Ajker Patrika

আগামীতে হয়তো আমি নাও থাকতে পারি: লোহাগড়ায় জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে মাশরাফি

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ২২: ৪১
Thumbnail image

আগামীতে নাও থাকতে পারেন, তাই নির্বাচনের এক বছর আগেই নিজের কাজের হিসাব নিয়ে জনতার সামনে হাজির হয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে লোহাগড়ার উপজেলার কোটাকোল লঞ্চঘাট মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত ‘জনতার মুখোমুখি জনতার সেবক’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘এখনো নির্বাচনের এক বছর বাকি আছে। আগামীতে হয়তো আমি নাও থাকতে পারি। সে জন্য এক বছর আগেই আমি এসেছি। যেসব কাজ করেছি, আর যা বাকি আছে তার হিসাব আপনাদের দিতে।’ 

এ সময় স্থানীয়রা রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসকের অভাব, উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার অফিস, সেটেলমেন্ট অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি, বিদ্যালয় ভবন ও সেতু-কালভার্ট নির্মাণ এবং মসজিদ-মন্দির সংস্কারের দাবি তুলে ধরেন। মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা এসব প্রশ্ন নোট করেন ও ধাপে ধাপে সব প্রশ্নের উত্তর দেন। 

রাস্তা-ঘাট নির্মাণ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আপনারা জানেন করোনার কারণে প্রায় দুই বছর উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ ছিল। তবুও বাকি সময় বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দিরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ 

এমপির সঙ্গে দেখা করতে না পারার অভিযোগের উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘আপনাদের জন্য আমার দরজা ২৪ ঘণ্টাই খোলা। যে কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। আপনাদের কথা শুনতে আমি বাধ্য। এর আগে অনেকেই আপনাদের মাথায় হাত বুলিয়ে খুশি করে থাকতে পারে। কিন্তু আমি তা করতে চাই না। আমি এসেছি আপনাদের কথা শুনতে। আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছেন।’ 

 চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আপনারা জানেন চাইলেই রাতারাতি এখানে হাসপাতাল বানানো সম্ভব নয়। সরকারি কাজের কিছু নিয়মকানুন আছে। এসব নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে যা যা করা সম্ভব সবই করব। আপনারা আমার ওপর ভরসা রাখেন।’ 

ভূমি অফিসের দুর্নীতির বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেবা নিতে এসে ভবিষ্যতে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে।’ 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লোহাগড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মশিউর রহমান, লোহাগড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী বনী আমীন, কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান আল মাহমুদ, সাবেক চেয়ারম্যান খাঁন মো. জাহাঙ্গীর আলম, জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন, লক্ষীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বি এম কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতিসহ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত