই হয়েছে। সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটার কথা উল্লেখ নেই। তার পরও আমরা সমন্বয় করেছি। ১৯ জনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আলোকে নেওয়া হয়েছে। কোনো অনিয়ম করিনি।’
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ম মেনে এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৩ ও ১৪ মে সকালে নিয়োগ পরীক্ষার পর ওই দিনই যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ১০৪ জনকে স্থায়ী করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি পদে আবেদনকারীরা তাঁদের যোগ্যতার মূল্যায়নে না টেকায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ১৫ মে সকালে স্থায়ীকরণকৃত শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর সন্ধ্যায় বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দিয়ে চিঠি পাঠান। চিঠিটি অফিস চলাকালীন হাতে না পাওয়ায় আদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আমার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। আমি লিখিত জবাব দিয়েছি।’
ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে চুয়াডাঙ্গার কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে মৌসুমি শ্রমিক স্থায়ীকরণের জন্য ১০৪ পদে জনবল নিয়োগ নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, বিধান থাকা সত্ত্বেও জনবল নিয়োগের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৯ লাখ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। অনিয়ম খতিয়ে দেখতে শিল্প মন্ত্রণালয় গঠন করেছে তদন্ত কমিটি। তবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলছে, সবকিছু সঠিকভাবেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ সোয়েবুল আলম বলেন, শুধু কেরু নয়, সব কটি চিনিকলের জনবল স্থায়ীকরণের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে কেরুর এমডি জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে কেরুর নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। হাইকোর্টের একটি স্টে অর্ডারও হয়েছে। অতএব ওই নিয়োগ কার্যক্রম বহাল থাকবে না।
জানা গেছে, দেশের অন্যতম ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে এক যুগ পর সম্প্রতি ১০৪ জন শ্রমিক-কর্মচারী মৌসুমি থেকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) থেকে জনবল স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার একটি নির্দেশনা জারি করা হলেও কর্তৃপক্ষ তা না মেনে নিজ নিজ পদে জনবল স্থায়ী করার জন্য চিঠি ইস্যু করে। অভিযোগ ওঠে, ঘুষ-বাণিজ্যের কারণে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি তড়িঘড়ি করে এসব পদে স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। স্থায়ীকরণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না মানায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন কারখানার মৌসুমি ফিল্টার হেলপার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বাবুল আকতার নামের এক শ্রমিক।
সূত্র জানায়, স্থায়ী লোকবলের সংকট থাকায় গত ১৪ মার্চ লোকবল চেয়ে নীতিমালা প্রস্তুত করে বিএসএফআইসি সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর সদর দপ্তর ২৫ মার্চ শূন্য পদ পূরণে নিয়োগের আহ্বান জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে ২ এপ্রিল স্থায়ীকরণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তবে বিজ্ঞপ্তিটি সংবাদপত্রে না দিয়ে শুধু নোটিশ বোর্ডে দেওয়া হয়। গত ২৪ এপ্রিল আবেদনকারীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন সদর দপ্তরের প্রতিনিধি সাইফুল আলম। ১৩ ও ১৪ মে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪০ জন শ্রমিক-কর্মচারী। ১৫ মে ১০৪ জনকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। ঠিক ওই দিনই কেরুসহ সব চিনিকলে জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশনা দেন বিএসএফআইসি সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়ছার। তবে কেরুর এমডির স্বাক্ষরিত চিঠি স্থায়ী করা শ্রমিক-কর্মচারীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ওই দিনই তাঁদের যোগদান করানো হয়। এরপর বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম চিঠি দিয়ে কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনকে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।
কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ বলেন, ‘স্থায়ী নিয়োগ সকল নিয়ম মেনেই হয়েছে। সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটার কথা উল্লেখ নেই। তার পরও আমরা সমন্বয় করেছি। ১৯ জনকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আলোকে নেওয়া হয়েছে। কোনো অনিয়ম করিনি।’
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ম মেনে এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৩ ও ১৪ মে সকালে নিয়োগ পরীক্ষার পর ওই দিনই যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ১০৪ জনকে স্থায়ী করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি পদে আবেদনকারীরা তাঁদের যোগ্যতার মূল্যায়নে না টেকায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ১৫ মে সকালে স্থায়ীকরণকৃত শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর সন্ধ্যায় বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দিয়ে চিঠি পাঠান। চিঠিটি অফিস চলাকালীন হাতে না পাওয়ায় আদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আমার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। আমি লিখিত জবাব দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) পদ থেকে বদলি করা হয়েছিল শফিকুল ইসলামকে। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে বরং ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছেন তিনি। বিএমডিএর বিএনপিপন্থী ও দীর্ঘ সময় বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ...
৬ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জুনিয়র আইটি অফিসার হিসেবে ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান শহিদুর রহমান। এর পর থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। একই পদে শহিদুরের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন আরও ২৭ জন।
৬ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবনের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে রড। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঠদানও বন্ধ। অথচ সেই ভবন এবং পাশের প্রশাসনিক ভবনের সংস্কারসহ বেশ কিছু মালামাল ক্রয়ের টেন্ডার আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কলেজটির প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন-১ মেরামতের..
৬ ঘণ্টা আগেগত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত মোখলেসুর রহমান সুমন (৩৬)। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিজ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
৭ ঘণ্টা আগে