Ajker Patrika

প্র্যাকটিক্যাল নম্বরের জন্য ৮৮ জনই ফেল, চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

চুয়াডাঙ্গা (জীবননগর) প্রতিনিধি 
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফলাফল প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফলাফল প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৮ জনের সবাই ফেল করেছে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে বিদ্যালয়টির ভোকেশনাল শাখা থেকে অংশ নেওয়া ৮৮ জন পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফলাফল প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অনেকের মূল বিষয়ের ফল জিপিএ-৫ কিংবা ‘এ’ গ্রেড। তবে সবারই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসাইনমেন্ট’ (প্র্যাকটিকাল) বিষয়ে ফেল এসেছে। এ কারণেই তাদের চূড়ান্ত ফলাফল ‘ফেল’ হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।

জীবননগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করা শিক্ষার্থীরা জানায়, হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল থেকে নিয়মিত ৬৬ জন ও অনিয়মিত ২২ জনসহ মোট ৮৮ জন শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের অনেকের সব বিষয়ে এ+ এসেছে। কারও ‘এ’ অথবা ‘এ মাইনাস’ এসেছে। তবে সবারই ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসাইনমেন্টে ফেল এসেছে।

শিক্ষার্থীরা বলেছে, প্র্যাকটিকাল খাতা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২২ জুন। তারা সময়মতো খাতা জমা দিলেও অজানা কারণে সবারই ওই বিষয়ে ফেল এসেছে।

এক শিক্ষার্থী বলে, ‘সব বিষয়ে ভালো রেজাল্ট হলেও শুধু প্র্যাকটিকালে ফেল দেখানো হয়েছে। পরিবারে কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছে না। আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।’

এ বিষয়ে হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা বোর্ডে যোগাযোগ করেছি। রোববারের মধ্যে ফলাফলে যে সমস্যা হয়েছে, তা সমাধান হবে বলে আশা করছি।’

জীবননগর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানান, বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রোববার বোঝা যাবে, প্র্যাকটিকালে সত্যিই ফেল এসেছে, নাকি নম্বর এন্ট্রি হয়নি। যদি নম্বর এন্ট্রির সমস্যা হয়, তাহলে সেটা সমাধানযোগ্য। তবে প্র্যাকটিকাল ফেল হলে ফলাফলে পরিবর্তন আসবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত